Thokbirim | logo

৭ই আশ্বিন, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

বাসন্তী রেমার ক্ষতিপূরণ চাই ।। ইউজিন নকরেক

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২০, ১৫:৪০

বাসন্তী রেমার ক্ষতিপূরণ চাই ।। ইউজিন নকরেক

এটা তো অনেক পুরানো জায়গা। আমরা ছোটবেলা থেকে দেখসি এটা পুরানো একটা গ্রাম। বনবিভাগের বহু আগে থেকেই আদিবাসী লোকজন এখানে বসবাস করে আসছে। আমরা গত বছর ওষধি বাগান উদ্ধার করলাম রবি খানের কাছ থেকে। সেই জায়গাটা হলো বাসন্তী রেমার। রবি খান বাসন্তীর সাথে কন্ট্রাক করে সেই জায়গায় রবি খান পার্বত্যচট্টগ্রাম থেকে ২৫/৩০জন গরিব ছেলেমেয়ে এনে রেখেছিলো, তাদের দিয়ে কাজ করাতো, বাগান করতো। আমরা পরে তাদের উদ্ধার করেছি। সেই জায়গায়ে বাসন্তী কলার বাগান করেছে। তবে জানি না কী কারণে বাসন্তীর বাগান কাটা হয়েছে। আমরা সরকাররে কাছে বাসন্তী রেমার ক্ষতিপূরণ চাই, আর আমাদের দাবি আমদের স্বত্বদখলকৃত ভূমি যেন আইনগতভাবে স্বীকৃতি দেয়া হয়।

বনবিভাগ কিন্তু বাসন্তী রেমার বাগান এভাবে কাটতে পারে না। তারা ঠিক করে নাই। আমরা বরাবারই বলে আসতেছি যে, আদিবাসীদের স্বত্বদখলী জমিতে বনায়ন করতে দিবো না। বাসন্তী রেমার যে বাগান কাটা হয়েছে তার জন্য ক্ষতিপূরণ দেয়া দরকার। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই, বাসন্তী রেমার জন্য যেন ক্ষতিপূরণ দেয় আর আগামীতে যেন এই ধরনের কাজ যেন না করে। আর এটা করা না হলে বড় ধরনের আন্দোলন হবে।

২৪ তারিখে বসার কথা তারা বলছে কিন্তু জানি না এটা কতটুকু হবে। এটা কি কালক্ষেপনের মধ্যে কি না। কারণ গতকাল তো বসার কথা ছিলো তারা বসে নাই। তারা তালবাহানা করে সময় পার করছে কিনা।

বাসন্তী রেমা

কর্তনকৃত নিজের বাগানের মাঝে বাসন্তী রেমা। ছবি লিয়াং রিছিল।

আমাদের মূল আন্দোলই হচ্ছে আমদের স্বত্বদখলী জমিগুলো আইনগত স্বীকৃতি দেয়া হোক। বন বিভাগ দাবি করে এইজমিগুলোর মালিক তারা। কিন্তু এই বনবিভাগ আসার অনেক আগে থেকেই এখানে আমরা বসবাস করছি, চাষাবাদ করে জীবনধারণ করছি।  এই যে ভুটিয়া প্রাইমারি স্কুলটা ১৯১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আর বন আইন হয়েছে ১৯২৭ সালে। ১৯২৭ সালের আগে কোনো বন আইন ছিলো না। সুতরাং এখানে আইনের তো প্রশ্নই আসে না। ভুটিয়া প্রাইমারি স্কুলেই আমাদের নেতা পরেশ বাবু পড়ালেখা করেছেন।  তিনি ১৯৬২ সালে জয়েনশাহী আদিবাসী পরিষদ প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি মারা গেছেন। সুতরাং এই অঞ্চলে আমাদের বসতি স্থাপন বনবিভাগের বহু বহু আগে থেকেই।

এখন বন বিভাগের ভিত্তি হচ্ছে ১৯৫৬ সনের রিজার্ভ ঘোষণা। পাকিস্তান সরকার ১৯৫৬ সনে রিজার্ভ ঘোষণা করল কিন্তু এর আগে তো তাদের কোনো অস্তিত্ব ছিলো না। তারপর ১৯৬২ সালে ন্যাশনাল পার্ক ঘোষণা। তারপর বন বিভাগ এখানে আসছে। পাকিস্তান বনবিভাগ। এর আগে তো আসে নাই। ১৯২৭ সনের আগে তো বন আইন বলে কিছুই ছিলো না। এখানে চাষ যোগ্য কিংবা বাসযোগ্য হিসেবে গড়ে তুলেছি আমরা। এখানকার আদিবাসী জনগোষ্ঠীরা। এখনও পাকিন্তান সরকারের ভূতই চেপে আছে সরকারি আমলাদের উপর।

আমাদের মূল হলো ILO কনভেনশনের ১০৭ পরবর্তীতে ১৬৯ জাতিসংঘের। এখন জাতিসংঘ কর্তৃক আমাদের যে  আদিবাসী সনদ এইসব তো বলা আছে এবং বাংলাদেশ জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্র হিসেবে জাতিসংঘের যে সিদ্ধান্ত এটা সম্মান করতে বা পালন করতে বাধ্য। এখন যে সরকার নানান আইন বানাচ্ছে এটা তো জাতিসংঘ ঘোষণা সিটে আছে। এখন আমরা যদি সাসটেনাবল গোলই যদি ধরি ‘কাউকে পেছনে ফেলে নয়’ কথাটি বলা হয়েছে এবং সরকারি তোড়জোর করে নানা কথা বলছে এখন কলাগাছ কেটে যদি বলে, কাউকে পেছনে ফেলে নয় তাহলে তো এটা বাঙালিদের জন্য খাটে এটা আদিবাসীদের জন্য খাটে না। কাউকে পেছলে ফেলে নয়, এই শ্লোনগানের বিপরীত না? মুখে বলছেন পিছিয়ে পড়াদের আগিয়ে নিয়ে আসবেন তারা যদি এভাবে কাজ করতে থাকে, আদিবাসীদের ভূমির অধিকার দেয়া না হয়  কলা বাগান যদি কাটে আানরস বাগান যদি ধ্বংস করে দেয়া হয় তাহলে কি আগায় আসতে পারবে?

ইউজিন নকরেক : আদিবাসী নেতা এবং জয়েনশাহী আদিবাসী পরিষদের সভাপতি।

বনবিভাগ ইচ্ছাকৃতভাবে আদিবাসীদের জায়গা চিহ্নিত করে কাজ করছে।। অজয় এ. মