Thokbirim | logo

১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

মেথ্রা জাজং নিয়া বা যুবতীদের চাঁদ দেখা নাচ: জিংজিংগ্রিকগা রওয়া বা প্রিয়জনকে ধরে নাচ ।। তর্পণ ঘাগ্রা

প্রকাশিত : অক্টোবর ১৩, ২০২০, ১৭:৫০

মেথ্রা জাজং নিয়া বা যুবতীদের চাঁদ দেখা নাচ:  জিংজিংগ্রিকগা রওয়া বা প্রিয়জনকে ধরে নাচ ।। তর্পণ ঘাগ্রা

মেথ্রা জাজং নিয়া বা যুবতীদের চাঁদ দেখা নাচ

এই জাজং নিয়া নাচে যুবকদের অংশগ্রহণ নেই। যুবতীরাই নাচে, আর যুবকেরা বাদ্য বাজনা বাজিয়ে দেয়। প্রথমে বাজনার তালে তালে এক লাইন হয়ে যুবতীরা নাচতে নাচতে উঠানের চারদিকে ঘুরবে, আর তালে তালে তাল মিলিয়ে ডান হাত কপাল পর্যন্ত উঠিয়ে উপস্থিত দর্শকদের সালাম দিবে। এক কি দুই ঘুরান ঘুরার পর সালাম দেওয়ার পর্ব শেষ হওয়ার সাথে সাথে বাজনার ধরণ পরিবর্তন হয়ে যায় আর যুবতীরা নাচতে নাচতে দুইটি লাইন হয়ে যায়। একজনের পিছনে আরেকজন দাঁড়ায়, কিছু সময় জায়গায় দাঁড়িয়ে নাচতে নাচতে আকাশের চাঁদ দেখবে। প্রথমে সবাই একসাথে ডান দিকে মাথা ঘুরিয়ে দেখবে। তারপর নাচতে নাচতে বাম দিকে মাথা ঘুরিয়ে দেখবে। সবাই একসাথে কিছু সময় চাঁদ দেখার পর স্থান পরিবর্তন করবে, পাশাপাশি দাঁড়ানোর জায়গা পরিবর্তন করবে। বাজনার তালে তালে নেচে নেচে একজন ডানে যাবে, আর অপরজন বামে আসবে, জায়গায় দাঁড়িয়ে নাচতে নাচতে আর একত্রে ডান দিকে আকাশের চাঁদ দেখবে, পরে একসাথে বাম দিকে। এভাবে কিছু সময় নাচার পর আগের মত বিদায়ের নাচ, ডান হাত মাথা পর্যন্ত উঠাবে বাজনার তালে তালে নাচতে নাচতে উঠানো হাতের পাতা অল্প নাড়াবে আর বিদায় জানাবে। গারো ভাষায় জাকপা দারেং ইল্লেং-ইসা সাবাইকে বিদায় জানিয়ে বের হয়ে আসে, বা সেই নাচের অনুষ্ঠান শেষ করে।

 জিংজিংগ্রিকগা রওয়া বা প্রিয়জনকে ধরে নাচ

এই জিংজিংগ্রিকগা নাচে ছেলে মেয়ে উভয়ই অংশগ্রহণ করে। সংখ্যা সমান সমান হতে হবে, ছেলেরা দশজন হলে মেয়েরাও দশজন হবে। প্রথমে ছেলেরা ১০জন গলায় ঢোল ঝুলিয়ে বাজিয়ে নাচতে নাচতে কয়েক ঘুরান ঘুরবে। ছেলেদের প্রত্যেকের গলায় দামা বা ঢোল থাকবে। পরে একজনের পর আরেকজন একটু কাত করে একই জায়গায় মাঝখানে দাঁড়িয়ে বাজনার তালে তালে নাচতে থাকবে। এমন সময় মেয়েরাও ১০জন নেচে নেচে প্রথমে ঘুরবে। তারপর আস্তে আস্তে নাচতে নাচতে ছেলেদের বাম পাশে এসে পাশাপাশি ছেলেদের সাথে নাচবে। এক সময় ছেলেদের ঢোলের বাজনা দ্রুত থেকে দ্রুত-তর হবে নাচও তাল মিলিয়ে দ্রুত হবে। এক সময় নাচতে নাচতে মেয়েরা এক সাথে দ্রুত ছেলেদের লাইনে পিছনের দিকে ঢুকে পড়বে, ছেলেদের কাঁধে হাত রেখে সমান তালে নেচে যাবে, জানিয়ে দেবে এটাই আমার প্রিয়জন। এইভাবে নাচার পার হঠাৎ নাচতে নাচতে মেয়েরা ছেলের সামনে গিয়ে ঢোলের উপর হাত রেখে নাচতে থাকবে, নেচে নেচে এরকম ধরাকে গারোরা জিংজিংআ রিমমা বলে। তারপরে আগের মত ছেলে মেয়ে আলাদা আলাদা দুই লাইনে ছেলেরা ঢোল বাজাবে আর মেয়েরা হাত উঠিয়ে নাচতে নাচতে হাত নাড়িয়ে বিদায় জানিয়ে একটি ঘুরান ঘুরবে। এভাবেই জিংজিংগ্রিকগা নাচ শেষ হয়।



ব্রাদার গিউম পেলেন নেদারল্যান্ড রাজার বিশেষ সম্মাননা ‘অ্যাওয়ার্ড অব দ্যা কিং

ইউটিউবটাই আমার ভালোবাসা ।। নীল নন্দিতা রিছিল

গারো ভাষা ও সাহিত্যের স্বরোপ-৪ ।। বর্ণমালা সংক্রান্ত কিছু তথ্য ।। বাঁধন আরেং

https://www.facebook.com/thokbirim/videos/782974379102661

লেখক ও মানবাধিকারকর্মী সঞ্জীব দ্রং

ব্রাদার গিউমের বাংলাদেশে বসবাসের সময় ৪০ বছর পূর্ণ হলো এই বছর। দীর্ঘ চল্লিশ বছর ধরে ব্রাদার বাংলাদেশের মানুষজনদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। সেই কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এই প্রথম বাংলাদেশে অবস্থানরত নেদারল্যান্ডবাসী ব্রাদার গিউম নেদারল্যান্ড রাজার বিশেষ সম্মাননা পুরস্কার অ্যাওয়া্র্ড অব দ্যা কিং’ পেলেন। সেই সম্মাননা প্রাপ্তি নিয়ে কথা বলছেন বিশিষ্ট লেখক ও মানবাধিকারকর্মী সঞ্জীব দ্রং

Gepostet von Thokbirimnews.com am Freitag, 9. Oktober 2020




সম্পাদক : মিঠুন রাকসাম

উপদেষ্টা : মতেন্দ্র মানখিন, থিওফিল নকরেক

যোগাযোগ:  ১৯ মণিপুরিপাড়া, সংসদ এভিনিউ ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫। 01787161281, 01575090829

thokbirim281@gmail.com

 

থকবিরিমে প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। Copyright 2020 © Thokbirim.com.

Design by Raytahost