Thokbirim | logo

৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মধুপুরে গারোদের বসবাস তিন থেকে সাড়ে তিনশ বছর আগে ।। সুভাষ জেংচাম

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০, ১২:২৫

মধুপুরে গারোদের বসবাস তিন থেকে সাড়ে তিনশ বছর আগে ।। সুভাষ জেংচাম

সরকার যখন ইচ্ছা করে কোনো এলাকাকে রিজার্ভ বলে নেয়ার দেশের স্বার্থে, দেশের প্রয়োজনে সেটা তা করতে পারেন । এটা অবশ্যই মেনে নিই। কিন্তু সেখানে যদি এলাকাবাসী থাকে লোকজন থাকে তাহলে তাহাদের স্বার্থ দেখতে হবে। তাদের স্বার্থও সংরক্ষণ করতে হবে। দেশের বনের পরিমাণ সীমিত এবং ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। গত পঞ্চাশের দশকে ষাটের দশকে মধুপুর অঞ্চলে নিবিড় বন দেখেছি তার কণামাত্র আর অবশিষ্ট নেই এখন। কাজেই সরকার যদি ইচ্ছা করতেন তাহলে তারা গাছপালা রক্ষা করে তারা বনকে রক্ষা করতে পারতেন।

যুগযুগ ধরে আদিবাসীদের সংসার সংস্কৃতি কীভাবে রক্ষা করা যায় সেটাও সরকারকে ভাবতে হবে। আমার জানা মতে সেখানে প্রায় পঁচিশ হাজার আদিবাসী এই ঘোষণার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ সেখানে অনেক রেকর্ডকৃত জমি আছে অনেক আবাদী জমি আছে সেগুলো ব্যপারেও চিন্তা করতে হবে। না হলে অনেকে ভিটা মাটি থেকে উচ্ছেদ হয়ে যাবে, পথের ভিখারি হয়ে যাবে। তারা কোথায় যাবে? তাদেরকে রিপ্লেজ করার মত জায়গা আমি তো কোথাও দেখি না।

মধুপুরে যারা আছে তারা তো একদিনের নয়। তিন থেকে সাড়ে তিনশ বছর আগে তাদের বসবাস। তাদের রেকর্ড বলে নাটোরের রানির প্রজা ছিল এরা। এই গারো কোচ আদিবাসীরা। রানি ভবানী তো আড়াইশ বছর আগের কথা। তারা যদি রানি ভবানীর প্রজা হয়ে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই আরো ৫০/১০০ বছর আগে থেকেই তাদের বসবাস শুরু এখানে। এই জঙ্গলে। কাজেই এই দীর্ঘদিনের বাসিন্দাদেরকে কোনোরকম সহায় সুযোগ না দিয়ে উৎখাত করা আমি মনে প্রাণে মানতে পারি না।

 

থকবিরিম সাহিত্যপত্রিকার প্রখম সংখ্যায় প্রকাশিত লেখক সুভাষ জেংচামের সাক্ষাৎকারের বিশেষ অংশ।

আরো লেখা…

বনবিভাগ ইচ্ছাকৃতভাবে আদিবাসীদের জায়গা চিহ্নিত করে কাজ করছে।। অজয় এ. মৃ

বাসন্তী রেমার ক্ষতিপূরণ চাই ।। ইউজিন নকরেক

আমি উদ্বাস্তু হতে চাই না ।। থিওফিল নকরেক

https://www.facebook.com/100101444697668/videos/2753730364907910

দোখলা রেঞ্জ অফিসারকে প্রত্যাহার, ক্ষতিসাধনকারীদের শাস্তিসহ ক্ষতিগ্রস্থ বাসন্তী রেমা'কে যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও ঘেরাও কমসূচি পালন করছে.. বিক্ষুব্ধ আদিবাসী ও বাঙালি জনতা.. ..স্থান-দোখলা রেঞ্জ অফিস।

Gepostet von Thokbirimnews.com am Dienstag, 15. September 2020




সম্পাদক : মিঠুন রাকসাম

উপদেষ্টা : মতেন্দ্র মানখিন, থিওফিল নকরেক

যোগাযোগ:  ১৯ মণিপুরিপাড়া, সংসদ এভিনিউ ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫। 01787161281, 01575090829

thokbirim281@gmail.com

 

থকবিরিমে প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। Copyright 2020 © Thokbirim.com.

Design by Raytahost