Thokbirim | logo

২রা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৬ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সাহিত্য বনাম অনটন  ।। নীলু রুরাম

প্রকাশিত : জুন ২৩, ২০২১, ১৬:৩৬

সাহিত্য বনাম অনটন  ।। নীলু রুরাম

‘দুটি ডালভাতের সংস্থান না রেখে বাংলাদেশে কেউ যেন সাহিত্য করতে না আসে’ স্বনাম ধন্য সাহিত্যিক মানিক বন্দোপাধ্যায়ের মন্তব্য দিয়েই আমার লেখনি শুরু করলাম। আমি নিজে সেই কাতারে তো নয়ই তদুপোরি আমি একজন নগণ্য সাহিত্য রসিক। লেখনি আমার পেশা নয়। আমি মনের তাগিদে লিখি। নিজের যশ মান আমার লক্ষ্য নয়। লিখছি, লেখকের নিচের রুঢ় মন্তব্যটা কেন্দ্র  করে। যৌবনে লেখা শুরু করেছি বয়োবৃদ্ধ অবস্থাতেও লিখছি মনের তাগিদে।  লেখকের এ হেন সামর্থ না থাকলে চারিদিক থেকে অভাব জিনিসটা চেপে ধরে। এই বাঁধনটা উল্টাপাল্টা আরো জট বাঁধায়। আর্থিক অনটন ঘরে বাইরে দুদিক থেকেই নির্মল মননশীলতায় ব্যাঘাত  ঘটায়। সৃজনশীলতায় চলমানতায় ছেদ ধরায়। বেকার শব্দটা  প্রতিনিয়ত সমাজে হীনমন্যতার জন্ম দেয়। আর্থিক অক্ষমতা লেখার ব্যাপকতায় ও মননশীলতা আত্মপ্রকাশে বিরাট বাধা স্বরূপ হয়। সাবলীল ছন্দ, কল্পনায় এক দুর্লংঘ প্রাচীর  হিসেবে সন্মুখে বিরাজমান হয়। আয়ের উৎস না থাকায় সনাজের লোকেরা আড়ালে আবডালে বাঁকা কথা বলে। ঘরের মানুষ তীর্যকভাবে বাণ ছুড়ে। মাঝে মাঝে লেখনিটা ছুড়ে ফেলে দিতে ইচ্ছে হয়। তবুও পারা যায় না, মনের কল্পনাগুলো সাবানের ফেনার ন্যায় ক্রমাগত ঘুরপাক খায়। জন্ম দেয় হয়তো কবিতা, গল্প না হয় প্রবন্ধ। তখন আর্থিক অভাব অনটন ক্ষণিকের জন্য পশ্চাৎপদ হয়। সাহিত্য চর্চায় সংসার চলে না আর্থিক  সচ্ছলতা না থাকলে। পেটে ডানা না পড়লে সাহিত্যও বিদ্রোহ করে। দেবদেবীদের ন্যায় উগ্রতায় পর্যবসিত হয়। সাহিত্যক মানিক বন্দোপাধ্যায় সারা জীবন আর্থিক অনটনে পড়েই নিম্নোক্ত খেদোক্তি করেছিলেন।

এটা সাংসারিক ও বাস্তবতার নিরিখে অত্যন্ত রুঢ় সত্য।



 




সম্পাদক : মিঠুন রাকসাম

উপদেষ্টা : মতেন্দ্র মানখিন, থিওফিল নকরেক

যোগাযোগ:  ১৯ মণিপুরিপাড়া, সংসদ এভিনিউ ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫। 01787161281, 01575090829

thokbirim281@gmail.com

 

থকবিরিমে প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। Copyright 2020 © Thokbirim.com.

Design by Raytahost