Thokbirim | logo

২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নতুন জীবন ।।  মানুয়েল চাম্বুগং

প্রকাশিত : আগস্ট ৩১, ২০২১, ১৪:৩৬

নতুন জীবন ।।  মানুয়েল চাম্বুগং

মহাখালী বাসস্ট্যান্ড। শেরপুর, জামালপুর, হালুয়াঘাট, নেত্রকোণার বাস একে একে ছেড়ে যাচ্ছে। দুর্গাপুর-বিরিশিরির বাস ছাড়তে পনের মিনিট বাকি। টিকিট কাউন্টার থেকে তাড়াতাড়ি টিকিট কেটে বাসে উঠলাম। সবাই যার যার সিটে বসে আছে। মাঝখানে একটি সিট খালি। গিয়ে দেখি একটি মেয়ে জানালার পাশে বসে বাইরে কি যেন দেখছে। আমি তাকে বললাম, ‘এক্স্কিউস মি, আমি কি এই সিটে বসতে পারি।’ সে মাথা ঘুড়িয়ে আমার দিকে তাকিয়ে মিষ্টি হেসে বলল, ‘আপনার সিট হলে বসুন।’ থ্যাং ইউ ভেরি ম্যাচ বলে আমি বসে পড়লাম। বাস যথাসময়ে ছেড়ে দিলো। মহাখালী ফ্লাইওভার ব্রিজ, কাকলী-বনানী, বিশ^রোড, টংগী ও গাজীপুর-চৌরাস্তা পার হলো কিন্তু কারো মুখে কোনো কথা নেই। মাঝে মাঝে তার দিকে লক্ষ্য করি সে আমার দিকে তাকায় কি-না। না, সে একবারও আমার দিকে তাকাচ্ছে না। জানালার দিকে বাইরে তাকিয়ে কী যেন ভাবছে। আমি সাহস নিয়ে তার সাথে কথা বলতে শুরু করলাম।
‘এই যে শুনছেন, আপনি কোথায় যাচ্ছেন?’
সে বলল, ‘গ্রামের বাড়ি।’
‘গ্রামের বাড়ি তো বুঝলাম কিন্তু গ্রামের নাম তো জানা হলো না।’
সে বল, ‘ফুলবাড়ি।’
‘বাহ্! আপনার গ্রামের নাম তো বেশ সুন্দর। মনে হয় আপনাদের গ্রামটা ফুলে ফুলে ভরা, তাই না?’
এই কথা শুনে একটু নড়েচড়ে হাসোৎজ্জ্বল মুখে সে বলল,
‘আপনি তো দেখছি বেশ মজার মানুষ। হ্যাঁ বলাটা আসলে এখন ভুল হবে তবে আগে নাকি আমাদের গ্রামে প্রতিটি পরিবারেই ফুল চাষ করত। যার কারণে আমাদের গ্রামের নামটা ফুলবাড়ি রাখা হয়েছে।’
কিছুক্ষণ পর সে আমাকে জিজ্ঞেস করল, ‘আমি কি আপনার গ্রামের নাম জানতে পারি?’
উত্তর দিলাম, ‘অবশ্যই, আমার গ্রামের নাম হলো সন্ন্যাসীপাড়া।’
মুচকি হেসে সে বলল, ‘তাহলে তো মনে হয় আপনাদের গ্রামটাও সন্ন্যাসীদের ভরা।’
‘আপনার কথা একদম মিথ্যে নয়, আগে না-কি আমাদের গ্রামেও অনেক সন্ন্যাসীরা বসবাস করত।’
‘তাই না-কি!’
‘হুম, তাই।’
‘আপনি ঢাকার কোন জায়গায় থাকেন?’
‘মতিঝিলে।’
কী করেন?’
‘আমি নটর ডেম কলেজে ইন্টারমেডিয়েট সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি।’ ‘আর আপনি কোথায় থাকেন?’
‘আমি ফার্মগেটে থাকি।’
‘কোন কলেজে পড়াশুন করছেন?’
‘হলিক্রশ কলেজে আপনার মতো সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি।’
‘হা হা এ-কী! আমরা দু’জনেই একই ইয়ারে পড়াশুনা করছি। এক্ষেত্রে তো আমরা তুমি কথাটি ব্যবহার করতে পারি, তাই নই কি?’
‘সে বলল, ‘হুম, বলতে পারেন কোনো সমস্যা নাই।’
‘তোমার নাম কি জানতে পারি?’
‘আমার নাম লিলি।’ ‘আর তোমার নাম?’
‘আমার নাম বিশাল। প্লিজ ডোন্ট মাইন্ড, তোমার ফোন নাম্বারটা আমি পেতে পারি?’ সে নাম্বার দিয়ে বলল, ‘রিং দিতে ভুলবে না কিন্তু।’ এভাবে কথা বলতে বলতে কখন যে দুর্গাপুর-বিরিশিরির বাসস্ট্যান্ড-এ পৌঁচ্ছলাম বুঝতে পারলাম না। তারপর আমরা দু’জনে যে যার গ্রামে চলে যাই।
