ড. রবিন্স বার্লিং সম্পর্কে লেখা শেষ হয়নি, আর একটুক না লিখলে অপূর্ণতা থেকে যাবে। ‘তোমাদের গারো আচিক ভাষা খুবই ভাল, এখনো নামের ভাষার মূল বা আসল ইতিহাস খোঁজে পাওয়া যায়। যেমন মা এই শব্দটিকে গারোরা আমা বলে। কেন আমা বলে, আলদো মিকথাংআনা আমা বলে। এভাবে বিড়ালকে গারো ভাষায় মেংগ নাম দিয়েছে, কেন এরকম নাম দিয়েছে, মেং মেং ডাকে, ডাক শুনে তার নাম গারোরা মেংগ নাম দিয়েছে। আরো বলা যায় জিলমা জিলমা দংআনা দও-জিলমা, নিনা চিরংআনা দও-চিরং এভাবে ভাষা থেকে মূল আংশ খোঁজে পাওযা যায়। তিনি বলেন, খোঁজে দেখুন পৃথিবীর আধীকাংশ ভাষা এরকম মূল খোঁজে পাওযা যায় না।
তিনি দুঃখ করে বলেন, আমি বাংলাদেশের গারোদের আচিক ভাষায় প্রশ্ন করি, তারা উত্তর দেয় না, তাকিয়ে থাকে। এত ভালো, সুন্দর মায়ের ভাষাকে তারা মূল্য দেয় না। আর শিক্ষিত গারোরা, আমি গারো ভাষায় বলি আর তারা ইংরেজিতে উত্তর দেয়। জাতির ভাষা সংস্কৃতির মা বাবা আছে কিন্তু নিজের ভাষা হারিয়ে বাংলা ইংরেজি ভাষার মা বাবাকে আমার বললে হবে না। নিজেরটি ঠিক রেখে শত জাতির ভাষা শেখা যায়। আমাকে বলেন, ব্রাদার গিয়োম ভালো মানুষ, তার সহযোগিতায় মায়ের ভাষা শেখাতে চেষ্টা করো।
আরও মূল্যবান কথা তিনি বলেছেন, প্রাচীন গারো রাজা নকমারা খুবই দূরদৃষ্টি সম্পন্ন ছিলো। হাজার বছর পর গারোদের আবস্থা কী হবে। এই সকল ভালোভাবে চিন্তা ভাবনা করে ভূমি সম্পতির আইন কানুন তৈরি করেছে। তারা সম্পদগুলো ব্যক্তি সম্পত্তি করেনি মাহারি সম্পত্তি করেছে। মেঘালয়ে এখনো গারোদের সম্পত্তি মাহারি সম্পত্তি। মাহারি সম্পত্তি ইচ্ছে করলেই বিক্রি করা যায় না। এই মাহারি সম্পত্তি বিক্রি যোগ্য নয়, যার কারণে গারোদের এক শতাংশ জমি নষ্ট হয় না, হারিয়ে যায় না। এই নিয়ম না থকলে কবে মেঘালয়ের গারোরা এিপুরা রাজ্যের মত হয়ে যেত বললেন।
গারো হিলসের গারোদের জমি জমা মাহারির কাজ থেকে সন পাত্তা মেয়াদি পাত্তা নিয়ে জমি ভোগ করতে হয়, মাহারির সম্পত্তি গারো ছাড়া অন্য জাতি নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। মাহারি সম্পতি বিক্রি করতে চাইলে সব মাহারি একত্রে বসে, সবার সন্মতি নিয়ে বিক্রি করতে হয় আর সেই মাহারির সবাই বিক্রির টাকা পয়সা ভাগ পাবে, দিতে বাধ্য। আমি ঘুরে দেখলাম অনেক চালাক মারোওয়ারি, বিহারি গারো মেয়েকে বিবাহ করে স্ত্রীর নামে জমি পাত্তা কিনে ব্যবসা করতে দেখেছি। কিন্ত এই নিয়ম কতদিন চলবে, কাশমিরেও কাশমিরবাসীদের জন্যে এরকম আলাদা নিয়ম ছিল।
গত বছর সরকার সব নাগরিকের জন্যে সমান অধীকার করে দিয়ে দিয়েছে। যদি এই নিয়ম মেঘালয় রাজ্যে আসে তাহলে গারোরা কী পারবে নিজেদের সম্পদ রক্ষা করতে। নাকি জমি বিক্রি করে বিশটি ওয়াক মেরে ছেলে মেয়েদের বিয়ে দিবে, জমা জমি বিক্রি করে লক্ষ টাকা খরচ করে মিমাংকাম, জন্ম বাষির্কী পালন করবে জানি না।
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত
-
রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর উৎসব ওয়ানগালা
: রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর সামাজিক সাংস্কৃতিক ও...
-
আজ লেখক ও চিন্তক আলবার্ট মানকিন-এর স্মরণসভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান
: মধুপুর গড়াঞ্চলের আদিবাসী নেতা, চিন্তাবিদ, লেখক, সমাজকর্মী, এনজিও কর্মী আলবাট...
-
গুলশান বনানী ওয়ানগালা ২১ অক্টোবর শনিবার
: গুলশান বনানী ওয়ানগালা ২১ অক্টোবর শনিবার আদি সাংসারেক গারো জাতিগোষ্ঠীর...
-
১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ...
-
রে রে : হায়রে আমার কাঞ্জিয়া ।। নীলু রুরাম
: সমর সাংমার রেরে নিয়েই শুরু করি তবে একটু আলাদা। আমাদের...
-
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার ।। জাডিল মৃ
: এক. সময় স্রোতের সাথে আবাহমান ছুটে চলা প্রযুক্তির উন্নতি, মানব...
‘রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর উৎসব ওয়ানগালা’
: রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর সামাজিক সাংস্কৃতিক ও......বিস্তারিত
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত