১২ ফেব্রুয়ারি সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে চোখ মেলে বাইরে বেরিয়ে দেখি সবুজের সমারহ। বিশাল এলাকা জুড়ে লেবুর বাগান,কলার বাগান। এর আগে স্বচোখে এতোবড় লেবুর বাগান আমি দেখিনি। যা দেখেছি শাইখ সিরাজের টিভি প্রতিবেদনে “মাটি ও মানুষ” অনুষ্ঠানে। গেৎচুয়া যে বাড়িতে (রোজলিন রেমাদের বাড়ি) থেকেছি তার পাশেই রসুলপুর ফায়ারিং রেন্জ, উৎসুক মন সারিসারি লেবু বাগানের মাঝ দিয়ে হেঁটে তৃপ্তি কুঁড়িয়েছি। বিশাল লেবু বাগানের মাঝখানে পুঁতে রাখা সিমেন্টের পিলার চোখে পড়লো। জানতে পারলাম ফায়ারিং রেন্জ সিমানা পিলার এটা। লেবু বাগান পেরিয়ে ছোট মাঝারি একটা বন পেরিয়ে বিশাল বড় একটা মাঠ ওটাই ফায়ারিং রেন্জ এর ব্যবহৃত স্থান। লেবু বাগানের মাঝখানে পিলার পুঁতে সিমানা প্রাচীর তৈরি করে দখলে নিতে চাই।
কোনো এক সময় হয়তো কাঁটাতারে আটকে দেবে, বিশাল প্রাচীর সিমানা বরাবর দেয়াল তুলবে ভাবতে ভাবতে ক্রমশ দিক শূন্য হয়ে পড়ছি। একদল বন্য প্রাণি বানরের দেখা পেলাম। শুনেছি ষাটের দশকে এই বনগুলো ছিল জীবজন্তুর অভয়ারণ্য। এখন আর বন্যপ্রাণির দেখা মেলে না।
যাক বাসায় ফিরলাম আবার, তর আর সইছে না, ঘুরতে বের হবো সাদুপাড়া, জালাবাদা এবং পিরেন স্নালের খিম্মা দেখবো। ৪জন মানুষ দুটো বাইক, কেউ রাস্তা চিনে না। দুজন তো বলেই ফেললো অনেকদূর,আসতে আসতে রাত হবে, কষ্ট হবে বন পেরিয়ে পৌচ্ছাতে রাস্তা ভালো না। নানান অযুহাত দিতে থাকলো, বললাম আবিমা(হাবিমা)এসেছি পীরেন- চলেশের মাটিতে পা রেখেছি। এই সব না দেখলে এই মাটিতে পা রাখায় বৃথা। অবশেষে রাজি হলো বেরিয়ে পড়লাম, দুধারে শালবৃক্ষ সারিসারি, পিচ ঢালা পথ পেরিয়ে মন্তর গতিতে চলছে বাইক বন জঙ্গলের মাঝামাঝি – মনে মনে কানে বাঁজছে মাদলের গাওয়া প্রিয় গান-
পাখির স্বভাব পাখির মতো উড়বে বলে
বন পাহাড়ে উড়ে ঘুরে গাইবে বলে
লাল সে মাটির গন্ধ বুকে পুষবে বলে
সবুজ মায়ার বাঁধন অটুট রাখবে বলে,
শালবৃক্ষের মতোন সিনা টান করে সে
মানুষ হয়ে বাঁচতে পীরেন জান দিয়েছে।
গ্রাম থেকে গ্রাম পেরিয়ে বন থেকে বন পেরিয়ে কাঁচা সরু রাস্তা বনের ভিতরে চলে যাচ্ছি আমরা, অচেনা পথ অনুমান বশত চলছি, দিক বেদিক সে যায় হোক রোমাঞ্চকর লাগছে আমার। প্রকৃতির লোভ সামলাতে পারিনি, তাই পথে পথে বাইক থামিয়ে ফটো সেশন করে নিলাম, স্মৃতিতে থাকুক।
আবার চলছি এগুছি সামনে বনের মাঝখানে ৩টা পথ লালচে মাটির কাঁচা রাস্তা, কোথায় যাবো! কোন দিকে যাবো! বাইক থামিয়ে অপেক্ষা করছি কোনো মানুষজন এই পথে আসে কি না জিজ্ঞেস করে যাবো। অনেকখন অপেক্ষা করলাম কোনো মানুষ এই পথে দেখা মেলে না, মহামুশকিলে পড়লাম। খানিকবাদে এই পথে এক শ্রমজীবী পথচারীর দেখা মেলল, পথ চিনিয়ে দিলো। সেই পথ ধরেই চলে যাচ্ছি পথে পথে সারা রাস্তা জিজ্ঞেস করতে করতে পথ চিনে নিচ্ছি।
(চলবে)
‘আদি গারোরা তিনটি বিবাহ করতো ।। দিনলিপি ।। তর্পণ ঘাগ্রা’
: গারো গ্রাম ঘুরলে অনেক সাংসারেক গারোদের পৌরাণিক কাহিনি শুনতে পাওয়া......বিস্তারিত
-
লাকিংমে চাকমার ন্যায়বিচার চেয়ে AIPP ও IWGIA সংগঠন দুটির বিবৃতি
: ১৬ জানুয়ারি ২০২১ এশিয়া ইন্ডিজেনাস পিপল্স প্যাক্ট (AIPP) ও ইন্টারন্যাশনাল...
-
বীর মুক্তিযোদ্ধা বীরেন্দ্র সাংমা (চিরান) আর নেই
: ভালুকা থানাধীন মল্লিকবাড়ি নিবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা বীরেন্দ্র চিরান(সাংমা) মারা গেছেন।...
-
শারীরিক উন্নতির দিকে করোনায় আক্রান্ত নকরেক আইটির সিইও সুবীর জেভিয়ার নকরেক
: করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন নকরেক আইটি ইন্সটিটিউট...
-
আদি গারোরা তিনটি বিবাহ করতো ।। দিনলিপি ।। তর্পণ ঘাগ্রা
: গারো গ্রাম ঘুরলে অনেক সাংসারেক গারোদের পৌরাণিক কাহিনি শুনতে পাওয়া...
-
মাটিরাঙ্গা তবলছড়ি ইউনিয়নে টিএসএফ’র ৫ম কাউন্সিল সম্পন্ন
: আজ (১৫ জানুয়ারি ২০২১ ), শুক্রবার ত্রিপুরা স্টুডেন্টস্ ফোরাম, বাংলাদেশ...
-
হার্টের দুটি ভাল্বই নষ্ট, বাঁচতে চায় আমেনা আসাক্রা
: দুর্গাপুর থানার মাধবপুর গ্রামের বাসিন্দা মোটর বাইক চালক রবিন চিছামের...
‘লাকিংমে চাকমার ন্যায়বিচার চেয়ে AIPP ও IWGIA সংগঠন দুটির বিবৃতি’
: ১৬ জানুয়ারি ২০২১ এশিয়া ইন্ডিজেনাস পিপল্স প্যাক্ট (AIPP) ও ইন্টারন্যাশনাল......বিস্তারিত
‘আদি গারোরা তিনটি বিবাহ করতো ।। দিনলিপি ।। তর্পণ ঘাগ্রা’
: গারো গ্রাম ঘুরলে অনেক সাংসারেক গারোদের পৌরাণিক কাহিনি শুনতে পাওয়া......বিস্তারিত