২০২০ বছরটা ছিলো সবার জন্যেই একটি দুর্বিসহ বছর। এই বছর সারা বিশ্বে কোভিড-১৯ নামক একটি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে। বাংলাদেশেও এর ব্যাপক প্রভাব পড়ে। করোনা ভাইরাসের কারণে সমস্ত স্কুল কলেজ, অপিস-আদালাত বন্ধ হয়ে যায়। এই ভাইরাসের সংক্রামন প্রতিরোধে দেশের বিভিন্ন স্থানে লকডাউন দেয়া হয়। এই ভাইরাসের আক্রমনে কেউ হারায় চাকরি কেউ হারায় আত্মীয় স্বজন, বন্ধ হয়ে স্কুল-কলেজ, অপিস- আদালত, কলকারখানা। বাংলাদেশে প্রথম করোনাভাইরাস রোগী শনাক্ত করা হয় ৮ই মার্চ (বিবিসি নিউজ)
সারা বিশ্বের অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মতো বাংলাদেশে বসবাসরত গারো আদিবাসীদের মাঝেও কোভিড ১৯-এর আচড় এসে পড়ে। তাদের জনজীবনেও নেমে আসে স্থবিরতা। পাল্টে যায় নিত্যদিনের রুটিন।
দেশের অন্যান্য জায়গার মতো পুরো গারো অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। তবে আদিবাসীদের নিজস্ব জীবনাচরণ এবং বাড়তি সতর্কতার কারণে সংক্রমনের হার তুলনামলূক কম বলে জানা যায়। বিশেষ করে করোনা ভাইরাসের প্রভাব অর্থনৈতিক দিক দিয়ে লক্ষ্য করা গেলেও করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো নিতান্ত্যই কম । বিভিন্ন পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি আদিবাসীদের মধ্যে করোনার প্রভাব বা আক্রান্ত হবার ঘটনা তুলনামূলক কম।
তবে শহরে অবস্থানরত গারো আদিবাসীরাও কেউ কেউ করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন, হারান চাকরি, অনেকেই শহর ছেড়ে চলে যান গ্রামে। গ্রামে ফেরা লোকজনদের মাঝ থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনার আতঙ্ক। শহরের মতো প্রত্যেক গারো গ্রামে নিজেদের উদ্যোগে তৈরি করেন লকডাউন। নিজেদের বাড়ি সীমানা নিজেরাই বন্ধ করে দেন।
শহরে লকডাউনে পড়া গারো আদিবাসীদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে আতঙ্ক। এক পর্যায়ে লকডাউনে আটকে পড়া মানুষজন পড়ে যান বিপাকে। চাকরি হারিয়ে কিংবা উর্পাজনের আয় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর্থিক অনটনে পড়তে হয়। এই সময় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে আসেন। কোভিড-১৯ কবলে পড়া মানুষজনদের কোনাকোনো সংগঠন এবং ব্যক্তিগত অনুদান দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।
বিশেষ করে যারা বিউটিপার্লারে বিউটিশিয়ান হিসেবে কাজ করেন তাদের অবস্থা শোচনীয় হয়ে পড়ে। পার্লার বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তারা পড়েন বিপাকে। প্রতিষ্ঠিত দু একটি বিউটিপার্লার ছাড়া সবকটি পার্লারের মালিক পার্লার বন্ধ করে দেন কর্মীদের বেতন না দিয়েই। ফলে বিউটিশিয়ানদের স্বামী সংসার নিয়ে পড়তে হয় বিপাকে। কেউ কেউ পার্লার বন্ধ করে শহর ছেড়ে গ্রামে চলে যান। কিন্তু গ্রামে গিয়েও তাদের অবস্থা হয়ে পড়ে শোচনীয়। কেউ কেউে আনারস/কলার বাগানে কিংবা অন্যের জমিতে কাজ করতে শুরু করেন। এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচিত-সমালোচনার ঝড় ওঠে।
পরিশেষে বলা যায় ২০২০ সাল ছিলো সবার জন্যই একটি দুর্বিসহ একটি বছর। একটি স্মরণীয় বছর।
।। বিশেষ প্রতিনিধি, থকবিরিম।
‘আদি গারোরা তিনটি বিবাহ করতো ।। দিনলিপি ।। তর্পণ ঘাগ্রা’
: গারো গ্রাম ঘুরলে অনেক সাংসারেক গারোদের পৌরাণিক কাহিনি শুনতে পাওয়া......বিস্তারিত
-
লাকিংমে চাকমার ন্যায়বিচার চেয়ে AIPP ও IWGIA সংগঠন দুটির বিবৃতি
: ১৬ জানুয়ারি ২০২১ এশিয়া ইন্ডিজেনাস পিপল্স প্যাক্ট (AIPP) ও ইন্টারন্যাশনাল...
-
বীর মুক্তিযোদ্ধা বীরেন্দ্র সাংমা (চিরান) আর নেই
: ভালুকা থানাধীন মল্লিকবাড়ি নিবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা বীরেন্দ্র চিরান(সাংমা) মারা গেছেন।...
-
শারীরিক উন্নতির দিকে করোনায় আক্রান্ত নকরেক আইটির সিইও সুবীর জেভিয়ার নকরেক
: করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন নকরেক আইটি ইন্সটিটিউট...
-
আদি গারোরা তিনটি বিবাহ করতো ।। দিনলিপি ।। তর্পণ ঘাগ্রা
: গারো গ্রাম ঘুরলে অনেক সাংসারেক গারোদের পৌরাণিক কাহিনি শুনতে পাওয়া...
-
মাটিরাঙ্গা তবলছড়ি ইউনিয়নে টিএসএফ’র ৫ম কাউন্সিল সম্পন্ন
: আজ (১৫ জানুয়ারি ২০২১ ), শুক্রবার ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ ফোরাম, বাংলাদেশ...
-
হার্টের দুটি ভাল্বই নষ্ট, বাঁচতে চায় আমেনা আসাক্রা
: দুর্গাপুর থানার মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা মোটর বাইক চালক রবিন চিছামের...
‘লাকিংমে চাকমার ন্যায়বিচার চেয়ে AIPP ও IWGIA সংগঠন দুটির বিবৃতি’
: ১৬ জানুয়ারি ২০২১ এশিয়া ইন্ডিজেনাস পিপল্স প্যাক্ট (AIPP) ও ইন্টারন্যাশনাল......বিস্তারিত
‘আদি গারোরা তিনটি বিবাহ করতো ।। দিনলিপি ।। তর্পণ ঘাগ্রা’
: গারো গ্রাম ঘুরলে অনেক সাংসারেক গারোদের পৌরাণিক কাহিনি শুনতে পাওয়া......বিস্তারিত