সরকার যখন ইচ্ছা করে কোনো এলাকাকে রিজার্ভ বলে নেয়ার দেশের স্বার্থে, দেশের প্রয়োজনে সেটা তা করতে পারেন । এটা অবশ্যই মেনে নিই। কিন্তু সেখানে যদি এলাকাবাসী থাকে লোকজন থাকে তাহলে তাহাদের স্বার্থ দেখতে হবে। তাদের স্বার্থও সংরক্ষণ করতে হবে। দেশের বনের পরিমাণ সীমিত এবং ক্রমান্বয়ে হ্রাস পাচ্ছে। গত পঞ্চাশের দশকে ষাটের দশকে মধুপুর অঞ্চলে নিবিড় বন দেখেছি তার কণামাত্র আর অবশিষ্ট নেই এখন। কাজেই সরকার যদি ইচ্ছা করতেন তাহলে তারা গাছপালা রক্ষা করে তারা বনকে রক্ষা করতে পারতেন।
যুগযুগ ধরে আদিবাসীদের সংসার সংস্কৃতি কীভাবে রক্ষা করা যায় সেটাও সরকারকে ভাবতে হবে। আমার জানা মতে সেখানে প্রায় পঁচিশ হাজার আদিবাসী এই ঘোষণার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। কারণ সেখানে অনেক রেকর্ডকৃত জমি আছে অনেক আবাদী জমি আছে সেগুলো ব্যপারেও চিন্তা করতে হবে। না হলে অনেকে ভিটা মাটি থেকে উচ্ছেদ হয়ে যাবে, পথের ভিখারি হয়ে যাবে। তারা কোথায় যাবে? তাদেরকে রিপ্লেজ করার মত জায়গা আমি তো কোথাও দেখি না।
মধুপুরে যারা আছে তারা তো একদিনের নয়। তিন থেকে সাড়ে তিনশ বছর আগে তাদের বসবাস। তাদের রেকর্ড বলে নাটোরের রানির প্রজা ছিল এরা। এই গারো কোচ আদিবাসীরা। রানি ভবানী তো আড়াইশ বছর আগের কথা। তারা যদি রানি ভবানীর প্রজা হয়ে থাকে তাহলে নিশ্চয়ই আরো ৫০/১০০ বছর আগে থেকেই তাদের বসবাস শুরু এখানে। এই জঙ্গলে। কাজেই এই দীর্ঘদিনের বাসিন্দাদেরকে কোনোরকম সহায় সুযোগ না দিয়ে উৎখাত করা আমি মনে প্রাণে মানতে পারি না।
থকবিরিম সাহিত্যপত্রিকার প্রখম সংখ্যায় প্রকাশিত লেখক সুভাষ জেংচামের সাক্ষাৎকারের বিশেষ অংশ।
আরো লেখা…
বনবিভাগ ইচ্ছাকৃতভাবে আদিবাসীদের জায়গা চিহ্নিত করে কাজ করছে।। অজয় এ. মৃ
বাসন্তী রেমার ক্ষতিপূরণ চাই ।। ইউজিন নকরেক
আমি উদ্বাস্তু হতে চাই না ।। থিওফিল নকরেক
https://www.facebook.com/100101444697668/videos/2753730364907910
দোখলা রেঞ্জ অফিসারকে প্রত্যাহার, ক্ষতিসাধনকারীদের শাস্তিসহ ক্ষতিগ্রস্থ বাসন্তী রেমা'কে যথাযথ ক্ষতিপূরণের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও ঘেরাও কমসূচি পালন করছে.. বিক্ষুব্ধ আদিবাসী ও বাঙালি জনতা.. ..স্থান-দোখলা রেঞ্জ অফিস।
Gepostet von Thokbirimnews.com am Dienstag, 15. September 2020
‘গারো সাহিত্যপত্র ‘থকবিরিম’-এর নতুন সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন’
: গারো সাহিত্য নিয়ে কাজ করছে থকবিরিম। নিয়মিত প্রকাশ না হলেও......বিস্তারিত
-
গারো বইমেলা সমাপ্ত হচ্ছে আজ
: মাস জুড়ে চলা গারো বইমেলার আজ শেষ দিন। আলোচনা সভা...
-
গারো সাহিত্যপত্র ‘থকবিরিম’-এর নতুন সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন
: গারো সাহিত্য নিয়ে কাজ করছে থকবিরিম। নিয়মিত প্রকাশ না হলেও...
-
আত্মকথা ।। তেইজে ব্রাদার ও আচিক স্কুল ।। তর্পণ ঘাগ্রা
: আমি আনেক বছর ধরে তেইজে ব্রাদারদের সাথে কাজ করছি। প্রথমে...
-
মায়ের ভাষা মাতৃভাষা ।। মানুয়েল চাম্বুগং
: ২০০০ সালে ২১ ফেব্রুয়ারিকে ইউনেস্কো আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা...
-
প্রাপ্য হিসাব ।। পংকজ খকসী
: কাক দেখলে রাগ হয় , কোকিল দেখলে খুশি কোকিল কি ...
-
অনুবাদক থমাস স্নাল আর নেই
: জবাং ডি মারাক কর্তৃক লিখিত ‘গারো আইন’ বইটির অনুবাদক, লেখক...
‘গারো বইমেলা সমাপ্ত হচ্ছে আজ’
: মাস জুড়ে চলা গারো বইমেলার আজ শেষ দিন। আলোচনা সভা......বিস্তারিত
‘গারো সাহিত্যপত্র ‘থকবিরিম’-এর নতুন সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন’
: গারো সাহিত্য নিয়ে কাজ করছে থকবিরিম। নিয়মিত প্রকাশ না হলেও......বিস্তারিত