আজকে যে কামারখালি বাজার রয়েছে তার আসল অবস্থান নদীর তলে। আমরা আগে নদীরপাড় দিয়ে বিরিশিরি স্কুলে যেতাম। বড়ইকান্দি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পূব দিয়ে বিশাল বড়ই গাছের সমাবেশ ছিল। স্কুল থেকে ফেরার পথে বড়ই পেড়ে খেতাম আমরা সবাই। কুল্লাগড়া দিয়ে নদীরপাড় হয়ে ডাকুমারা চর মাড়িয়ে শিবগঞ্জ বাজারে লোকেরা যাওয়া আসা করত। ষাট দশক থেকে বর্তমান অবধি আসল কামারখালি বাজার তলিয়ে গেছে। বাজারের দক্ষিণের কুলুবাড়ি নিঃশ্চিহ্ন।
বড়ইকান্দি ভাংতির উত্তরের ও কুলুবাড়ির দক্ষিণের গারোপাড়া সব তলিয়ে গেছে নদীতে। বড়ই গাছের বন আর নেই। আগের নির্ধারিত নদীরপাড়ের রাস্তা বিলিন। এখন যা আছে তাও কারিতাসের দুর্যোগ প্রকল্পের মাটির বেড়িবাঁধ।
এক সময় আমিও কামারখালিবাসী ছিলাম আজ থেকে ৪৫ বছর আগে।
বিয়ে হয়েছে তখন। আমার থাকার ঘর এখন নদীর মাঝখানে। পনাফা’র (মণীন্দ্র দ্রং-পনাফা) ভিটার সামনে সারি সারি সুপারী গাছ ছিল নদীর ঘাট পর্যন্ত। আজ সে ভিটা সঙ্কোচিত হয়ে অনেকাংশই নদীর ভাঙ্গনে ভেঙ্গে গেছে। ইতিমধ্যেই ব্রুণো রুরামের ভিটা, পদুর বাবার ভিটা সোমেশ্বরী নদীর অতল গহ্বরে তলিয়ে গেছে।
বহেরাতুলি এলসিফা’র ভিটা থেকে শমূয়েল হাজং, গেদাফা, ম্যানাজার আলবার্ট আরেং (লংলেং), ডাকুলিয়া বাড়ি (করিম+খালেকের আব্বা), রিফিউজিপাড়া, জলিল ও কাশেমের ভিটা তলিয়ে গেছে নদীতে।
এভাবে সোমেশ্বরী গ্রাস করেছে নদীরপাড়ে বসবাসরত লোকজনদের বসতভিটা।
বর্তমান নতুন প্রজন্ম তা ধারণাও করতে পারবে না।
কামারখালিতে একমাত্র মুদির দোকান ছিল হরিপদ দোকান। বর্তমানে দুর্গাপুরের সফল ব্যবসায়ী রঞ্জিত সেনের পিতা। কালক্রমে নদী ভাঙ্গনে তারাও স্থানান্তর করেছে দুর্গাপুরে। বাকি হিন্দু পরিবার চলে গেছে অন্যত্র।
হালে বিগত ২০২০ সালে রাণীখং মিশনের কবরস্থান ধ্বসে পড়েছে। বিজয়পুর ক্যাম্পের উত্তরে হাজং পরিবার বসতি ক্রমশ: নদী গ্রাস করছে।
বহেরাতুলি গ্রামের নদীরপাড়ে রোপিত সখের বড় বড় আকাশী গাছ ভেসে গেছে।
“চোখের সামনে আমার আকাশী বড় বড় গাছ পাড় ভেঙ্গে ভেসে গেল! বলছিল বহেরাতুলির সুরমা রেমা।
পনাফা’র বংশধরেরা তাদের এলাকার ভাঙ্গনরত পাড় রোধ করার জন্যে নিজস্ব প্রচেষ্টায় কম্বল বিছিয়ে জিও ব্যাগ দিয়ে নদীরপাড়ে বালু বস্তা ফেলেছে। সেই বালুবস্তাগুলো ভাঙ্গন ধরেছে।
কামারখালির সবচেয়ে গভীর সংকটে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক, দিলীপ সরকার, তার বাবার ঘর ও পরিমলের বসতভিটা।
কামারখালি জনগণ কামারখালি যুবশক্তির সাথে একাত্ম হয়ে নদীপাড় ভাঙ্গনরোধে সচেষ্ট হয়েছে সাময়িকভাবে। বিগত মে মাস থেকে সরকারের পক্ষ থেকে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
সরকারি এমন মহতি কার্যক্রমে নদীরপাড়ের জনগণ পাড় ভাঙন থেকে রক্ষা পাবে বলে মনে করি। সাধুবাদ জানাই এ মহতি কার্যক্রমে।
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত
-
রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর উৎসব ওয়ানগালা
: রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর সামাজিক সাংস্কৃতিক ও...
-
আজ লেখক ও চিন্তক আলবার্ট মানকিন-এর স্মরণসভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান
: মধুপুর গড়াঞ্চলের আদিবাসী নেতা, চিন্তাবিদ, লেখক, সমাজকর্মী, এনজিও কর্মী আলবাট...
-
গুলশান বনানী ওয়ানগালা ২১ অক্টোবর শনিবার
: গুলশান বনানী ওয়ানগালা ২১ অক্টোবর শনিবার আদি সাংসারেক গারো জাতিগোষ্ঠীর...
-
১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ...
-
রে রে : হায়রে আমার কাঞ্জিয়া ।। নীলু রুরাম
: সমর সাংমার রেরে নিয়েই শুরু করি তবে একটু আলাদা। আমাদের...
-
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার ।। জাডিল মৃ
: এক. সময় স্রোতের সাথে আবাহমান ছুটে চলা প্রযুক্তির উন্নতি, মানব...
‘রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর উৎসব ওয়ানগালা’
: রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর সামাজিক সাংস্কৃতিক ও......বিস্তারিত
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত