“একদিন আমার পৃথিবীর দিন শেষ হবে, পৃথিবী আমাকে জানাবেই বিদায়, অশ্রুজলে ছেয়ে যাবে প্রিয়জনের চোখ। আমার নিথর শরীর, মলিন মুখ কিয়ৎক্ষণ দেখবে তারা কিংবা বন্ধু-স্বজনেরা, তারপর, যে যার মত হবে নিরুদ্দেশ, হয়তো কেউ আসবে, কেউ আসবে না আর আমার সমাধিতে ফুল দিতে, দুফোটা অশ্রু ঝরাতে!
সময়ের কাছে সবাই ছোট, করতে হবে মাথা নত, সময় চলে এলে কেউ পাবে না পিছন ফিরে তাকাবার। জগৎ সংসার, মায়া-মমতা, স্নেহ-ভালোবাসা, সব সুখ, সব উল্লাস, মান-অভিমান, সোনা-দানা, টাকাকড়ি পড়ে থাকবে পৃথিবীতে। সবকিছু ফেলে একাকী জীবনতরী হবো পার…!” তাই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার সময় আমার যা করণীয় তা করাই বুদ্ধিমানের কাজ ও সমীচীন কাজ।
মনের গভীরে মহা আফসোস রেখে মৃত্যুবরণের মাঝে জীবনের কোনো স্বার্থকতা নেই। একদিন সব লোক আমাকে ভুলে যাবে, আমার মুখ তারা মনে রাখবে না, আমার কবরে দেবে না সর্বদা শ্রদ্ধার সুগন্ধি ফুল। আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব সুভাকাঙ্খী-সবাই আমাকে ভুলে যাবে। ওরা দূর প্রবাসে থেকে নিজের কাজ ফেলে রেখে আমার মাটির কবরে অথবা শে^তপাথরে বাঁধানো কবরে শ্রদ্ধার অশ্রু গড়াতে আসবে না। এটাই বাস্তবতা, নির্মম বাস্তবতা। তবে এতদসত্ত্বেও তারা আমার কাজ মনে রাখবে, আমার কথা মনে রাখবে। জীবনে হয়তো আমি দুটি কাজ করব: ভালো-মন্দ। আমার দুটি কাজের মধ্যে একটিকে বেছে নিতে হবে আমাকে। আমি কোনো কাজ বেছে নেব? যে কাজের জন্য মানুষ আমাকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে সেই কাজ? অথবা মানুষ আমাকে অবজ্ঞা বা ঘৃণা ভরে স্মরণ করবে সেই কাজ?
পৃথিবীর মানুষ হিটলারের নাম স্মরণ করে ঘৃণা ভরে, আর বাংলার মানুষ র্মীজাফরকেও। যদিও হিটলার ছিলো দেশপ্রেমিক। কিন্তু মানব প্রেমিক ছিলো না, অনেক ইহুদিদের নির্বিচারে হত্যা করেছিল সে এবং পৃথিবী থেকে ইহুদি নামক অস্তিত্বকেই ধ্বংস করতে চেয়েছিল। আর বাংলার মানুষ নবাব সিরাজদৌল্লার নাম স্মরণ করে শ্রদ্ধাভরে, কিন্তু তার ঘাতক মীরজাফরের নাম স্মরণ করে ঘৃণা ভরে। কারণ মীরজাফর নবাব সিরাজদ্দৌল্লাকে মেরে স্বাধীন বাংলাকে ইংরেজদের হাতে তুলে দিয়েছিল। মানুষ আমাকে কীসের জন্য স্মরণ করবে? কীভাবে স্মরণ করবে? শ্রদ্ধা বা ভক্তি ভরে?
ফা. বাইওলেন চাম্বুগং গারো সম্প্রদায়ের একজন ধর্মযাজক এবং চিন্তক।
প্রকাশিত গ্রন্থ ‘যখন যেমন আলো : ধ্যান ও জ্ঞান সাধনায় প্রতিদিন’
প্রকাশকাল-জুন, ২০২০। থকবিরিম প্রকাশনী।
আরো লেখা…
ভালোবাসার ভিন্ন কথা ।। ফাদার বাইওলেন চাম্বুগং
কামারখালি গ্রামবাসীরা এক অনন্য উদাহরণ স্থাপন করল ।। জর্জ রুরাম
https://www.facebook.com/IndependentTVNews/videos/1211504035676807
আদিবাসী সাহিত্য নিয়ে বইমেলায় 'থকবিরিম'
একুশে বইমেলায় আদিবাসীদের সাহিত্য চর্চা নিয়ে হাজির হয়েছে #থকবিরিম প্রকাশনী। দেশসেরা প্রকাশনীগুলোর পাশাপাশি সমানতালে এগিয়ে এটি। এক নজরে দেখে নিন……….
Gepostet von independent24.tv am Freitag, 22. Februar 2019
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত
-
রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর উৎসব ওয়ানগালা
: রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর সামাজিক সাংস্কৃতিক ও...
-
আজ লেখক ও চিন্তক আলবার্ট মানকিন-এর স্মরণসভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান
: মধুপুর গড়াঞ্চলের আদিবাসী নেতা, চিন্তাবিদ, লেখক, সমাজকর্মী, এনজিও কর্মী আলবাট...
-
গুলশান বনানী ওয়ানগালা ২১ অক্টোবর শনিবার
: গুলশান বনানী ওয়ানগালা ২১ অক্টোবর শনিবার আদি সাংসারেক গারো জাতিগোষ্ঠীর...
-
১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ...
-
রে রে : হায়রে আমার কাঞ্জিয়া ।। নীলু রুরাম
: সমর সাংমার রেরে নিয়েই শুরু করি তবে একটু আলাদা। আমাদের...
-
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার ।। জাডিল মৃ
: এক. সময় স্রোতের সাথে আবাহমান ছুটে চলা প্রযুক্তির উন্নতি, মানব...
‘রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর উৎসব ওয়ানগালা’
: রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর সামাজিক সাংস্কৃতিক ও......বিস্তারিত
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত