Thokbirim | logo

৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

গারো ভাষা ও সাহিত্যের স্বরোপ-১ ।। বাঁধন আরেং

প্রকাশিত : অক্টোবর ০৫, ২০২০, ১০:০৯

গারো ভাষা ও সাহিত্যের স্বরোপ-১ ।। বাঁধন আরেং

নৃবিজ্ঞানীদের মতে গারোরা মঙ্গোলীয় তিবেতো বর্মণ ভাষা পরিবারের বোডো ভাষা শাখার জনগোষ্ঠি। বোডো ভাষা শাখায় প্রধানত ৩টি উপশাখা অন্তর্ভূক্ত রয়েছে তাদের মধ্যে গারো, কক-বরক ও কাচারি (কাছারি) উল্লেখযোগ্য। প্রতিবেশি রাষ্ট্র ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলসহ আরো কয়েকটি রাজ্যে এবং বাংলাদেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চলের জেলাসমূহে বোডো ভাষা উপশাখার মানুষদের বসবাস লক্ষ্য করা যায়। ভারতের আসাম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ ও প্রতিবেশি আরো কয়েকটি রাজ্যে গারোরা বসবাস করে। তবে মেঘালয় রাজ্য গারোদের প্রধান বসতি এলাকা। হিমালয়ের বিস্তৃত দক্ষিণ-পূর্ব বরাবর বার্মা পর্যন্ত এবং আসামের ব্রক্ষ্মপুত্রের তীরবর্তী পার্বত্য ও সমতল এলাকার গারোদের খ্রিষ্টপূর্ব ২৫০০ বছরের ইতিহাস উল্লেখ পাওয়া যায়।

গারোদের মধ্যে ১৩টি গোত্র এবং (গোত্র সম্পর্কিত মতপার্থক্য রয়েছে কারো মতে ৬টি গোত্র) তাদের প্রত্যেকের আলাদা কথ্যভাষা রয়েছে। বাংলাদেশের বিভিন্ন লেখায় প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ি গোত্রগুলো, (১) আবেং (২) আত্তং (৩)  আখাওয়ে (৪) চিবক (৫) চিসিক (৬) গারা-গানচিং (৭) রুগা (৮) মাচ্ছি (৯) দোয়াল (১০) কচ্চু (১১) আতিয়াগ্রা (১২) মাৎজাংচি এবং (১৩) মেগাম। তবে সাধারণভাবে সবাই আবেং ভাষায় ভাববিনিময় করে কথা বলতে পারে। মেঘালয়ে শিক্ষার ক্ষেত্রে ভাষার যে লেখ্যরূপ  (A·chikku) রয়েছে সেটাই সবাই অনুসরণ করে।

ভারত উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে গারো ভাষা প্রাচীন একটি ভাষা। বোডো ভাষা পরিবারের গারো, ত্রিপুরা, কক-বরক ও কোচ ভাষার অনেক শব্দের মিল লক্ষ্য করা যায়, যেমন, নক (ঘর), কক (বাঁশের তৈরি একধরনের ঝুঁড়ি) ইত্যাদি। সব ভাষার মত গারো ভাষাতেও অন্য ভাষার শব্দ আছে এবং স্বাছ¦ন্দে ব্যবহৃত হয়ে থাকে যেমন, আরবি ভাষার “সালাম”, বাংলা ভাষার “সময়”, ইংরেজি ভাষার “স্কুল” ইত্যাদি। তবে গারো ভাষার স্বকীয় এবং অনন্য কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। বাষার ব্যাকরণ, অভিধানসহ, শব্দ ও বাক্য গঠন ইত্যাদি সবকিছুরই নিজস্ব রীতি-নীতি রয়েছে।

গারো ভাষার স্বরোপ:

পশুপাখির ডাক বা প্রকৃতির কোনো শব্দ অনুধাবন করে প্রাণি বা বিশেষ কিছুর নামকরণ হয়ে থাকে যেমন বিড়াল গারো ভাষায় মেও মেও ডাকে বলে (মিউ মিউ) তার নাম Meng+go=Mengo । হলদে পাখির রং উজ্বল এবং দেখতে সুন্দর তাই তার নাম Do·chirong (do·+chirong), “do·” মানে “পাখি” “chirong” মানে “পরিস্কার/সুন্দর” অথার্ৎ ” dchio·rong  মানে পরিস্কার বা সুন্দর পাখি)। এভাবে গারো ভাষায় প্রকৃতির বিচিত্র বস্ত ও প্রাণির চরিত্র এবং ধ্বনির রকম-ফের অনুধাবন করে হাজারো শব্দ গ্রহণ বা বস্তর নামকরণ করা হয়ে থাকে। গারো ভাষায় নিজস্ব বাক্য গঠন রীতি রয়েছে। এক্ষেত্রে পুরুষ, নারীবাচক, বস্ত, সময় ইত্যাদির অনুসরণীয় রীতি রয়েছে। এক কথায় বলা যায় অন্যসব ভাষার মতই গারো ভষারও নিজস্ব ব্যাকরণ রয়েছে। সাধারণত উদ্দেশ্য-এর পরে বিধেয় বসিয়ে বাক্য গঠন হয়ে থাকে যেমন Do·ka gisima (কাক কালো), (Do·ka + gisima), Do·bipa gisika (মোরগ ডাকে), (Do·bipa + gisika), Do·bima bitchi chi·a (মুরগি ডিম পাড়ে), (Do·bima + bitchi chi·a)।

চলবে…

বাংলা একাডেমির বিভিন্ন অনুষ্ঠানে  আদিবাসী লেখকদেরকে সুযোগ দেয়া উচিত । । বাঁধন আরেং

মান্দি সমাজে নতুন জ্ঞান সৃষ্টির কাজে গবেষণা জরুরি । আলবার্ট মানখিন

https://www.facebook.com/thokbirim/videos/1163701897348748

সামাজিক বনায়নের নামে আদিবাসীদের নিজ বাসভূমি থেকে উচ্ছেদ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ।

Gepostet von Thokbirimnews.com am Mittwoch, 16. September 2020




সম্পাদক : মিঠুন রাকসাম

উপদেষ্টা : মতেন্দ্র মানখিন, থিওফিল নকরেক

যোগাযোগ:  ১৯ মণিপুরিপাড়া, সংসদ এভিনিউ ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫। 01787161281, 01575090829

thokbirim281@gmail.com

 

থকবিরিমে প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। Copyright 2020 © Thokbirim.com.

Design by Raytahost