Thokbirim | logo

১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

সোমেশ্বরী নদীর ভাঙন ভেঙে দিয়েছে শত শত মানুষের হৃদয়-মন ।। দেভাস মারাক

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২০, ০৯:১৪

সোমেশ্বরী নদীর ভাঙন ভেঙে দিয়েছে শত শত মানুষের হৃদয়-মন ।। দেভাস মারাক

সোমেশ্বরী নদীর ভাঙন, ভেঙে দিয়েছে রাণীখং, কামারখালী, বড়াইকান্দি ও শিবগঞ্জ প্রভৃতি গ্রামের শত শত মানুষের হৃদয়-মন। তছনছ করে দিয়েছে আদিবাসী ও বাঙালিদের স্বাভাবিক জনজীবন। একদিকে করোনা রোগের প্রাদুর্ভাব অন্যদিকে পাহাড়ি ঢলে সোমেশ্বরী নদীর ভাঙনে তাদের মধ্যে অনেকেই আজ সর্বস্বান্ত, উদ্বাস্তু, বিপর্যস্থ ও মানবেতর জীবনযাপন করছে। সোমেশ্বরী নদীর ভাঙন কেন হলো প্রশ্ন করা হলে, স্বাভাবিকবেই পাহাড়ি ঢলের আঘাতকেই মানুষ দায়ী করবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে নদী ভাঙনের মূল কারণ হলো সোমেশ্বরী নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু, পাথর ও কয়লা উত্তোলন।

কারণ অনেকদিন আগেই থেকে সোমেশ্বরী নদী থেকে লোভী ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগীতার মতো মেশিন দিয়ে বালু, পাথর ও কয়লা তুলে আসছে। যা সোমেশ্বরী নদীতে গেলে দূর থেকেই মেশিনের শব্দ ও কালো বায়ূ দূষণ দেখেই বুঝা যায়। এভাবে বালু, পাথর ও কয়লা তুলতে তুলতে নদীর ভূ-গভর্স্থ খালি হয় এবং বিভিন্ন জায়গায় চোরাবালির সৃষ্টি হয়। অনেক সময় শোনা যায়, কাজ করতে গিয়ে চোরাবালিতে পড়ে প্রতিবছরই দুই একজন শ্রমিক মারা যায়। তাহলে এ থেকে বুঝা যায় যে, সোমেশ্বরী নদী থেকে মাত্রারিক্ত বালু উত্তোলনের ফলেই সোমেশ্বরী নদীর ভাঙন হয়েছে। কারণ সোমেশ্বরী নদীর যে জায়গা থেকে বালু তুলা হয়েছে সেই জায়গার গভীরতা কোনো না কোনোভাবে কোনো কিছু দিয়ে ভরাত হতে হবে এটাই প্রকৃতির নিয়ম। আর সেই   ভূ-গভর্স্থ খালি নদীটি ভরাট হয়েছে সোমেশ্বরী নদীর উপকূলে বসবাসরত ক্ষতিগ্রস্ত অধিবাসীদের ভিটে বাড়ি দিয়ে।

সোমেশ্বরী নদীর উপকূলে বসবাসরত আদিবাসী ও বাঙালিরা আজ শংকিত। এভাবে যদি বছরের পর বছর নদী থেকে বালু উত্তোলন করা হয় তাহলে ভবিষ্যতে তাদের কী হবে? তাই এখনই উপযুক্ত সময় প্রশাসনিক ও সুশীল সমাজের এই বিষয়টা নিয়ে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ, পরীক্ষণ, নিরীক্ষণ ও কার্যক্রম শুরু করতে হবে। একটা কথা সবারই মনে রাখা উচিত প্রকৃতি উদারভাবেই আমাদেরকে অনেক কিছু দিয়ে যাচ্ছেন। তাই প্রকৃতিকে রক্ষা ও যত্ন নেওয়াও আমাদের সবার দায়িত্ব। যদি কখনো প্রকৃতির বিরুদ্ধে যায়, প্রকৃতির বিরুদ্ধে পাপ করি বা অন্যায় করি; তাহলে প্রকৃতি কিন্তু কখনো কাউকে ছাড় দিবে না, প্রকৃতি তার নিয়মেই প্রতিশোধ নিবে।

আরো লেখা…

আদিবাসী সাহিত্য নিয়ে বইমেলায় 'থকবিরিম'

একুশে বইমেলায় আদিবাসীদের সাহিত্য চর্চা নিয়ে হাজির হয়েছে #থকবিরিম প্রকাশনী। দেশসেরা প্রকাশনীগুলোর পাশাপাশি সমানতালে এগিয়ে এটি। এক নজরে দেখে নিন……….

Gepostet von independent24.tv am Freitag, 22. Februar 2019

কাউকে ঠকাবো না, নিজেও ঠকবো না ।। মানুয়েল চাম্বুগং

প্রেম অনুসঙ্গ :  কালিদাসের মেঘদূত  ।। মতেন্দ্র মানখিন

বিরিশিরি বালিকা বিদ্যালয়ের ইতিহাস ।। পর্ব-৮ ।। মণীন্দ্রনাথ মারাক

https://www.facebook.com/thokbirim/videos/1163701897348748

সামাজিক বনায়নের নামে আদিবাসীদের নিজ বাসভূমি থেকে উচ্ছেদ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ।

Gepostet von Thokbirimnews.com am Mittwoch, 16. September 2020




সম্পাদক : মিঠুন রাকসাম

উপদেষ্টা : মতেন্দ্র মানখিন, থিওফিল নকরেক

যোগাযোগ:  ১৯ মণিপুরিপাড়া, সংসদ এভিনিউ ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫। 01787161281, 01575090829

thokbirim281@gmail.com

 

থকবিরিমে প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। Copyright 2020 © Thokbirim.com.

Design by Raytahost