Thokbirim | logo

২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

জীবনের যত অম্ল-মধুর স্মৃতি।। নীলু রুরাম

প্রকাশিত : মে ১০, ২০২২, ১৮:৪৬

জীবনের যত অম্ল-মধুর স্মৃতি।। নীলু রুরাম

ইতিহাস কথা বলে

আমি গারো ব্যাপ্টিস্ট কনভেনশন (জিবিসি) পরিচালিত জয়রামকুড়া হাসপাতালে এক মাস কম তিন বছর চাকুরী করেছি চুক্তিভিত্তিক ভাবে। জিবিসি’র পরিচালক ও সদস্য/সদস্যাগণ বলে থাকেন- জিবিসি মণ্ডলী গণতান্ত্রিক মণ্ডলী। কিছু কিছু কার্যক্রম আমি নিজে পছন্দ করি। তন্মধ্যে জিবিসি’র বার্ষিক সাধারণ সভা। তাও আবার তারিখ নির্ধারিত ফেব্রুয়ারিতে ১৭-২২। জিবিসি’র অঙ্গ সংগঠনগুলো নিজেদের অনুদানে পরিচালিত।বাইরের অনুদান আলাদা। জয়রামকুড়া হাসপাতাল হাডপাতালের আয় থেকে পরিচালিত। আরেকটি হল বার্ষিক ডায়েরি প্রিন্টিং।প্রতিটি সার্কিট, মণ্ডলী ও অঙ্গ সংগঠনগুলো কত কপি প্রয়োজন তা মাফিক আর্থিক অনুদান প্রদান করে থাকে। এখানে জাতীয় দিবসগুলো ব্যতিরেকে মাসিক পর্যায়ে নিজস্ব স্মরণীয় দিনগুলো উল্লেখিত রয়েছে। এর সাথে প্রতিটি স্মরণীয় দিবসের সাথে পবিত্র বাইবেলের উক্তি উদ্ধৃত করা হয়েছে। যেমন,
জানু ২২ঃ রাধানাথ ভৌমিকের (তজু) বাপ্তিষ্ম দিবস, প্রেরিত ১০ঃ৪৭-৪৮
৮ ফেব্রুয়ারি ওমেদ ও রামখে (মোমিনের (প্রথম গারো খ্রীষ্টান) বাপ্তিস্ম দিবস।
২০ ফেব্রুয়ারি, জাতীয় মিশন বৈথেল প্রতিষ্ঠা দিবস।
১৪ এপ্রিল, প্রথম গারো ব্যাপ্টিস্ট খ্রিস্টীয় মণ্ডলী ( রাজা শিমলা) প্রতিষ্ঠা দিবস
৩১মেঃ শস্যোৎসব পর্ব, দ্বিতীয় বিবরণ ২৬ঃ৯-১৫
৬ সেপ্টেম্বর, উপবাসসহ বিশেষ প্রার্থনা সভা।
২১-২২ নভেম্বর, জিবিসি মহিলাদের উপবাসসহ প্রার্থনা সভা, প্রেরিত ১৩ঃ২-৩।
২৩ ডিসেম্বর, বিনয়কুমার ও প্রাণকুমার মেমোরিয়াল স্কলারশিপ দিবস।
এগুলো প্রতি বছর তারিখ নির্ধারিত।
কাথলিক সম্প্রদায় কি এ ধরনের বার্ষিক ক্যালেন্ডার ছাপাতে পারে না!
ময়মনসিংহ কাথলিক ধর্মপ্রদেশে
কাথলিক ধর্মের আহ্বায়ক
১। জিরিং আন্দ্রিয় হাজং (সাংমা) – জন্ম- ১৮৫৮
২। উজির জেমস রুরাম, জন্ম ১৮৬০
৩। থিমান ফ্রান্সিস দাংগ, জন্ম – ১৮৭৮
৪। সিন্ধু আগষ্টিন রুগা, জন্ম-১৮৮৪
৫। থদিং যোসেফ হাজং, জন্ম -১৮৬১
বিশপ ফ্রান্সিস ফ্রেডরিক সিএসসি থাউশালপাড়া অস্থায়ী মিশনে প্রথমবারের মত আগমন ১৫/১১/১৯২৩।
গারোদের প্রথম বাপ্তিষ্ম থাউশালপাড়ায় ১৮/০৩/১৯১১
প্রার্থী মোট ২৬ জন।
রাণীখং মিশনে থাউশালপাড়ার অস্থায়ী মিশন হস্তান্তরিত ১৯১৫।
ফাদার ডেমিয়ান রুরাম ১ম গারো পুরোহিত, ২৯ জানুয়ারি ১৯৩৮
ব্রাদার ডেনিস প্যাট্রিক রুরাম সিএসসি (অবঃ) প্রথম গারো ব্রাদার জন্ম মার্চ ৩, ১৯৩২,
সিস্টার মেরী ওমার আরএনডিএম, শেষ ব্রত ০৫-০১-১৯৩৩
প্রথম পুরোহিত ফাদার এডলফ ফ্রান্সিস সিএসসি,
সাহিত্যের উন্মেষ ‘রাণীখং মিশন চিঠি ‘ নভেম্বর ১৯৪১ ১ম সংখ্যা, সম্পাদক ফাদার ডুয়েন প্যাট্রিক সিএসসি,
“কাথলিক মিশন পত্রিকা ” ২য় সংখ্যা। ‘রাণীখং মিশন চিঠিই পরবর্তীতে “সাপ্তাহিক প্রতিবেশী ” নামে রূপান্তরিত হয়। রাণীখং মাতৃমণ্ডলী নাম পরিচিত।গারো এলাকাতেই “সাপ্তাহিক প্রতিবেশী’র আঁতুর ঘর।
মৃত ফাদার ওয়াইচিলিশ সিএসসি ঢাকায় আগমন ১৯৪৬
অপমৃত্যু রাণীখং মিশনে ২৬ মে, ১৯৪৮।
সিস্টার সুয়েভা এমসি (গারোদের মধ্যে প্রথম ধর্ম শহিদ) মৃত্যু ২২ জানুয়ারি, ১৯৯৯ বিদ্রোহীদের দ্বারা গুলিবিদ্ধ হয়ে।
প্রথম বিশপ ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশে বিশপ ফ্রান্সিস এ, গমেজ, ৮ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৭।
প্রথম গারো বিশপ পনেন পল কুবি সিএসসি ১৩/০২/২০০৪।
এ সমস্ত উল্লেখ করে ডায়েরি কি প্রকাশনা করা যেত না!
আমরা কি ঢাকা নিবাসী বাবু ক্লেমেন্ট দত্তকে ভুলে গেছি। তিনিই গারো এলাকায় প্রথম ক্যাটেখিষ্ট। তাঁকে ফাদার এডলফ ফ্রান্সিস সিএসসি নিয়ে এসেছিলেন। মিশন নির্বাচনে ফাদার এডলফ ফ্রান্সিস সিএসসি রামকুমার দুখুমি ও কুমিচন রিছিলের সাথে জায়গা নির্বাচনে আলাপ করেছিলেন, আমরা কতজন তাঁদের নাম জানি!

চলবে…



 




সম্পাদক : মিঠুন রাকসাম

উপদেষ্টা : মতেন্দ্র মানখিন, থিওফিল নকরেক

যোগাযোগ:  ১৯ মণিপুরিপাড়া, সংসদ এভিনিউ ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫। 01787161281, 01575090829

thokbirim281@gmail.com

 

থকবিরিমে প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। Copyright 2020 © Thokbirim.com.

Design by Raytahost