যখন বৃষ্টির পর, সূর্যটা ডুবে যেতে থাকে, সে-ই দৃশ্যটা দেখতে অসাধারণ লাগে।শুধু চেয়ে থাকতেই ইচ্ছে করে।তখন মনে হয় পৃথিবীটা এত সুন্দর,প্রকৃতির ছোঁয়া এত অস্থির এবং প্রকৃতি সবসময়ই শূন্য স্থান পূরণে বড্ডপরিকর,সেটাই আমরা প্রতিনিয়ত দেখি।আমরা সবাই প্রকৃতিকে ভালোবাসি, আমরা চাই প্রকৃতি বন পাহাড় নদী ঝর্না ভালো থাকুক।কিন্তুু তবুও আমরা প্রকৃতির ভারসাম্যে বারবার আঘাত করি।জেনে শুনেও,না জেনেও।
পড়ন্ত বিকেল। মাঠে যুবকরা ভলিবল খেলছে।খুবই জোশ একটি ম্যাচ, দাঁড়িয়ে থেকে উপভোগ করছি।ভলিবল দেখতে মজা লাগে,যখন টিভিতে ইন্টারন্যাশনাল খেলা দেখি তখন খেলতে ইচ্ছে করে আবার নিজে যখন খেলি তখন খেলাটা উপভোগ করতে পারি না।সুতরাং দাঁড়িয়ে থেকে আগলা মাতবকরি করাই ভালো।অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে খেয়াল করলাম সামনে একটি সাইকেল দাঁড়িয়ে আছে।কাউকে কোন কিছু জিঙ্গাসা না করেই সাইকেল চালাতে লাগলাম।অনেকদিন পরর সাইকেল চালিয়ে খুবই ভালো লাগছিল।যদিও পায়ে জোর পাচ্ছিলাম না।তবুও চালাতে খারাপ লাগছিলো না।তিনবার মাঠের চারিদিক প্রদক্ষিণ করলাম।না,শখ মিটলো না।মাঠ পেরিয়ে চলে গেলাম ম্যান রাস্তায়।যেতে যেতে চায়ের দোকানে গিয়ে থামলাম।এক কাপ চায়ে’র সাথে মোবাইল ফোনে ভিডিও দেখছি।এমন সময় দেখি প্রায় রাত হয়ে যাচ্ছে।তাড়াহুড়া করে মাঠের দিকে চলেগেলাম। যে স্থানে সাইকেলটি ছিল সেই স্থানে রেখে বাড়ির দিকে চলে এলাম।ওমা বাড়িতে পৌঁছানোর পরেই ফোন আসলো, ‘সাইকেল কোথায়’?
ফোনেই বলে দিলাম,যে স্থান থেকে সাইকেলটি নিয়েছি সেই স্থানেই সাইকেলটি রেখে এসেছি।অপর প্রান্ত থেকে উত্তর, ‘সাইকেলটি নেই’।আমার মনে ভয় আতঙ্ক গ্রাস করলো।কেন না,এই করোনাকালীন সময়ে যদি জরিমানা দিতে হয়,যা বাড়তি খরচ।
এমনিতেই করোনার কারণে আয়ো রোজকার বন্ধ।আবার প্রশ্ন করলাম,সেখানে সাইকেল আছে কীনা?উত্তরে আসলো,একটি সাইকেল আছে কার সাইকেল জানা নেই।এই কথা শোনার পর প্রচন্ড রাগ হলো।মনে মনে বললাম কেমন মানুষ রে বাবা,”নিজের সাইকেল নিজেই চিনতে পারছেনা,নেশাটেশা করছে নাকি”! মাঠে যাওয়ার জজন্য ফোন আসলো।বিরক্তি নিয়ে মাঠের দিকে ছুটে গেলাম।দেখি যে সাইকেলটি চালিয়েছি,সেই সাইকেলি তো।বকা দিলাম বললাম,এই যে সাইকেল চোখে দেখো না।এইখান থেকেই সাইকেলটি নিয়েছি।যে সাইকেলটি নিয়েছি এই সেই সাইকেল।
যার সাইকেল সে বললো,এইটা আমার সাইকেল না।তুমি অন্যের সাইকেল নিয়ে আসছো।উল্টো আমাকে জিজ্ঞাসা করলো,কোথায় গিয়েছিলে?আমিও বললাম,চায়ের দোকানে চা খেতে গিয়েছিলাম।তখন সাইকেলের মালিক হাসতে হাসতে বললো, সেখানেই তুমি সাইকেল উল্টপাল্ট করেছো।আমার দেহের আত্নায় আর পানি ছিলো না,এত ভয় পেয়েছিলাম।মনেমনে ভাবতে থাকলাম এই সাইকেলটি এখন কোথায় পাবো,কার কাছে যাবো,যার সাথে সাইকেল পরিবর্তন হয়েছে সে কী নিয়ে পালিয়ে।নানান প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খেতে লাগলো।
যখন চায়ের দোকানে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম,কেউ সাইকেলটি নিয়েছে কিনা।দোকানদার বললো,নাম্বার- রেখেগেছে।ফোন করে সে আবার সাইকেল ফেরত পাওয়া গেলো।খুশি মনে দু’জনের মধ্যেই কৃতজ্ঞতা ও ইমিশনাল চলে এসেছিল।
ভুলবশত অনেক সময় এমন দুশ্চিন্তা মাথায় এসে যায়।এমন বিভ্রান্তি না আসুক আরেকবার জীবনে।
গারো উত্তরাধিকার আইন এবং পুরুষদের স্বোপার্জিত সম্পত্তি বিষয়ক আইনের বই ‘প্রবন্ধ সংগ্রহ’
প্রমোদ মানকিন স্মরণে কবি মতেন্দ্র মানখিনের কবিতা
করোনায় পাহাড়ি আদিবাসীদের সংকটময় জীবন যাপন
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত
-
১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ...
-
রে রে : হায়রে আমার কাঞ্জিয়া ।। নীলু রুরাম
: সমর সাংমার রেরে নিয়েই শুরু করি তবে একটু আলাদা। আমাদের...
-
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার ।। জাডিল মৃ
: এক. সময় স্রোতের সাথে আবাহমান ছুটে চলা প্রযুক্তির উন্নতি, মানব...
-
বর্তমান সময়ের তুমুল জনপ্রিয় শিল্পী দিশন অন্তু রিছিলের জন্মদিন আজ
: বর্তমান সময়ের তুমুল জনপ্রিয় শিল্পী দিশন অন্তু রিছিলের জন্মদিন আজ।...
-
বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবতোষ যেত্রা আর নেই
: হালুয়াঘাট উপজেলার ৪নং সদর ইউনিয়নের কালিয়ানীকান্দা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা পাস্টার...
-
কেনিয়ার কৃষকরা হাতি তাড়াচ্ছে মৌমাছি দিয়ে
: কেনিয়ায় হাতির তাণ্ডব থেকে ফসল রক্ষায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে কৃষকরা।...
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত