কোদাল মারা কমিটি যে এখনো প্রচুর সক্রিয় তা বেসরকারি নিউজ চ্যানেল বিডিনিউজ২৪.কম এর ইন্টারভিউ’র মাধ্যমে জানতে পারলাম। জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক বলেছেন,”সেখানে যে গারো সাংসারেক ধর্মের মাংরুদাম (শশ্মান) আছে, তা তিনি জানেন না। আরো বলেছেন যে, মিথ্যেকে প্রতিষ্ঠিত করতেই নাকি স্মৃতিফলক (খিম্মা) স্থাপন করা হয়েছে। তা একেবারেই ঠিক না”। একজন গারো জনগোষ্ঠীর সচেতন ব্যক্তি হিসেবে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংগঠনের সভাপতি হিসেবে এমন মন্তব্য আশা করিনি। তিনি নাও জানতে পারেন সেখানে গারোদের মাংরুদাম আছে বা থাকতে পারে। কারণ সবার সব কিছু জানতে হবে এমনও নয়। কিন্তু তিনি এটা তো জানেন এই এলাকাতে গারো আদিবাসীদের বসবাস যুগযুগ ধরে, বংশপরম্পরায়। আর এটাও তিনি জানেন এক সময় সাংসারেক মান্দিরা বাড়ি থেকে দূরেই মাংরুদাম তৈরি করতেন, মৃতশব পোড়াতেন। বাড়ি থেকে বেশ দূরেই হতো সেইসব মাংরুদাম। বর্তমান যেখান থেকে দেয়াল শুরু হয়েছে সেই জায়গা কি মান্দি গ্রাম থেকে কয়েক মাইল দূরে বা বাইরে? আদিবাসীরা যে জায়গাজুড়ে বসবাস করে যে জায়গা পযর্ন্ত তাদের হাঁসমুরগি গরু চড়ে যে জায়গাজুড়ে কবরস্থান বা মাংরুদাম হিসেবে ব্যবহৃত হয় সেই জায়গা কোনো দিনও খাস কিংবা বেওয়ারিস নয়। সেই জায়টা আদিবাসীদেরই। এই বিষয়টা নিশ্চয়ই সভাপতি সাহেব ভালো করেই জানেন।
তিনি কি ভুলে গেছেন অতীতে উচ্ছেদ হওয়া গারো পরিবারের কথা? যে পরিবারগুলো ছিলো বর্তমান বিমান ফায়ারিং স্টেশনের ভেতর! তবে এটা মানতে কষ্ট হয় যে, তিনি বা তাঁর সহচর জানেন না এই বিষয়টি। হয়তো চিকন কোনো স্বার্থে সেখানে মাংরুদাম আছে জানা সত্ত্বেও মিথ্যে বলা এবং সত্য কথাকে মিথ্যে পরিণত করার যে অপপ্রচেষ্টা সেটাও হতে পারে। এই যে ভিডিও ভাইরাল হয়ে জনে জনে ঘুরছে, নানা কথা উঠছে, সভাপতি সাহেব কি এড়িয়ে যেতে পারবেন এই বিষয়টি? সবার ওয়ালে ওয়ালে তাদের নিয়ে জনসাধারণের যে ক্ষোভ প্রকাশ হচ্ছে, বিরূপ মন্তব্য লেখা হচ্ছে সেটি কীভাবে এড়িয়ে যাবেন?
অনেক নিউজ পোর্টালে বন কর্মকর্তারা বলেছেন যে, আদিবাসী নেতৃবৃন্দই কাজের উদ্বোধন করেছেন। তাতে বাঁধা দেওয়ার কোন কারণ থাকতে পারে না। তাদের সম্মতিতেই কাজ চলমান। এই যে মাতৃ সংগঠনের সভাপতি-সাংগঠনিক সম্পাদকের দুমুখো আচরণ এবং সত্যকে আড়াল করে মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠিত করার যে পাঁয়তারা সেই হিসাব কি জনসাধারণ নিবে না?। তিনি যে নির্দেশন সৃষ্টি করলেন, জাতি কি কোনদিন ক্ষমা করবে?
কোদাল মারা কমিটি’র কার্যক্রম দেখে সুশীল মুরব্বিগণ যে চুপ আছেন তা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। তাহলে গারো জাতির সুশীল সমাজও কি নীরবে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন? প্রশ্ন ঘুরছে মাথায়।
মান্দি সমাজের একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রবীণ চিসিম এর গাছাড়া বক্তব্যর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। মনে রাখতে হবে, আদিবাসীরাই তাদেরকে পদ দিয়েছে, আবার আদিবাসীরাই তাদের পদ কেড়ে নিতে পারে শুধু সময়ের অপেক্ষা।
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত
-
আজ লেখক ও চিন্তক আলবার্ট মানকিন-এর স্মরণসভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান
: মধুপুর গড়াঞ্চলের আদিবাসী নেতা, চিন্তাবিদ, লেখক, সমাজকর্মী, এনজিও কর্মী আলবাট...
-
গুলশান বনানী ওয়ানগালা ২১ অক্টোবর শনিবার
: গুলশান বনানী ওয়ানগালা ২১ অক্টোবর শনিবার আদি সাংসারেক গারো জাতিগোষ্ঠীর...
-
১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ...
-
রে রে : হায়রে আমার কাঞ্জিয়া ।। নীলু রুরাম
: সমর সাংমার রেরে নিয়েই শুরু করি তবে একটু আলাদা। আমাদের...
-
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার ।। জাডিল মৃ
: এক. সময় স্রোতের সাথে আবাহমান ছুটে চলা প্রযুক্তির উন্নতি, মানব...
-
বর্তমান সময়ের তুমুল জনপ্রিয় শিল্পী দিশন অন্তু রিছিলের জন্মদিন আজ
: বর্তমান সময়ের তুমুল জনপ্রিয় শিল্পী দিশন অন্তু রিছিলের জন্মদিন আজ।...
‘আজ লেখক ও চিন্তক আলবার্ট মানকিন-এর স্মরণসভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান’
: মধুপুর গড়াঞ্চলের আদিবাসী নেতা, চিন্তাবিদ, লেখক, সমাজকর্মী, এনজিও কর্মী আলবাট......বিস্তারিত
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত