Thokbirim | logo

৬ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

শালবনের গারো গ্রামে চলছে ‘রংচু গাল্লা’ অনুষ্ঠান

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ০৯, ২০২২, ১২:২৪

শালবনের গারো গ্রামে চলছে ‘রংচু গাল্লা’ অনুষ্ঠান

আদি সাংসারেক গারো সম্প্রদায়ের সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রধান উৎসব হচ্ছে ‘ওয়ান্না’ বা ‘ওয়ানগালা’। আর এই ‘ওয়ান্না’ বা ‘ওয়ানগালা’ উৎসবের আগের কৃত্যানুষ্ঠান হচ্ছে রংচুগালা। রংচু’ অর্থাৎ চিড়া আর ‘গাল্লা’  হচ্ছে  উৎসর্গ করা । রংচুগাল্লা মানে দেবতাদের উদ্দেশ্যে নতুন ধানের রংচু উৎসর্গ করা।

প্রতি বছরের মতো এই বছরও শুরু হয়েছে মধুপুরের শালবনে বসবাসরত গারো আদিবাসীদের  ধর্মীয় ও সামাজিক কৃত্যানুষ্ঠান ‘রংচু গাল্লা’। গারো অধ্যুষিত  বিভিন্ন গ্রামে সপ্তাহ জুড়ে চলছে আদি সাংসারেক ধর্মের এই ধর্মীয় ও সামাজি অনুষ্ঠান।

রংচু গাল্লা

রংচু গাল্লা-থানারবাইদ গ্রাম। ছবি : সংগৃহীত

গতকাল থানার বাইদ গ্রামে অনুষ্ঠিত হয় রংচু গাল্লা । আগামীকাল ১০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে পীরগাছা গ্রামে। এর আগে চুনিয়া, জয়নাগাছা ইত্যাদি গ্রামে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

‘রংচুগালা ওয়ান্না হলো নতুন শস্য মিসি-সালজংকে উৎসর্গ কেন্দ্রিক কৃত্য আচার এবং এটা হা’বাহুআ থেকে নতুন ধান ঘরে তোলার সাথে সাথেই করা হয় না। হা’বাহু,আ থেকে ফসল ঘরে তোলার পরপরই প্রথমে যে কৃত্যটি করা হয়, তার নাম রংচুগাল্লা। রংচু’ মানে চিড়া আর ‘গাল্লা বলতে উৎসর্গ করা বোঝায়। রংচুগাল্লা মানে দেবতাদের উদ্দেশ্যে নতুন ধানের রংচু উৎসর্গ করা। সাংসারেক মতে, ধান সংগ্রহের জন্য যখন ধানের শীষ কাটা হয় তখন মি.নিমার শরীরের অংশ কেটে ফেলা হয় বলেই বিশ্বাস করা হয়, যা একধরনের মারাং। এজন্য দেবতাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে রংচুগাল্লা কৃত্য পালন করা হয়। অবশ্য রংচুগাল্লার আগে আরো একটি কৃত্য সম্পন্ন করা হতো- যার নাম জামেগাপ্পা। আর রংচুগাল্লার এক মাসের মধ্যেই করা হয় ওয়ান্না। হা’বা থেকে ধান কাটার পর তা মাড়াই করে প্রথমে মিজামে উঠানো হয়। রংচুগাল্লা করার আগ পর্যন্ত নতুন ধানের ভাত রান্না করে খাওয়া যায় না। তাই রংচুগাল্লার আগ পর্যন্ত নতুন ধান দিয়ে ভাত রান্নার পরিবর্তে চাল ভেজে ভেজে খাওয়ার নিয়ম রয়েছে। সাংসারেকদের মধ্যে প্রচলিত ট্যাবু হলো এই যে, রংচুগাল্লা পালন করা দেবতা সালজং এর নির্দেশ এবং এই নির্দেশ অমান্য করলে- ধান কাটার পর রংচুগাল্লা না করে নতুন ধানের ভাত খেলে তাদের শত্রু জন্ম নিবে, আর মি’নিমাও এতে রুষ্ট হবেন। রংচুগাল্লার পরই কেবল নতুন ধান রােদে ভালোমতোন শুকিয়ে ভাত রান্না করে খেতে পারবেন মান্দিরা। রংচুগাল্লার দিন প্রতি বাড়িতেই খামাল খ্রিতা-র মাধ্যমে রুগালার কাজ করবেন। প্রথমে সং নাকমার বাড়ি থেকে শুরু হয়ে পর্যায়ক্রমে সবার বাড়িতেই একইভাবে রংচুগাল্লার কৃত্য সম্পন্ন করা হয়। খামাল খ্রিতা  পড়ে পড়ে মিদ্দিদের হাজির করেন এবং তাদের উদ্দেশ্যে চু উৎসর্গ করেন।’- সাংসারেক মান্দিরাংনি ওয়ান্না-পরাগ রিছিল ও জুয়েল বিন জহির

।। থকবিরিম বার্তা



https://thokbirim.com/2020/09/02/%e0%a6%b0%e0%a6%82%e0%a6%9a%e0%a7%81%e0%a6%97%e0%a6%be%e0%a6%b2%e0%a6%be/

https://www.youtube.com/watch?v=BAwVNoadVuY




সম্পাদক : মিঠুন রাকসাম

উপদেষ্টা : মতেন্দ্র মানখিন, থিওফিল নকরেক

যোগাযোগ:  ১৯ মণিপুরিপাড়া, সংসদ এভিনিউ ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫। 01787161281, 01575090829

thokbirim281@gmail.com

 

থকবিরিমে প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। Copyright 2020 © Thokbirim.com.

Design by Raytahost