দুই সপ্তাহ ছুটির শেষে ঢাকায় ফিরলাম। প্রতিদিনই কলেজে যায় কিন্তু মনটাকে স্থির করতে পারছিলাম না। লিলিকে মোবাইলে রিং দিয়ে আমার অবস্থা জানাই। সেও একই কথা বলল। মনে মনে ভাবলাম সেও আমাকে ভালবেসে ফেলেছে। কারণ সে যদি আমাকে ভালই না বাসে থাকে তার মন স্থির হবে না কেন? একদিন ফোন করে লিলিকে বললাম, ‘তুমি কি আগামীকাল ফ্রি আছো?’
সে প্রশ্ন করল, ‘কেন?’
‘না মানে তোমার সাথে আমার একটা কথা ছিল।’
‘কোথায় দেখা করতে চাও?’
‘রমনা পাকের্, ঠিক বিকেল পাচঁটায়।’
পরের দিন যথাসময়ে দু’জনে উপস্থিত হলাম। সে জিজ্ঞেস করল, ‘তুমি না কালকে কি কথা বলতে চেয়েছিলে?’
‘লিলি, আসলে কিভাবে শুরু করবো বুঝতে পারছিনা।’
‘আহা নির্ভয়ে বলো না।’
‘লিলি, আসলে প্রথম দেখাতেই আমি তোমাকে মনের অজান্তেই ভালবেসে ফেলেছি।’ কথাটি শোনার পর লিলি নিশ্চুপ হয়ে গেল।
‘লিলি তুমি কিছু বলছো না যে।’
‘বিশাল, আমিও তোমাকে একই কথা অনেক দিন আগে থেকেই বলবো ভাবছিলাম কিন্তু সাহস পায়নি। তবে এখন সাহস পেয়ে গেলাম। হ্যাঁ সত্যিই, আমিও তোমাকে অনেক ভালবাসি।’ এরপর থেকেই আমরা একে-অপরকে ভালবাসতে শুরু করলাম। একদিন কথা বলতে না পারলে আমাদের ভাল লাগতো না। ঢাকায় এমন কোনো দর্শনীয় স্থান নেই সেখানে আমরা যাই নি। সবখাইে আমরা ঘুরেছি।
এইচ. এস. সি পরীক্ষায় পাসের পর দু’জনেই একটি কোচিং সেন্টারে ভর্তি হলাম। মাঝে মাঝে কোচিং-এ ফাঁকি দিয়ে পার্কে বসে সময় কাটাতাম। কিভাবে যে দিন কেটে যেত বুঝতে পারতাম না। অক্টোবরের শেষের দিকে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা হয়ে গেল। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো মায়ের হঠাৎ মৃত্যুর কারণে আমি ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে পারি নি। এদিকে লিলি পরীক্ষায় পাস করে ‘বেগম রোকিয়া’ হলে থেকে ভার্সিটিতে ক্লাশ করতে শুরু করল। এরপর থেকেই আমাদের সম্পর্কে ফাটল ধরলো। মোবাইলে রিং দিলেও নানা অজু হাতে বেশিক্ষণ কথা বলতে চাইতো না। তারপরও আমি কিছু বলতাম না তাকে। মৃদু স্বরে শুধু জিজ্ঞেস করতাম, ‘তাহলে তোমার সময় হবে কবে ডিয়ার?’ সে বলত, ‘সময় পেলে আমি কল দিবো তোকে।’ কিন্তু সে কখনো কল দিত না। বন্ধুরাে প্রায়ই বলতো, ‘কিরে দোস্ত তোর ডার্লি তো দেখছি আজকাল অন্যজনের সাথে ঘুরে।’ তখন আমি কষ্টে শুনেও না শুনার ভান করতাম। বলতাম, ‘কাকে না কাকে দেখেছিস আর এখানে এসে আজেবাজে কথা বলিস। তোরা জানিস না আসলে ও আমাকে কতটুকু ভালবাসে।’ ‘জানি জানি সব জানি দোস্ত তবে এটাও সত্য আমরাও না জেনে এসব কথা বলছি না।’
একদিন ফার্মগেট থেকে বাসায় ফিরছিলাম। তখন বিবেল পাঁচটা। শাহবাগে এসে জ্যামে আটকা পরলাম। ২৫ মিনিট পার হলো কিন্তু বাস একটুকুও নড়ল না। বাস থেকে নেমে হাঁটা শুরু করলাম। রমনা পার্কে ঢুকে মাঝখান দিয়ে হাঁটছি। যে দিকে তাকায় সেদিকেই সবুজ আর সবুজ। এরূপ অপূর্ব সবুজ সমারোহ দৃশ্য দেখে আমার বেশ ভালই লাগছিলো। কিন্তু কিছু দূর যেতে না যেতেই এভাল লাগাটা বিষাদে পরিণত হলো। পার্কের উত্তর পাশে একটি গাছের নিচে একজন প্রেমিক ও একজন প্রেমিকা মুখোমুখি বসে পরস্পরের হাত ধরে হাসাহাসি করে কি যেন আলাপ করছে। ভাল করে লক্ষ্য করি সেই প্রেমিকা অন্য কেউ নয়, সে আমারই মনের মানুষ, লিলি। তখন আমি কি যে কষ্ট পেয়েছিলাম তা ভাষায় প্রকাশ করতে পারব না। নারীর মন জানে না নারায়ণ আমরা তো সাধারণ। একথাটি বার বার মনে পড়লো। রাগে দুঃখে অভিমানে ছেলেটাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পারি নি। কারণ আমি জানি ভালবাসা পবিত্র। ভালবাসা কোন পাপ নয়। যেহেতু তারা দু’জন দু’জনকে ভালবাসে সেহেতু তাদের ডিসটার্ব করে লাভ নেই। জোর করে কোন ভালবাসা হয় না। লিলি, তোমরা সুখে থাক, শান্তিতে থাক। মৃত্যুর পরে যদি কোন এক জীবন থাকে তাহলে সেই হবে আমার জীবন। সেখানে বেশিক্ষণ থাকতে পারলাম না।
রমনা পার্ক থেকে বের হয়ে কোথায় যে হাঁটছি নিজেও বুঝতে পারছিলাম না। মাথার মধ্যে বিভিন্ন ধরনের চিন্তা আসতে লাগল। অতীত জীবনের স্মৃতিগুলো যতই স্মরণে আসছে ততই আমার কষ্ট আরো বাড়তে লাগল। এই সুন্দর পৃথিবীতে দুঃখ কষ্ট নিয়ে বেঁচে থেকে কোন লাভ নেই। কারণ যাকে নিয়ে ঘর বাধার স্বপ্ন বুনেছিলাম, সুখে শান্তিতে থাকতে চেয়েছিলাম, সে আজ অন্যের হয়ে গেছে। লিলি, তুমি কেন আমার সাথে এমন প্রতারণা করলে? তুমি না একদিন বলেছিলে, আমি তোমাকে ছেড়ে কোথাও চলে যাবো না। সেটা কি তোমার মুখের কথা, না-কি শুধু অভিনয় ছিল? না এজীবন রেখে কোনো লাভ নেই। সামনে দেখতে পাচ্ছি একটি যাত্রীভর্তি বাস দ্রুত আসছে। আমি বাসের সামনে ছুটে গিয়ে দাঁরালাম। কিন্তু বাস চালক আমাকে দেখা মাত্রই তাড়াতাড়ি বাস ব্রেক ধরলেন। বাস হেলপার আমাকে পাগল বলে গালিগালাজ দিয়ে রাস্তা থেকে ধাক্কা মেরে সরে দিলেন। আমি রাস্তা থেকে উঠে মাথা নত করে ফুটফাথ দিয়ে হাঁটতে লাগলাম। কিছুদূর হেঁটে গিয়ে একটি ঔষুধের দোকান পেলাম। সেখান থেকে ঘুমের বড়ি কিনতে চাইলাম। দোকানদার প্রথমে দিতে চাইলেন না। অনেক করে বলার পর সে আমাকে এক পেকেট ঘুমের বড়ি দেন। ঘুমের বড়ি নিয়ে আমি চলে এলাম। আমি এখন নিশ্চিত যে কেউ আমাকে মৃত্যুর হাত থেকে বাচাঁতে পারবে না। কিছু দূর যাওয়ার পর ঢং ঢং ঘন্টার আওয়াজ শুনতে পেলাম। ভাবলাম, মরার আগে গির্জায় গিয়ে ঈশ্বরের কাছে শেষ বারের মতো প্রার্থনা করে আসি। প্রণাম করে গির্জা ঘরে ঢুকে সবার পিছনে বসলাম। তখন ফাদার উপদেশ দিচ্ছিলেন, ‘আত্মহত্যা মহাপাপ। যে পাপের কোনো ক্ষমা নেই। যার আত্মা কোন দিনই শান্তি পায় না। স্বর্গে স্থান পাওয়ার তো দূরের কথা নরকেও তার স্থান নেই। আমার বড় কষ্ট হয় তাদের জন্য যারা আত্মহত্যা করে। বিশেষভাবে যুবক-যুবতিরা, যারা তাদের মনের মানুষকে না পাওয়ার বেদনায়, হতাশায়, নিরাশায় দুঃখে-কষ্টে আত্মহত্যার পথ বেচে নেয়।
তারা কি মনে করে যে, তাদের মনের মানুষকে পেলেই সুখী হবে? হতেও তো পারে বিয়ের কয়েকদিন পর তাদের প্রেমিক বা প্রেমিকা কোনো এক দুর্ঘটনায় মারা যেতে পারে। তখন তাদের কি অবস্থা হবে? তাই আমাদের মনে রাখতে হবে মানুষের সব স্বপ্নই পূরণ হয় না। আবার ভালবাসলেই সবার সাথে ঘর বাধা যায় না।
তারা কি কখনো চিন্তা করে না যে, আত্মহত্যার পর তাদের পিতামাতা, ভাইবোন ও আত্মীয়স্বজনেরা কত কষ্ট পায়। যে মা ৯ মাস ১০ দিন গর্ভে ধারণ করে জন্ম দিয়ে এপর্যন্ত লালন পালন করে আসছে। তখন তার কী অবস্থা হবে? পিতামাতার কাঁধে সন্তানের লাশ এরচেয়ে কষ্ট আর কি হতে পারে?
তারা কী মনে করে যে, আত্মহত্যা করলেই তাদের সব দুঃখ-কষ্ট দূর হবে? হ্যাঁ তাদের দুঃখ-কষ্ট এই জগৎ সংসার থেকে কিছুটা মুক্তি পাবে। কিন্তু তাদের আত্মার কি অবস্থা হবে? তাদের আত্মা তো কখনো শান্তি পাবে না। তাই প্রভু যীশুর কথা মত সারা জগৎ পেয়েও যদি নিজের আত্মাকে হারায় তাতে কি লাভ হলো? চেয়ে দেখ ঐ ক্রুশের দিকে আমাদের পাপের জন্য প্রভু যিশু কত কষ্ট সহ্য করেছেন। আর আমরা কি-না সামান্য হারানোর বেদনার জন্য দুঃখকষ্টকে সহ্য করতে পারি না। তাই আমাদের মনে রাখতে হবে ঈশ^রের দেওয়া এই সুন্দর জীবনের জন্য তাকে কৃতজ্ঞচিত্তে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে তার আশীর্বাদ যাচ্না করা দরকার। যাতে আমরা সুখে শান্তিতে জীবন যাপন করতে পারি।’ ফাদারের উপদেশ শুনে আমি কান্না ধরে রাখতে পারি নি। কেঁদে কেঁদে আমি যিশুর কাছে প্রার্থনা করে বলি, ‘হে প্রিয় বন্ধু যিশু আমাকে ক্ষমা কর কারণ আমি দুর্বল পাপী মানুষ, না জেনে আবেগ তাড়িত হয়ে আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলাম। প্রভু, আমাকে আশীর্বাদ কর আমি যেন আবার নতুনভাবে জীবন শুরু করতে পারি।’ উপাসনার শেষে ফাদারকে যিশু প্রণাম দিয়ে বললাম, ‘ফাদার আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।’ ফাদার প্রশ্ন করলেন, ‘কেন?’ ‘আপনার ভাল উপদেশ দেওয়ার জন্য। কারণ আপনার উপদেশ শুনে আমি আবার নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি।’ ফাদার জিজ্ঞেস করলেন, ‘কী হয়েছিল তোমার?’ আমি একে একে আমার জীবনের সমস্ত ঘটনা খুলে বললাম। এতে ফাদার আমাকে আদর করে বললেন, ‘বিশাল তোমাকেও ধন্যবাদ কারণ তুমি নিজের ভুল বুঝতে পেরে অনুতপ্ত হয়েছো। আমাদের সবসময় মনে রাখতে হবে যে, মানুষের জীবন চলার পথে দুঃখ কষ্ট আসবেই। সেগুলো আমাদের ধৈর্য সহকারে মোকাবেলা করতে হয়। আর যে জিনিসটা সবচেয়ে প্রয়োজন সেটা হলো আমাদের প্রতিদিনই প্রার্থনা করতে হবে। কেননা জীবনে সাফল্য পেতে হলে দৃঢ় ইচ্ছা ও অধ্যাবসায়ের সাথে সাথে ঈশ্বরের নিকট আশীর্বাদও যাচনা করতে হয়।’ শেষে ফাদারকে ধন্যবাদ দিয়ে তাঁর কাছ থেকে আশীর্বাদ নিয়ে আনন্দ মনে বাসায় ফিরে এলাম।



 




সম্পাদক : মিঠুন রাকসাম

উপদেষ্টা : মতেন্দ্র মানখিন, থিওফিল নকরেক

যোগাযোগ:  ১৯ মণিপুরিপাড়া, সংসদ এভিনিউ ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫। 01787161281, 01575090829

thokbirim281@gmail.com

 

থকবিরিমে প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। Copyright 2020 © Thokbirim.com.

Design by Raytahost