নমিল নিপিলা বা যুবতী ফিরে দেখা নাচ
এই নাচে প্রথমে ছেলেরা দশজন বা তারও অধিক প্রত্যেকে গলায় দামা ঝুলিয়ে দামা বাজিয়ে নাচতে নাচতে চারিদিকে ঘুরবে এক কি দুই বার। তারপর নেচে নেচে মাঝখানে একজনের পিছনে আরেকজন একটু ফাঁকে দাঁড়িয়ে একই জায়গায় নাচতে থাকবে, এমন সময় মেয়েরাও সমসংখ্যক বের হবে এবং বাজনার তালে তালে নাচতে নাচতে ছেলেদেরকে মাঝখানে রেখে এক সাথে তাল মিলিয়ে ছেলেদের দিকে তাকাবে। এভাবে মেয়েদের ফিরে দেখাকে গারোরা নমিল নিপিলা বলে। এভাবে মেয়েরা নেচে নেচে এক কি দুইবার ঘুরে আস্তে আস্তে ছেলেদের বাম পাশে গিয়ে দাঁড়াবে এবং দামার তালে নাচতে থাকবে। কিছু সময় মেয়ে ছেলে পাশাপাশি একত্রে নাচবে। তারপরে ছেলেরা বাম পায়ের আঙুলে ভর দিয়ে নেচে নেচে দামা বাজিয়ে দূরে চলে যাবে। গারো ভাষায় একে বলে- থেংদিক থেংদিক দামা দকগি রওয়া। দূরে গিয়ে ছেলেরা এক লাইন করে একই জায়গায় দাঁড়িয়ে নাচবে, আর মেয়েরাও কিছু সময় পর নাচতে নাচতে ডানে তাকাবে বামে তাকাবে ছেলেদেরকে খুঁজবে, পরে নেচে নেচে গিয়ে ছেলেদের বাম পাশে গিয়ে নাচবে।
মেগারো দেননা র-ওয়া বা মেগারো গাছ কাটা নাচ
মেগারো গাছের নামটি গারো ভাষায় মেগারো বাংলা নাম জানি না। এই গাছ প্রায় ভূট্টা গাছের মত, গাছের মাথায় ফুল ও ফল হয়। ফলগুলো ছোট ছোট গোল, পাকা ফল রোদে শুকিয়ে আগুনে ভাজলে খৈ হয়। এই মেগারো খৈ-এর গুণ আছে, কয়েকদিন দিন খোলা রাখলেও নরম হয় না, নষ্টও হয় না। মেগারো ফল মাথায় একসাথে প্রচুর ফল হয়। ধানের শীষের মত লম্বা হয় না, দেখতে অর্ধেক কেটে ফেলার মত দেখা যায়, এই কারণে গারোরা এর নাম দিয়েছে মেগারো চনদক। ছেলেদের প্রত্যেকের গলায় দামা থাকবে, আর মেয়েদের প্রত্যেকের পিঠে থরা বা এক ধরনের পাত্র ঝোলানো থাকবে। মেয়েরা ছেলেদের পাশাপাশি লাইন করে দামার তালে নাচবে। প্রথমে নেচে নেচে উঠানে এক কি দুই বার ঘুরবে তারপর নেচে নেচে উঠানের ঠিক মাঝখানে কিছু জায়গা ফাঁক রেখে মেয়ে-ছেলে আলাদা দুই লাইনে দাঁড়িয়ে নাচতে থাকবে। ছেলেরা একই জায়গায় দাঁড়িয়ে নেচে নেচে দামা বাজাবে আর মেয়েরা এক সাথে একটু দূরে সরে গিয়ে থরা মাটিতে রাখবে। থরার ভেতরে থেকে দা হাতে তুলে নিবে। দা ডান হাতে নিয়ে নেচে নেচে বাম হাতে মেগারো গাছ ধরে কাটবে, পরে গাছের মাথার ফলগুলো কেটে থরায় রাখবে। ছেলেদের কোন কাজ নেই তারা শুধু নেচে নেচে দামা বাজাবে। মেয়েরা কিছু সময় নেচে নেচে থরায় মেগারো ফল তোলার পর থরা তুলে মাথায় দড়ি ঠেকিয়ে পিঠে ঝুলিয়ে দিবে, পরে নাচতে নাচতে ছেলেদের পাশে আসবে। একসাথে কিছু সময় নেচে ছেলে মেয়ে দুই লাইন করে বাজনার তালে তালে নেচে উঠোনে এক কি দুইবার ঘুরে চলে যাবে।
জংজংআ রওয়া কিংবা জা-চকগা রওয়া নাচ ।। তর্পণ ঘাগ্রা
বহেরাতুলি গ্রামকেও গ্রাস করছে সোমেশ্বরী ।। জর্জ রুরাম
ইতিহাস থেকে হারিয়ে যাচ্ছে দিঘলবাগ গ্রামের মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি ।। অরন্য ই. চিরান
মেথ্রা জাজং নিয়া বা যুবতীদের চাঁদ দেখা নাচ: জিংজিংগ্রিকগা রওয়া বা প্রিয়জনকে ধরে নাচ ।। তর্পণ ঘাগ্রা
ব্রাদার গিউম পেলেন নেদারল্যান্ড রাজার বিশেষ সম্মাননা ‘অ্যাওয়ার্ড অব দ্যা কিং
ইউটিউবটাই আমার ভালোবাসা ।। নীল নন্দিতা রিছিল
গারো ভাষা ও সাহিত্যের স্বরোপ-৪ ।। বর্ণমালা সংক্রান্ত কিছু তথ্য ।। বাঁধন আরেং
https://www.youtube.com/watch?v=JpMMX0vH0TE
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত
-
রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর উৎসব ওয়ানগালা
: রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর সামাজিক সাংস্কৃতিক ও...
-
আজ লেখক ও চিন্তক আলবার্ট মানকিন-এর স্মরণসভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান
: মধুপুর গড়াঞ্চলের আদিবাসী নেতা, চিন্তাবিদ, লেখক, সমাজকর্মী, এনজিও কর্মী আলবাট...
-
গুলশান বনানী ওয়ানগালা ২১ অক্টোবর শনিবার
: গুলশান বনানী ওয়ানগালা ২১ অক্টোবর শনিবার আদি সাংসারেক গারো জাতিগোষ্ঠীর...
-
১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ...
-
রে রে : হায়রে আমার কাঞ্জিয়া ।। নীলু রুরাম
: সমর সাংমার রেরে নিয়েই শুরু করি তবে একটু আলাদা। আমাদের...
-
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার ।। জাডিল মৃ
: এক. সময় স্রোতের সাথে আবাহমান ছুটে চলা প্রযুক্তির উন্নতি, মানব...
‘রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর উৎসব ওয়ানগালা’
: রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর সামাজিক সাংস্কৃতিক ও......বিস্তারিত
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত