Thokbirim | logo

১লা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমরা আটকে গেছি ।। মৃগেন হাগিদক

প্রকাশিত : জানুয়ারি ০৬, ২০২৪, ১৪:১২

আমরা আটকে গেছি ।। মৃগেন হাগিদক

প্রগতিশীল নেতাদের অভিমত, আমরা (আচিক, মান্দি বা গারো) আটকে আছি, আটকে গেছি নির্দিষ্ট পরিধি, বৃত্ত বা বক্সে। বক্সের বাইরের জগত, সমসাময়িক বিশ্ব ব্যবস্থা, ভূ-রাজনীতির মেরুকরণ, অর্থনীতির উত্থান-পতন, পরাশক্তির সম্প্রসারণবাদ নীতি, আন্তর্জাতিক বার্নিং ইস্যুগুলো সম্পর্কে আমাদের ধারণা তলানীতে, সীমিত। গোলক ধাঁধা থেকে বেরিয়ে আসার সম্মিলিত উদ্যোগ নেই। আটকে থাকা সংস্কৃতি পরিশীলিত জীবন চেতনা এবং উন্নয়ন পরিপন্থী, স্রোত এবং গতিবিরোধী।

Rice Liquor অর্থাৎ “চু” নামক সর্বনাশা  তরল মাদক আমাদের কাঁধে চড়ে গরম নিঃশ্বাস ফেলছে। এর আসক্তিতে বেড়াজালে আটকে গেলে সটকে পরার পথ বন্ধ। চু জীবন ধারণের  অত্যাবশ্যকীয় উপাদান নয়, যদিও আমাদের সমাজে এর অবস্থান ভিন্ন মাত্রায়, অনন্য উচ্চতায়। বিরামহীন মদ্যপানে মূত্রথলি থেকে উপরে খাদ্যনালী দিয়ে গলা বেয়ে উপচিয়ে পড়ে ((Trickledown আবর্জনা, এবং মাতাল হলে সবাই রাজা। শুরু হয় ছোট মুখে বড় গল্প, বৌ পেটানো, জ্বালাতন, চিৎকার, চেঁচামেচি, গালিগালাজ, রাগারাগি মাতলামির সাইড ইফেক্ট। সমাজের বিপুল সংখ্যক যুবক-পুরুষ উৎকট মদ্যপানেচ্ছা (উরঢ়ংড়সধহরধ) রোগে আক্রান্ত,উদরপূর্তি এবং পরিতৃপ্ত না হলে “সেগারা” পান  অথবা “স্থি” খেয়ে গরুর মতো জাবরকাটে। ভারতেও তালেবানী গারো খৃষ্টান(অর্থডক্স-গোঁড়া)ছাড়া সবাই  মদ্যপানে অভ্যস্ত, আসক্ত। মেঘালয়ের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুতকৃত ভটকা, রাম, হুইস্কি, জিন ব্রান্ডের মদ সস্তা এবং সহজলভ্য।সুতরাং আমরা চু, চু-বিচ্চি এবং রঙিন বোতলে আটকে গেছি। 

বিশ্ব প্রকৃতি আমাদের প্রতি বড় উদার, অপরিনত বয়সে দুরন্ত যৌবন, দুর্নিবার জোয়ার, দেহমনে অপ্রতিরোধ্য প্রেমের উত্তাল ঢেউ।মাধ্যমিকে পা রাখামাত্র কণ্ঠে “ মেরা দিলভি কিটনা প্যাগাল হ্যায়” আর উচ্চ মাধ্যমিক পেরোলে “বন্দে মায়া লাগাইছে, পিরিতি শিখাইসে, দেওয়ানা বানাইসে” গান, প্রেমের পরম পূর্নতা, মিলন। যুবক-যুবতীরা বিভোর প্রেম-ভালবাসার দ্রৌপদি রসায়নে। জীবনের বারান্দায়, সমাজের সিড়িতে, সর্বস্থানে কপোত-কপোতীদের রোমান্টিক বিচরণ। প্রেম দিওয়ানায় School Dropout,, শিক্ষার রানওয়ে থেকে অকালে ঝড়ে পড়া এ সকল Good for Nothing ব্যক্তি পরিবার-সমাজের বোঝা।তাদের অনাগত ভবিষ্যৎ দন্ত ঘর্ষন এবং গর্জন। পরিবারে ‘গেল গেল, যায় যায়” ভাব, আর্তন্দা। আটকে যাওয়ার করুণ পরিণতি!

আমাদের কর্মজীবী-শ্রমজীবী মা-বোনেরা খুব ভোরে, সূর্য উঠার আগেই কর্মযজ্ঞে; সকালের নাস্তা, কর্মক্ষেত্রে গমন, হাড়ভাঙা খাটুনী,বাসায় ফিরে রান্না, ঘর গোছানো, কাপড় কাঁচা, রাতের খাবার, হাড়ি পাতিল ধোওয়া, অনেক রাতে শ্রান্ত-ক্লান্ত দেহে বিছানায়। স্বামী উপার্জনহীন, স্ত্রীর পয়সায় উদর পূর্তি, চাপাবাজী, নেতাগিরি, পরচর্চা, পরনিন্দা, গীবত, স্ত্রীর জমি বিক্রি,না জানিয়ে ক্রেডিট থেকে লোন, ধারকর্জ। আশ্চর্য, সংসারের বোঝা একা টানাটানি এবং দীর্ঘকালীন বঞ্চনাতেও (Chronic Deprivation) কোন মান-অভিমান, অভিযোগ নেই।তারা স্বামী নামক “বাহুত্রা” ব্যক্তির “জাগজিপা-মুক্ষেমায়” কাবু, আন্দোলিত।পীরিত মানে যন্ত্রনা তারা তো বুঝেনা।আহারে প্রেম, মাদকতা,“দিশাহারা কেমন বোকা মনটা রে…।“

আমাদের সমাজের কতিপয় মানুষ রাজনীতিতে দেবী দক্ষিনা প্রত্যাশী, চাতক পাখীর মতো ঢাকা দিকে ফ্যাল ফ্যাল চাহনি। রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকে দলীয় কর্মকাণ্ডে অবদান রাখার রেকর্ড না থাকলেও দেবীর করুণা-অনুকম্পায় রাজকীয় অনুপ্রবেশ। পদ-পদবী, ক্ষমতার অংশীদারিত্ব এবং মাল্টিসোর্স থেকে “টু পাইস” কামিয়ে ভাগ্য পরিবর্তন; মাটির ঘরে সিরামিকের প্রাসাদ। মেঘালয়ে গারো রাজনীতিতে পরিবারতন্ত্রের উলুধ্বনি,বাবার অন্তর্ধানের সাথে ছেলেমেয়ের অভিষেক, স্থলাভিষিক্ত।তবে সেখানে এক দল, এক নীতিতে আটকে থাকার সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত নয়। ফলে শাসক, বিরোধী এবং আঞ্চলিক দলে সক্রিয় অংশগ্রহন, ভ্যালু এড করার প্রবণতা।

ইদানিং সমাজে সংস্কৃতির রমরমা উত্থান। অবলুপ্ত “দক্কা-দাম্মা ডাকবেওয়াল” নতুন রূপে  প্রত্যাবর্তন। নাচগানের প্রতিষ্ঠান, কালচারাল একাডেমী,  সংস্কৃতি চর্চা, ব্যান্ড দল, Liturgical Commission । নারী ব্যান্ড দল “এফ মাইনর” মঞ্চ থেকে টিভিতে, জাতীয় অনুষ্ঠানে। তাদের পারফরমেন্স এখন গতানুগতিক বৃত্তের বাইরে। কস্টিউম, অরনামেন্টস, মিউজিক্যাল ইন্সট্রুমেন্টস যেখানে ছিল, নতুন পরিচয়ে উদ্ভাসিত।এগুলো এখন বিজনেস ব্রান্ড। সমাজে অনেক কবি-সাহিত্যিক-লেখক-গবেষক  গারোদের নিয়ে রচিত গুটিকতক বই নিয়ে আটকে আছে, Compile করে সাহিত্যাঙ্গনে ভমি করে।সেখানে মৌলিক “মাল মসল্লা” কম, প্রাইমারী ডেটা এবং অরিজিনালিটি অনুপস্থিত।বাংলাদেশ-মেঘালয়েরExchange Program আশা জাগানিয়া, উৎসাহ ব্যঞ্জক উদাহরণ। প্রক্রিয়ায় মনিটারি ভ্যালু সামান্য,তবে সুদূরপ্রসারী Impact  অনেক।

সংগঠন সংশ্লিষ্ট পদ-পদবী, ক্ষমতা, ক্ষমতার লড়াই, আস্ফালন, নীতি বিরুদ্ধ কাজ, আত্মপ্রচার, চাপাবাজী, ব্যক্তি বন্দনা, অন্তর্দ্বন্দ্ব, পেশীশক্তি প্রদর্শন, বিশ্বাসঘাতকতা ইত্যাদি আমাদের রক্তমাংসে ঢুকে গেছে।

“আমি কেন্দ্রীক” ইগ্যোতে গোটা সমাজ, ডিগবাজী এবং টালমাটাল। শহরে মান্দি অধ্যুসিত এলাকাগুলোতে “নামকা ওয়াস্তে” সাইনবোর্ড সর্বস্ব সংগঠনের ছড়াছড়ি। কতিপয় বিতর্কিত ব্যক্তি বা  গোষ্ঠী সংগঠনের ধারক এবং বাহক চেটে খাওয়ার প্রক্রিয়ায় যুক্ত। সোস্যাল মিডিয়া আত্মপ্রচারনায় ভারাক্রান্ত।ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং ময়মনসিংহ শহরে নেতা, পাতি নেতার দম্ভোক্তি,পরিবারগুলো লোনের চক্রজালে আবদ্ধ। আটকে যাওয়ার  শ্বাসরুদ্ধকর কালচার।

এখনো আমরা বৃটিশদের দেখানো, মিশনারিজদের শেখানো কেরানি মার্কা ((Clerical Type of Education) ক্ষা নিয়ে আত্মতৃপ্তিতে মগ্ন।এ ধরনের শিক্ষা দিয়ে বৃটিশরা বানাতো কেরানী, মিশনারিজরা ক্যাটেকিষ্ট, প্রচারক। সাম্প্রতিকালে বহুল আলোচিত-চর্চিত শিক্ষা কার্মক্রম(STEM- Science, Technology, Engineering and Math জীবন সাজাতে, জীবন বাঁচাতে বৈপ্লবিক ভূমিকা রাখছে।পেশাগত-প্রযুক্তিগত শিক্ষা; যেমন নার্সিং, ব্যবসা, ড্রাইভিং, ম্যাকানিক্স, কুলিনারী, বিউটিফিকেসন, বিজনেস, মার্কেটিং, টেক্সটাইল, ক্যামিক্যাল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল বা হেলথ সাইন্সের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা/ডিগ্রি উল্লেখযোগ্য। ভারতে আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা শিলং, গুয়াহাটি, দিল্লি, চন্ডিগড়, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, কলকাতায় লেখাপড়া করছে। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি, তারাও স্টেম এর ধারে কাছেও নেই।অবশ্য উল্লেখিত শিক্ষাগুলো ব্যয়বহুল, সময়সাপেক্ষ এবং মেরিট বেইসড।আমাদের ডিগ্রীপ্রাপ্ত যুবক যুবতী  গ্লোবাল জব মার্কেটে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারছে না। আমরা  এখানেও আটকে আছি।

আমরা সন্দেহাতীতভাবে Customary Law, Matrilineal System and Structures এ অনুগত, অনুরক্ত, পূজারী। প্রচলিত প্রথাগত আইন সংশোধন-সংযোজন করে মেঘালয়ে Garo Hills Autonomous District Council (GHADC)অনুমোদন করে “Codification of Garo Customary Law Bill-2009 অনুমোদিত আইনের বিপক্ষে, বিতর্ক, আলোচনা তুঙ্গে।মাদারস ফোরাম মেঘালয় গভর্নরকে পিটিসন দিয়েছে যেন আইনে স্বাক্ষর না করেন। উক্ত আইন ক্ষতিকর, যুগ বহির্ভ্‌ূত, নারী অধিকার, ক্ষমতায়ন এবং মানবাধিকারের সাংঘর্ষিক। প্রস্তাবিত আইনের ধারা-উপধারায় আমরা আটকে গেছি।

আমাদের খ্রিষ্ট ধর্মে বিশ্বাস, অন্তর্ভূক্তি, দীক্ষা, অনুশীলনের  বয়স প্রায় দেড়শো বছর।দেড়শো বছরে ৮০% ভাগ গারো প্রকৃতি পূজা (Animism)এবং বহুদেববাদ (Polytheism)  ছেড়ে খ্রিষ্ট ধর্ম গ্রহন করেছে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের ভন্ড ধার্মিক, উগ্র ধর্মান্ধ এবং  মৌলবাদী বানাচ্ছে। ধর্মাচরণের নামে বহুবিধ সোর্স থেকে অর্থ সংগ্রহ, ব্যাঙের ছাতার মতো গীর্জা নির্মান, ক্ষমতার দ্বন্দ্ব, মামলা মোকর্দমা, মানুষকে ঐশ্বরিক স্থানে স্থাপন (প্রভু সম্বোধন) অশুভ লক্ষ্মণ। এর সুফল পাচ্ছে স্বার্থান্বেষী  গোষ্ঠী, প্রতিষ্ঠান, ক্লার্জিম্যান অথবা বাইবেল মুখস্ত করে অপব্যাখ্যা দানকারী ধর্ম ব্যবসায়ী মহল।

আমরা জেনারেসন টু জেনারেসন উগ্র মাহারীবাদের (Extreme Maharism)।মায়াজালে আটকা। সম্পর্ক ((Kinship) আবেগ, টুগেদারনেসস, বিলংগিংনেস, সংঘবদ্ধ জীবন যাপন, অন্যের প্রয়োজনে সাহায্য, যৌথ সিদ্ধান্ত,মাহারী মিটিং-সিটিং-ইটিং, প্রতিপক্ষের সাথে সম্মিলিত লড়াই মাহারীবাদের পজিটিভ ডাইমেনসন। অন্যদিকে মাহারীর জন্য অহেতুক ব্যয়, সময়-শ্রম-মেধা, জরিমানা, বাদানুবাদ, অন্য মাহারীদের হেয়প্রতিপন্ন, প্রতিযোগীতা মাহারীবাদের Dark Side । স্ত্রীর অনাকাংখিত অন্তর্ধান, বিপত্মীক ব্যক্তির অমর্যাদা, ভরনপোষণের অনীহা, স্ত্রী কর্তৃক বিতাড়িত হলে মান্দি পুরুষের অন্তিম আশ্রয় মাহারী-মানক। মাহারী হয়ে উঠেছে খাজাবাবার দরগা।

মাতৃসূত্রীয় সমাজ ব্যবস্থায় মাহারীর গুরুত্ব অপরিসীম। প্রথাগত আইনে জমিজমা মাহারীর, ব্যক্তির নয়।সন্তানেরা মায়ের মাহারীর (Family or Surname)নামে পরিচিত, মায়ের বিষয় সম্পত্তি মা থেকে মেয়েদের কাছে হস্তান্তরিত, মাহারীর বয়োজেষ্ঠ পুরুষ (চ্রা) ঢাল তলোয়ার না থাকলেও ক্ষমতাবান। এ Mahari Cycle and Circle আমাদের আটকিয়ে রেখেছে স্মরণাতীত কাল থেকে, আবদ্ধ করেছে রক্তের এবং আত্মার সম্পর্ক নামক বিনি সুতোর মালা দিয়ে।

আমাদের ১৩টি গোত্রে ১৩ রকমের ভাষা থাকলেও বাংলাদেশে আবেং এবং ভারতে আচিক বহুল প্রচলিত।নিজস্ব বর্নমালা না থাকা সাহিত্যে রোমান এবং বাংলা বর্নমালার ব্যবহার।ভাষাতেও আমাদের আটকাবস্থা। শয়নে স্বপনে নিদ্রায় জাগরন মাতৃভাষা। কিন্ত এর বহুমাত্রিক ব্যবহার সীমিত। জাতিসঙ্ঘের অনান্য ভাষা শিক্ষা থেকে আমরা যোজন যোজন দূরে। ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনা কতো বড় দেশ।অথচ দেশ দু’টির অফিসিয়াল ভাষা পর্তুগীজ এবং স্প্যানিজ, ভাষা নিয়ে কেউ মাতামাতি করেনা। বর্তমান বিশ্বের বিভিন্ন দেশ-অঞ্চলে, ইংরেজি ৮৬, ফ্রেঞ্চ ২৯,স্প্যানিজ ২১, চাইনিজ ২১, এরাবিক ২৫, রাশিয়ান ৪টি দেশের অফিসিয়াল ভাষা। উন্নত, শিক্ষাক্ষেত্রে অগ্রগামী, প্রযুক্তিতে স্বয়ং সম্পূর্ন দেশগুলো অন্য ভাষা ব্যবহার করে।আমরা বৃত্ত থেকে বিন্দু হিরো থেকে জিরোতে।

আটকে থাকার বন্ধন থেকে বর্তমানে অনেকেই মুক্ত, কণ্ঠে তাদের Break Up Song, স্বাধীনতার স্বাদ। পিতামাতার কাছে ছেলেমেয়ের গুরুত্ব সমান, অর্জিত সম্পত্তি সমান ভাগে বিভাজ্য।পারিবারিক মায়া ছেড়ে গ্রাম থেকে শহরে, দেশ থেকে অন্য দেশে অভিবাসিত হচ্ছে, কাউকে আটকে রাখা যাচ্ছে না। ধর্মীয় মৌলবাদিতার স্থানে যুক্তি,বিশ্বাসের সাথে বাস্তবতার সহাবস্থান। বাবার মাহারী গ্রহন, অথবা বাবা মায়ের মাহারী বর্জন Paradigm Shift এর নতুন রূপ। অর্থনীতি বদলে দিচ্ছে আজন্মলালিত রীতিনীতি, পেশায় কৃষি এবং চাকরি। শিক্ষাক্ষেত্রে পেশাগত-প্রযুক্তিগত ধ্যান ধারণা, ব্যবসা-কর্মক্ষেত্রে পরিবর্তন। সংগঠন, সাংগঠনিক নৈপুণ্যটা, নেতৃত্ব, রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয়তা বেড়েছে। মদ্য পান ও সেবনে অতি সতর্ক, মিতব্যয়ীতা। উপার্জনহীন স্বামীদের স্বর্নযুগের অবসান, “টাটা বাই বাই” করা হচ্ছে “স্বর্নকমল” থেকে। ঘুরে দাঁড়িয়েছে সমাজ। গ্রামের অবকাঠামোগত চিত্র পালটে গেছে, সবখানে প্রযুক্তির অর্থপূর্ণ ব্যবহার। 

আমাদের কেউ আটকে আছে, কেউ প্রকৃতির অমোঘ বিধানে বন্ধনমুক্ত।শৃংখলাবদ্ধতা, আটকে থাকার পিঞ্জর থেকে যত দ্রুত মুক্ত হওয়া যায়, আমাদের জন্য আশীর্বাদ।

 

লেখক পরিচিতি

মৃগেন হাগিদক একজন সমাজ চিন্তক, লেখক।




সম্পাদক : মিঠুন রাকসাম

উপদেষ্টা : মতেন্দ্র মানখিন, থিওফিল নকরেক

যোগাযোগ:  ১৯ মণিপুরিপাড়া, সংসদ এভিনিউ ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫। 01787161281, 01575090829

thokbirim281@gmail.com

 

থকবিরিমে প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। Copyright 2020 © Thokbirim.com.

Design by Raytahost