২ এপ্রিল ২০০৭। সেদিন ছিলো তালপত্র রবিবার। যাজকদের জন্য ব্যস্ততম সময়। পূণ্য সপ্তাহ শুরু। রাণীখং ধর্মপল্লির মাধবপুর উপকেন্দ্রে সকাল ৯টায় খ্রিষ্টযাগ দিয়ে নয়াপাড়ার একজন মুমূর্ষু রোগীর জন্য সাক্রামেন্ত দিয়ে দুপুরের খাওয়া সেরে মিশনে ফিরে গেলাম। পরের দিন সোমবার ৩রা এপ্রিল সকাল ১০টা নাগাদ রাণীখং মিশনের নিচ থেকে উঠার মূল রাস্তাটা (পোস্ট অফিস থেকে ফাদারদের উঠান পর্যন্ত) ঢালাই এর জন্য স্থানীয় মিস্ত্রিদের সাথে কথাবার্তা, মাপযোগ, বাজেট নিয়ে আলোচনা চলছে সেই সময়ে হঠাৎ করে আমার বুকে চিন চিন করে ব্যথা অনুভব করছিলাম। দিনটি ছিল ভ্যাপসা গরম, এদিকে আমার শরীর থেকে অস্বাভাবিক ঘাম ঝরতে লাগলো, ক্লান্তিবোধ হতে লাগলো। মিস্ত্রিদের সাথে তাড়াতাড়ি কথা শেষ করে রাস্তার উপরে সিস্টারদের দ্বারা পরিচালিত ডিস্পেনসারিতে গেলাম এবং রোগীদের বসার জন্য রাখা একটি বেঞ্চে গিয়ে উপুর হয়ে শুয়ে পড়লাম। সোমেশ্বরী নদীর আদরমাখা সুশীতল বাতাস আমার গায়ে এসে পড়তে লাগলো কিন্তু সেই শীতল হাওয়া কোনমতেই আমাকে ঠা-া করতে পারলো না। মনে হয় বড্ড অভিমানী এই শরীরটা! তারপর উপরে আমার শোবার ঘরে গেলাম। সিস্টার মালাকে ডাকলাম, সাথে সতেজ, নির্মল, বিকাশ বাবু ও অমিত। প্রেসার মাপার যন্ত্রটা নিয়ে আসতে বললাম। প্রেসার ছিল ১৭০/১০০ বিপি। বুকে ব্যথা অনুভব করছিলাম। সিস্টার মালাকে দুষ্টুমী করে বললাম “গতকাল রাতে কুইচ্চা মাছ খেয়েছি তো মনে হয় তারই একটি কাটা বুকে বিঁধেছে। সিষ্টার মালা আমাকে একটি প্যারাসিটামল ওষুধ খেতে দিলেন।
ফাদার অঞ্জন জাম্বিল ছিলেন সহকারী পালপুরোহিত। সেদিন বিরিশিরি থেকে দক্ষিণে বিনমারালা গ্রামে মিশা দেওয়ার পালা ছিল তার । মোবাইল করে তাকে জানিয়ে দেওয়া হলো যেন তড়িৎগতিতে মিশনে ফিরে আসে। আমার অসুস্থতার কথা বিস্তারিত জানালাম। দুর্গাপুর থানা সাস্থ্য কমপ্লেক্স এ উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেংকে নিয়ে ডাক্তারদের সাথে কথা বলতে তারা দুজনে দুর্গাপুর হাসপাতালে পরামর্শ নিয়ে আমাকে জানালো আমি যেন দুর্গাপুরে গিয়ে ডাক্তারের সাথে সাক্ষাৎ করি। ইতোমধ্যে বিশপ পনেন পল কুবি সিএসসিকে আমার অসুস্থ্যতার কথা জানানো হলে তিনি সংগে সংগে তার নতুন গাড়ি দিয়ে সি. অর্চনা এসএসএমআই ও সাজিতা ম্রংকে পাঠিয়ে দেন আমাকে যেন ময়মনসিংহে নিয়ে যেতে পারেন। ফাদার অঞ্জন জাম্বিল দুর্গাপুর থেকে এসেই তার মটর সাইকেলে আমাকে দুর্গাপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমার অসুস্থতার কথা শুনে হাসপাতালে আমার জন্য অপেক্ষা করছিলেন প্রভাষক রেমন্ড আরেং, তার স্ত্রী জুই মানখিন; সেই হাসপাতালে কর্মরত নার্স অর্পা মাংসাং, গ্লোরিয়া ঘাগ্রা, জয়ন্তী জাম্বিল ও কমিশনার রমজান। দুর্গাপুর হাসপাতালের অধিকাংশ ডাক্তারগণ আমাকে চিনতেন কারণ মাঝে মাঝে তারা বিজয়পুর রানীখং মিশনে যেতেন তাদের আত্মীয়স্বজনদের নিয়ে বা কোন উর্ধ¦তন কর্মকর্তাগণ এ এলাকায় বেড়াতে আসতেন। সেই সুবাদে চেনা জানা। সেই পরিচিতির ফলেই তারা আমাকে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লেন। একজন ডাক্তার আমাকে চেক আপ করলেন, বিশ্রাম নিতে বললেন এবং বিশাল এক ঔষধের ফর্দ দিয়ে বিদায় দিলেন।
ইতোমধ্যে বিশপের গাড়ি দুর্গাপুর হাসপাতালের গেটে এসে থামলো। ভাবলাম গাড়ি যখন এসেই পড়েছে ময়মনসিংহে গিয়ে ভালো করে চেক আপ করব। রাণীখং ধর্মপল্লির কেউ জানতেন না আমার অসুখের কথা। যখন জানতে পারলেন তখন তারা নিজ উদ্যোগে, উৎকণ্ঠায় প্রত্যেকটি গ্রামে, বাড়িতে ও মিশনে আমার সুস্থ্যতার জন্য মালা প্রার্থনা করতে লাগলেন। দুর্গাপুর থেকে গাড়িতে উঠার পর বুকের ব্যথাটা তেমন অনুভব করিনি কিন্তু শারীরিক দুর্বলতা টের পাচ্ছিলাম। বিকাল ৪টা নাগাদ গিয়ে পৌছলাম বিশপ হাউজে, দেখলাম বিশপ পনেন পল কুবি সিএসসি, সি: মারীয়া, সি: লিয়া আরো বেশ কয়েকজন সালেসিয়ান সিস্টারগণ বিশপ ভবনের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন। গাড়ি থেকে নেমেই আমার রুমে গেলাম এবং হাত মুখ ধূয়ে আবার গাড়িতে উঠলাম ময়মনসিংহ ম্যাডিকেল হাসপাতালে ডাক্তার দেখাবার জন্যে। সাথে ছিলেন সি: মারিয়া জেংচাম, সি: লিয়া দ্রং এবং সাজিতা ¤্রং। জরুরি বিভাগে নাম লিখিয়ে আমাকে নেয়া হলো হৃদরোগ বিভাগে। ইসিজি করানো হলো। রিপোর্ট দেখে বলা হলো যে হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে। হাসপাতালে ভর্তি হতে হবে তার জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। আমি ভেবেছিলাম পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কিছু ঔষধপত্র দিয়ে ছেড়ে দেবেন। ভর্তি হলাম। শোবার জন্যে খাট নেই। তবু নার্সদের বদান্যতায় একটি বিছানা যোগার করা হলো। বিছানায় শোয়ার পর হাতে, বুকে, পায়ে হরেক রকমের তার সারা শরীরে লাগিয়ে দেওয়া হলো আর মুখে অক্সিজেনের নল। আমার মনে হচ্ছিল আমাকে যেন বেঁধে রাখা হয়েছে যাতে আমি পালিয়ে যেতে না পারি! কতবার এ হাসপাতালে এসেছি! হাসপাতাল কর্তৃপক্ষদের সাথে মিটিং করতে, খ্রিষ্টান নার্সদের সাথে কথা বলতে, রোগীদের সাক্রামেন্ত দিতে, তাদের সাথে সাক্ষাৎ করতে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় যারা মৃত্যুবরণ করেছে তাদের লাশ মিশনে নিয়ে যেতে, গরিব অসহায় রোগীদের সান্ত¡না জানাতে ও কিছু সহযোগিতা করতে অথচ আজ আমি নিজেই একজন অসহায় রোগী হয়ে হাসপাতালের একটি বিছানায় শুয়ে আছি! রাত্রে আমাকে সেবা করার জন্য সাজিতা ও ময়মনসিংহ ইন্টারমিডিয়েট সেমিনারিয়ানরা যারা হাসপাতালে ছিল তারা নির্ঘুম রাত কাটিয়েছে কেননা আমার অবস্থা খারাপের দিকে যাচ্ছিল। ভোর পাঁচটা নাগাদ সময় আমাকে জাগানো হলো আমাকে ঢাকাতে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সিষ্টার মারীয়া, সাজিতাসহ কয়েকজন এ্যাম্বুলেন্স নিয়ে বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে আছে। তাদের মধ্যে অস্থিরতার ভাব দেখতে পাচ্ছি। আমার মুখে অক্সিজেনের মাস্ক। গতকাল সন্ধ্যায় সি: লিয়া আমার জন্য তার রোজারিমালা দিয়েছিল সেই রোজারিমালাটা হাতের কব্জিতে জড়িয়ে নিলাম আর রোজারি প্রার্থনা করতে লাগলাম। এ মালা প্রার্থনা আমাকে মানসিকভাবে কত যে শক্তি জুগিয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ করা অসম্ভব। সকাল ৮ টার মধ্যেই শাহবাগ ইব্রাহিম কার্ডিয়াক বারডেম হাসপাতালের সামনে আমাদের এ্যাম্বুলেন্স থেকে নামানোর মুহূর্তে আমি দেখতে পেলাম আমার ক্লাশমেইট ফাদার তপন রোজারিও, সি: নিশা ঘাগ্রা, সি: এলিজাবেথ; শঙ্কর গমেজ আরো অনেকে আগে থেকেই আমাদের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।
এ ব্যবস্থা আগে থেকেই বিশপ পনেন পল কুবি সিএসসি করেছিলেন। যোগাযোগের ব্যপারে বিশপ পনেনকে এ জন্য প্রশংসা করতেই হবে। এদিকে আমার আত্মীয়স্বজনেরা আমার অসুখের কথা শুনে আমার বড় দুই দিদি, ভাগ্না, ভাগ্নি, নাতি, নাতনি তাদের স্বামী-স্ত্রী দল বেঁধে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। ঢাকায় অবস্থানরত আমার নাতি শোল তার স্ত্রী শাম্মী, শিপ্রা আমার নাতনি নাতি ভাস্কর, ভাইস্তা অসীম, পল্লব, তৎকালিন ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের অপারেশন ডিরেক্টর মি: থিওফিল হাজং তার স্ত্রী ক্যাথরিন হাপাং, টাইগার জাম্বিল, তার স্ত্রী রেখা- তারা আমাকে নিয়ে সবাই ব্যস্ত। অন্যদিকে বাড়ি থেকে আসা আত্মীয়স্বজনদের থাকার জায়গা, খাওয়া দাওয়া ঠিকঠাক করা তাদের জন্য একটি কঠিন সময় ছিল। যারা ঐ সময়ে সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন সকলের নাম প্রকাশ করতে পারিনি বলে আমি অত্যন্ত দুঃখিত। এদিকে জেরুম দা ও আমার বৌদি ক্যাথেরিন রেমা আমাকে নিয়ে দুঃচিন্তা আর অন্যদিকে বাড়ি থেকে আসা আত্মীয়স্বজনদেরকে সামাল দেওয়া তাদের জন্য এক কষ্টকর সময় ছিল। আমার বড় ভাই জেরুম প্রায় অসুস্থ্য হয়ে পড়েছিল।
৫ এপ্রিল ২০০৭ খ্রি. ঢাকার ইব্রাহিম কার্ডিয়াক বারডেম হাসপাতালে আমাকে ভর্তি করা হলো। ডা: তামজিদ আহমেদের তত্ত্বাবধানে ডা: হেমন্ত গমেজের সেবা, আন্তরিকতা, যত্ন ও দরদ দিয়ে আমাকে চিকিৎসা করায় আমি সত্যি অভিভূত। বারডেম হাসপাতালে ডায়াবেটিকস বিভাগে কর্মরত সিনিয়ার নার্স প্রভাতী ঘাগ্রা এবং দুলালী দ্রং সুযোগ পেলেই আসতেন আমাকে দেখতে। তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। আই সি ইউ তে যে ডাক্তার দায়িত্ব পেয়েছিলেন তিনি হলেন ডাক্তার বাকী। নটরডেম কলেজের প্রাক্তন ছাত্র এবং আমারই সহপাঠী। আমাকে দেখেই তিনি চিনতে পেরেছিলেন এবং তার পরিচয় দিয়েছিলেন। সেই সময়ে তিনি ছিলেন বিজ্ঞান বিভাগে আর আমরা ছিলাম মানবিক বিভাগে। কলেজের ফুটবল, বাস্কেটবল, ভলিবল আমরা একসঙ্গে খেলতাম। সৃষ্টিকর্তার প্রতি ধন্যবাদ জানাই- অসুস্থ্য না হলে তার সাথে বোধহয় আর সাক্ষাতই হতো না!
এপ্রিল ৬, ২০০৭ তারিখ আমাকে করা হলো এনজিওগ্রাম। তাতে বোঝা গেল আমার হার্টে ৪টি ব্লগ রয়েছে। পালস ৩০/৪০, কিডনি ভালোভাবে কাজ করছিল না। জরুরি ভিত্তিতে আমাকে পেস মেকার দিতে হলো। হার্টের অপারেশন করা শীঘ্রই প্রয়োজন কিন্তু কোথায় করানো হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্তহীনতা দেখা দিলো। আমি তা জানতে পেরে বড়ভাই জেরুম ও মি: থিওফিল হাজংকে ডেকে বললাম বিশপ মহোদয়ের সঙ্গে আলাপ করতে। আমি নিজেই ডাক্তারদের সাথে আলাপ করে বললাম যেন আমাকে বারডেম হাসপাতালেই অপারেশন করানো হয়। এতে বিশপ পনেন সিএসসি সম্মতি দিলেন। সময়টা ছিল পূণ্য সপ্তাহ। খ্রিষ্টানদের জন্য সময়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও পালনীয়। কিন্তু আমার প্রায় সকল আত্মীয়স্বজন তখন ঢাকায়। আরো আছেন সি: মারীয়া জেংচাম, সাজিতা ম্রং, আমার জন্য রক্তদানকারী কয়েকজন যুবক যারা আমার জন্য অনেক ত্যাগস্বীকার করেছেন।
পুণ্য সপ্তাহের বিভিন্ন ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা, পুণ্য বৃহস্পতিবারের প্রভু যিশুর অন্তিমভোজ ও আরাধনা, পুণ্যশুক্রবারের প্রভু যিশুর যাতনাভোগ, ক্রুশের পথ, ক্রুশ চম্বন অনুষ্ঠান, পুণ্য শনিবারের আগুন আশির্বাদ, পবিত্রজল আশির্বাদ, নিস্তার জাগরণী অনুষ্ঠান ও পুনরুত্থান উৎসব এগুলোতে তারা অংশগ্রহণ করতে পারেননি। তাদের মধ্যে কেউবা বারডেম হাসপাতালের ওয়েটিং রুমে, কেউবা করিডোরে, কেউবা ঔষধের দোকানে থেকেছেন এবং নিজ নিজ অবস্থানে থেকে আমার জন্য প্রার্থনা করেছেন। আমার আত্মীয়স্বজন ছাড়াও যারা আমার জন্য এত ত্যাগস্বীকার করেছেন তাদেরকে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করি ও ধন্যবাদ জানাই। আমার সৌভাগ্য যে প্রভু যিশুর পুনরুত্থান পর্বের পরের দিন অর্থাৎ Easter Monday -তে আমার বাইপাশ সার্জারি হয়েছিল। এদিকে বিশপ পনেন সারা বাংলাদেশে সকল বিশপ, ফাদার, ব্রাদার সিস্টার, বিভিন্ন এনজিও এমনকি বিদেশে পরিচিত জনদের কাছে আমার অপারেশনের দিন জানিয়ে দিয়েছিলেন।
সোমবার ১০ এপ্রিল ২০০৭ খ্রি. সকাল ৭:৩০ মি: আমাকে নিয়ে যাওয়া হলো অপারেশন থিয়েটারে, চাকাওয়ালা একটি খাটে, সেই সময়ে আমার আত্মীয়স্বজনদের কান্না শুনতে পেলাম। আমি শুধু আমার ডান হাতটা উঠিয়ে তাদের জানিয়ে দিলাম আমি বেঁচে আছি এবং আবার তোমাদের কাছে ফিরে আসবো। আমার শুভাকাঙ্খীদের প্রার্থনার ফলে আমার অন্তরে কোন ভয় সংশয় মোটেই ছিল না। অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়ার পর একজন ডাক্তার আমাকে বললেন, “আপনাকে একটি ইনজেকশন দিবো?” আমি বললাম “দেন”।
ইনজেকশন দেওয়ার সাথে সাথে আমি অজ্ঞান হয়ে পড়লাম- চলে গেলাম কোন এক অজানা জগতে, নিশ্চয় না ফেরার দেশে নয়! ডাক্তারগণ পরে আমাকে বললেন যে, আমার অপারেশনের সময় লেগেছিল সাড়ে পাঁচ ঘন্টা অর্থাৎ সকাল ৮ থেকে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। অপারেশন শেষ হলে জলের জন্য তীব্র তৃষ্ণা অনুভব করছিলাম, গলা শুকিয়ে যাওয়ায় কথা বলতে পারছিলাম না, তাই ইসারা ইঙ্গিত দিয়ে একজন নার্সকে বললাম জল দেয়ার জন্য। মাত্র এক ফোটা জল সেইসময় আমাকে কতটা যে প্রশান্তি দিয়েছে তা ভাষায় প্রকাশ অসম্ভব। অপারেশনের তিনদিন পর আমাকে সাধারণ ওয়ার্ডে আনা হলো। আমার আত্মীয়স্বজন, শুভাকাঙ্খি আমার সাথে দেখা করতে আসতে লাগলো। দেখলাম তাদের হাসিমাখা মুখ। আমার ও তাদের জীবনে সত্যি যিশু পুনরুত্থিত হয়েছেন।
১৭ এপ্রিল ২০০৭ খ্র্রি: হাসপাতাল থেকে মুক্ত হয়ে আসলাম পবিত্রআত্মা উচ্চ সেমিনারি বনানীতে। সেমিনারির তৎকালিন পরিচালক আমার বন্ধুবর গাব্রিয়েল কোড়াইয়া ও সেমিনারিয়ানদের যতেœ এক সপ্তাহ ধরে সেখানে অবস্থান করলাম। ধন্যবাদ তাদেরকে।
এ আপদকালীন সময়ে বাংলাদেশের সকল শ্রদ্ধেয় বিশপ, ফাদার, ব্রাদার, সিস্টার, খ্রিষ্টভক্ত ময়মনসিংহের রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ সুধীজন, সাংবাদিক; আইনজীবী; কারিতাস; ওয়ার্ল্ড ভিশন কর্মকর্তা ও কর্মীবৃন্দ বিভিন্ন ধর্মের নেতৃবৃন্দ যারা দেখা করতে এসেছেন এবং মসজিদ, মন্দির; পেগোডায় আমার জন্য দোয়া-প্রার্থনা করেছেন তাদের প্রতি রইল আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ।
সংগঠনের ৩১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএমএসসি
বাসন্তী রেমার হাতে তুলে দেওয়া হলো দুই লাখ পঁচাত্তর হাজার টাকা
কোভিড-১৯ ।। নিজে সচেতন হই, অন্যকেও সচেতন করি।। মানুয়েল চাম্বুগং
সামনে আরো ভিন্ন ভিন্ন ভাষায় গান নিয়ে আসতে পারবো আশা করছি ।। পিংকি চিরান (এফ মাইনর)
গানের শিক্ষক পল্লব স্নাল স্মরণে ।। মতেন্দ্র মানখিন
রাঙামাটিতে চলন্ত সিনজিতে আদিবাসী কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা, আটক ২
জংজংআ রওয়া কিংবা জা-চকগা রওয়া নাচ ।। তর্পণ ঘাগ্রা
বহেরাতুলি গ্রামকেও গ্রাস করছে সোমেশ্বরী ।। জর্জ রুরাম
ইতিহাস থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দিঘলবাগ গ্রামের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ।। অরন্য ই. চিরান
মেথ্রা জাজং নিয়া বা যুবতীদের চাঁদ দেখা নাচ: জিংজিংগ্রিকগা রওয়া বা প্রিয়জনকে ধরে নাচ ।। তর্পণ ঘাগ্রা
ব্রাদার গিউম পেলেন নেদারল্যান্ড রাজার বিশেষ সম্মাননা ‘অ্যাওয়ার্ড অব দ্যা কিং
ইউটিউবটাই আমার ভালোবাসা ।। নীল নন্দিতা রিছিল
গারো ভাষা ও সাহিত্যের স্বরোপ-৪ ।। বর্ণমালা সংক্রান্ত কিছু তথ্য ।। বাঁধন আরেং
https://www.facebook.com/100101444697668/videos/782974379102661
https://www.youtube.com/watch?v=_fX-GOMuPWk
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত
-
রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর উৎসব ওয়ানগালা
: রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর সামাজিক সাংস্কৃতিক ও...
-
আজ লেখক ও চিন্তক আলবার্ট মানকিন-এর স্মরণসভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান
: মধুপুর গড়াঞ্চলের আদিবাসী নেতা, চিন্তাবিদ, লেখক, সমাজকর্মী, এনজিও কর্মী আলবাট...
-
গুলশান বনানী ওয়ানগালা ২১ অক্টোবর শনিবার
: গুলশান বনানী ওয়ানগালা ২১ অক্টোবর শনিবার আদি সাংসারেক গারো জাতিগোষ্ঠীর...
-
১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ...
-
রে রে : হায়রে আমার কাঞ্জিয়া ।। নীলু রুরাম
: সমর সাংমার রেরে নিয়েই শুরু করি তবে একটু আলাদা। আমাদের...
-
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার ।। জাডিল মৃ
: এক. সময় স্রোতের সাথে আবাহমান ছুটে চলা প্রযুক্তির উন্নতি, মানব...
‘রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর উৎসব ওয়ানগালা’
: রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর সামাজিক সাংস্কৃতিক ও......বিস্তারিত
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত