Thokbirim | logo

২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

গারোদের আবাদকৃত জমিতে টাঙানো হয়েছে নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড

প্রকাশিত : এপ্রিল ২৩, ২০২২, ১৯:৪৫

গারোদের আবাদকৃত জমিতে টাঙানো হয়েছে নিষেধাজ্ঞার সাইনবোর্ড

যুগ যুগ ধরে আবাদকৃত ধানি জমিতে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে সাইনবোর্ড
গারো আদিবাসীদের মনে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ
অনেকেই মনে করছেন তাদেরকে নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদের ষড়যন্ত্র
এই আবাদি জমিতে লেক খনন হলে নিঃস্ব হয়ে পড়বেন অনেক গারো পরিবার।
শুক্রবার বিকালে দোখলার আমতলীতে গিয়ে দেখা গেছে, গারো আদিবাসীদের আবাদকৃত জমিতে দাঁড়িয়ে আছে একটি সাইনবোর্ড। তাতে লেখা- ‘সংরক্ষিত বনাঞ্চল সর্ব –সাধারনের প্রবেশ নিষেধ, উন্নয়ন কাজ চলমান-আদেশক্রমে কর্তৃপক্ষ’।

 


জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যারাতে দোখলার আমতলীর গারো আদিবাসীদের আবাদকৃত বাইদ জমিতে সাইনবোর্ড টাঙানো হয়েছে।১৩জন মালিকের প্রায় ৪৫ বিঘা জমির উপর লেক খননের উদ্দেশে এই সাইনবোর্ড বলে অনেকেই জানিয়েছেন।
স্থানীয় জননেতা ও ছাত্রনেতা জন যেত্রা বলেন, দোখলা আমতলীতে ১৩ জন মালিকের প্রায় ৪৫ বিঘা জমি রয়েছে। যে জমিতে দুই ফসলি ধান হয় আর ধান ছাড়াও সরিষার আবাদ হয়। কিন্তু এখানে যদি লেক খনন হয় তাহলে যারা জমির মালিক তারা সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ এখানে চাষাবাদ করেই তারা তাদের পরিবার সংসার জীবন জীবীকা নিবাহ করে থাকেন। যদি এই আদিবাসীদের ধানী জমিতে লেক খনন করে কিংবা সাইনবোর্ড টানিয়ে কেড়ে নেয় তাহলে আদিবাসীরা অস্তিত্ব সংকটে ভুগবে এবং আদিবাসীদের যে প্রথাগত ভূমি অধিকার সেই অধিকার থেকেও তারা বঞ্চিত হবে।
তিনি আরো বলেন, আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই যে আমরা, রাতের অন্ধকারে বনবিভাগ যে সাইনবোর্ডটা লাগিয়েছে আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং আমরা প্রত্যাশা করি বনবিভাগ অনতিবিলল্বে সাইনবোর্ডটি সরিয়ে নেবে।
আরেক ছাত্রনেতা ও উদীয়মান জননেতা লিয়াং রিছিল বলেন, এই সাইনবোর্ড দেয়ার মধ্য দিয়ে তারা আমাদের বুঝাতে চেয়েছেন যে , যেভাবেই হোক ছলেবলে কৌশলে আদিবাসীদের জমিকে তারা লেক খননের জন্য নিয়ে নিবে। তবে আমরা বলতে চাই যে, আদিবাসীদের আবাদকৃত জমিতে হুট করে সাইনবোর্ড লাগিয়ে দিলেন আর আদিবাসীদের সাথে অর্থপূর্ণ কোনো আলোচনা ছাড়াই এই কাজটি করলেন এটার তীব্র নিন্দা জানাই, প্রতিবাদ জানাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জমির মালিক বলেন, আমরা বংশপরম্পরায় আমতলীর এই জমিতে চাষাবাদ করে খাচ্ছি, এই জমিই আমাদের একমাত্র সম্বল এই জমি লেক হলে আমাদের সংসার কী করে চলবে? আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব। আমরা আমাদের আবাদকৃত জমিতে লেক করতে দিবো না।
।। মধুপুর প্রতিনিধি, থকবিরিম।




সম্পাদক : মিঠুন রাকসাম

উপদেষ্টা : মতেন্দ্র মানখিন, থিওফিল নকরেক

যোগাযোগ:  ১৯ মণিপুরিপাড়া, সংসদ এভিনিউ ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫। 01787161281, 01575090829

thokbirim281@gmail.com

 

থকবিরিমে প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। Copyright 2020 © Thokbirim.com.

Design by Raytahost