পাতালপুরির আধো আলো আধো অন্ধকারে নিজের পেটটাকে, ঢাকের মত বাজিয়ে সি’সি থপ্পা বাঁশির সুর তুলে না’সুদেঙ্গা, স্থুলদেহী ফক্কা রন্দাও পায়ে খাটো দা’লিং বিবস্ত্র অবস্থায় নেচে-গেয়ে, দিন-মাস-বৎসর ভুলে আমোদ ফুর্তিতে দিন কাটাচ্ছিল। তাদের আনন্দের কোন শেষ ছিল না।
ফক্কা রাজা ছেংসা নকমা (পান কৌড়ি) খাদ্যের সন্ধানে ঘুরতে ঘুরতে গভীর সমুদ্রের তলদেশ পার হয়ে সেই আনন্দ কোলাহল পরিপূর্ণ দেশে উপস্থিত হল। তাদের কা- দেখে তার আর চোখের পলক পড়ে না। অবাক বিস্ময়ে পর্যবেক্ষণ শেষ করে সে নিজ দেশে ফিরে এলো।
ওয়াক মিথং বাজারের কাছে যে বিশাল জলাভূমি ছিল তারই কিনারে প্রতিদিন সকালে ও সন্ধ্যায় কখনো ডানা মেলে, কখনো গুটিয়ে, কখনো বা ডানা ঝাপটে, তালে তালে কখনো সামনে অগ্রসর হয়ে, কখনো পিছু হটে সে মনের আনন্দে লাফ-ঝাপ দিয়ে নেচে বেড়াতে লাগল। সেই আনন্দ ঢেউএর সাথে জলাভূমির এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্ত পর্যন্ত ঝিকমিকি করতে লাগল।
একদিন আৎছু দু’ছেংফা ও খামছেদুংফা এই দুই ভাই ওয়াক মিথং বাজারে আদা বিক্রি করতে গিয়ে এমন আজব কা- দেখতে পেল। অনেক সাধ্য সাধনার পর ফক্কা রাজা ছেংসা নকমা তাদের পাতালপুরির পথ বাতলে দিল। গভীর সমুদ্রের নানা বিপদ পার হয়ে তারা সেই স্বপ্নীল পুরিতে উপস্থিত হল। দেখল ধুপ-ধুনা জে¦লে ‘‘গৌরী” (বিশেষ ধরনের নাচ) নাচ চলল। মনোযোগের সাথে নাচ শিখে তারা বাড়িতে ফিরে এল। নাচ দেখিয়ে তারা গ্রামের লোকজনদের আনন্দে উদ্বুদ্ধ করল। তাদের অনুরোধে নাচ শিক্ষা দিতে গিয়ে বাদ্য যন্ত্রের প্রয়োজনীয়তা দেখা গেল। বাঁশের চোঙার দুই প্রাতে ‘‘দামিলজাংআ” (এক প্রকার বুনো গাছের পাতা) গাছের পাতা লাগিয়ে ‘‘সিখ্রি” (এক জাতীয় বন্যলতা) দিয়ে টান টান করে বেঁধে দিল। দুই হাত দিয়ে চোঙার দুই প্রান্ত বাজানোর সঙ্গে সঙ্গে পাতা ফেটে গেল, লতাও ছিঁড়ে গেল। চোঙার মুখে নানা গাছের পাতা, ছাল আরও হরেক রকমের জিনিস লাগানো হলো, কিন্তু সবই ফেটে চৌচির হল।
সব শেষে বলাগিপক (এক প্রকার বুনো গাছ) গাছ কেটে, খোদাই করে গরুর চামড়া দিয়ে ছাউনি দেওয়া হল। সেটা বাজালে এত সুন্দর আওয়াজ হল যে, সালছাফা, মংজিমফা, আফফা সুসিমি, খুরিগিপা মেলাদমফা সকলে খুশি হয়ে হাততালি দিয়ে নাচতে আরম্ভ করল। বাদ্যের তালে মিসি সালজং প্রথমে গৌরী নাচ দেখালো। এইভাবে পৃথিবীতে ওয়ানগালার সময়ে খ্রাম বাজিয়ে ‘‘গৌরী” নাচের প্রচলন হল।
# কথক: সাংগিন সাংমা
# গারো উপকথা’ গ্রন্থ থেকে সংগৃহীত
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত
-
রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর উৎসব ওয়ানগালা
: রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর সামাজিক সাংস্কৃতিক ও...
-
আজ লেখক ও চিন্তক আলবার্ট মানকিন-এর স্মরণসভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান
: মধুপুর গড়াঞ্চলের আদিবাসী নেতা, চিন্তাবিদ, লেখক, সমাজকর্মী, এনজিও কর্মী আলবাট...
-
গুলশান বনানী ওয়ানগালা ২১ অক্টোবর শনিবার
: গুলশান বনানী ওয়ানগালা ২১ অক্টোবর শনিবার আদি সাংসারেক গারো জাতিগোষ্ঠীর...
-
১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ...
-
রে রে : হায়রে আমার কাঞ্জিয়া ।। নীলু রুরাম
: সমর সাংমার রেরে নিয়েই শুরু করি তবে একটু আলাদা। আমাদের...
-
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার ।। জাডিল মৃ
: এক. সময় স্রোতের সাথে আবাহমান ছুটে চলা প্রযুক্তির উন্নতি, মানব...
‘রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর উৎসব ওয়ানগালা’
: রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর সামাজিক সাংস্কৃতিক ও......বিস্তারিত
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত