Thokbirim | logo

২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সহকর্মীদের কর্মজীবনে ঘটে যাওয়া ব্রাদারের কিছু স্মৃতি ।। মানুয়েল চাম্বুগং

প্রকাশিত : নভেম্বর ০৫, ২০২০, ১১:১৮

সহকর্মীদের কর্মজীবনে ঘটে যাওয়া ব্রাদারের কিছু স্মৃতি ।। মানুয়েল চাম্বুগং

পূর্ব প্রকাশের পর..

ব্রাদারের সহকর্মীদের  কর্মজীবনে ঘটে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত ও স্মৃতি…

১. একবার ব্রাদার গিউম তার স্বেচ্ছাসেবী কয়েকজন মেয়েদেরকে নিয়ে একটি বাড়িতে নিমন্ত্রণ খেতে গেলেন। খাওয়ার টেবিলে বিভিন্ন ধরনের আইটেম দেখে তারা তো অবাক! খাওয়ার এক পর্যায়ে ব্রাদার বললেন, কে পাক্ করলো রে…। ব্রাদারের কথা শেষ হতে না হতেই মেয়েরা হি হি করে হেসে দিলো। হাঁসি থামলে একমেয়ে ব্রাদারকে জিজ্ঞেস করলেন, এক্সকিউসমি ব্রাদার, কী জানি বললেন? ব্রাদার মুচকি হেসে বললেন, এই যে তোমরা মজা করে হাত চেটে খাচ্ছ। তাই দেখে বাড়ির কর্তৃকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কে এই সুন্দর রান্না  করেছে।

২. আর একদিন ব্রাদার ও গ্রেনার নকরেক একটি প্রগ্রামে বাসে করে যাচ্ছিলেন। বাস স্টেশনে পৌঁচ্ছলে গ্রেনার ও ব্রাদার দুজনেই বাস থেকে নামলেন। গ্রেনার নকরেক দেখলেন ব্রাদারের হাতে তাঁর ব্যাগ নাই দেখে জিজ্ঞেস করলেন ব্রাদার আপনার ব্যাগ? ব্রাদার বললেন, ব্যাগ দিয়ে কি করবা যার ব্যাগ নাই, কাপড়-চোপর নাই সেই আমার ব্যাগ নিয়ে চলে গেছেন।

৩. ব্রাদার গিউম প্রায়ই পথশিশু, গরিব, দুঃখী ছেলেমেয়েদের জন্য বিভিন্ন ধরনের সুন্দর সুন্দর খেলনার স্টিকার দিতেন। একদিন হলো কি! বরাবরের মতোই ব্রাদার ছোট ছোট ছেলেমেয়েদেরকে স্টিকার দিচ্ছিলেন। কয়েকজন দুষ্ট ছেলে স্টিকার পাওয়ার পরও তাদের স্টিকার অন্য জায়গায় লুকিয়ে ব্রাদারের কাছে আবার চাইতে আসলো, ব্রাদার তাদেরক বুঝতে পেরে বললেন, বাবু তোমরা না একবার নিয়েছ। ছেলেরা সেখান থেকে চলে যাওয়ার সময় হালা ব্রাদার বাইনচোদ আমাদেরকে দিল না বলে গালি দিল। ব্রাদার তাদের গালি দেওয়া শুনে তাদেরকে ডাকলেন। তাদের প্রত্যেকে আরো দুটো করে স্টিকার দিয়ে বললেন তোমরা আমাকে বাইনচোদ বলে গালি দিয়েছো, এখানে কিন্তু কোনো বাইনচোদ নাই। আমাকে তোমরা একবার বাইনচোদ বলেছো সমস্যা নাই, এভাবে কাউকে আর বল না কেমন। কোনো মানুষকে বাইনচোদ বললে কিন্তু তোমরা মার খাবা।

৪. ব্রাদার অ্যারিক তাঁর সহকর্মীদের নিয়ে কাজ করতে যান বিভিন্ন জায়াগায় । ব্রাদার অ্যারিক যেখানেই কাজ করতে যান না কেন তাঁকে একই কথা প্রায়ই প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয়, ‘আপনি কি ব্রাদার গিউমের সাথে থাকেন?’ ব্রাদার অ্যারিক মুচকি হেসে তাদেরকে বলেন হ্যাঁ, আমি তাঁর সাথে থেকে কাজ করি। হা হা……। ব্রাদার অ্যারিক হাসলেন এই জন্যেই যে লোকেরা জানে না যে সেও একজন ব্রাদার। এথেকে আসলে বুঝা যায় ব্রাদার গিউম সবার কাছে কত পরিচিত ও আপনজন হয়ে আছে।

৫. জেলখানা পরিদর্শনে ব্রাদার গিউম গেলে কারাবন্দিরা অনেক খুশি হন। ব্রাদারের সাথে তারা মনখুলে সুখ-দুঃখের কথা আলাপন করতে পারেন। ব্রাদারও তাদের মনের অব্যক্ত কথাগুলো আন্তরিকতার সাথে শোনেন। জেল থেকে বের হতেও তাদেরকে বিভিন্নভাবে সহায়তা করেন। অনেক দিন আগে মধুপুর নিবাসী এলপি সাংমা তার নিজপুত্র সন্তানের মৃত্যুর দায়ে যাবৎজীবন কারাদণ্ড ভোগ করছিলেন; ব্রাদার একসময় তাকে জেল থেকে মুক্ত করতে সক্ষম হন। এভাবে অনেক কারাভোগীকে জেল থেকে তিনি উদ্ধার করেছেন। জেল হাজত থেকে কোনো কারাভোগী ব্যক্তিকে বের করতে পারলে ব্রাদার মনে অনেক আনন্দ পান।

পরিশেষ, সমগ্র বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ব্রাদার আপনাকে জানায় অনেক অনেক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা আপনার এই মানবসেবা কাজের জন্য। ঈশ্বর আপনাকে প্রচুর পরিমাণে কৃপাশীষ দান করুন, দীর্ঘায়ু দান করুন। যাতে আপনি সুস্থ থেকে নিরাপদে আরো মানবসেবা করে যেতে পারেন।

।। সমাপ্ত



মুখ ও দাঁতের যত্নে প্রথম যে ৩টি কাজ আপনাকে করতেই হবে ।। মার্ক প্রত্যয় রেমা

মুখ ও দাঁত নিয়ে প্রচলিত কিছু ভুল ধারণা ।। ডা. মার্ক প্রত্যয় রেমা

ব্যথাকে নয় রোগকে ভালো করুন ।।  ডেন্টাল সার্জন মার্ক প্রত্যয় রেমা

বাবা’রা কেমন হয়? ভাবি… ।। পরাগ রিছিল

ওয়ানগালার তাৎপর্য ও গুরুত্ব || রেভা. মণীন্দ্রনাথ মারাক

ওয়ানগালার ইতিহাস ।। রেভা. মণীন্দ্রনাথ মারাক

দওক্রো সুআ রওয়া বা ঘুঘু পাখির নাচ ।। তর্পণ ঘাগ্রা

বাসন্তী রেমার নতুন জীবনের সূচনা, তৈরি হচ্ছে দোকান ও পাঠাগার

শুভ বিজয়া দশমী ।। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হল দুর্গাপূজা

নভেম্বরে নতুন গান ‘সালনি থেং’সুয়ে’ নিয়ে আসছে গারো ব্যান্ড দল-ব্লিডিং ফর সার্ভাইভাল




সম্পাদক : মিঠুন রাকসাম

উপদেষ্টা : মতেন্দ্র মানখিন, থিওফিল নকরেক

যোগাযোগ:  ১৯ মণিপুরিপাড়া, সংসদ এভিনিউ ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫। 01787161281, 01575090829

thokbirim281@gmail.com

 

থকবিরিমে প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। Copyright 2020 © Thokbirim.com.

Design by Raytahost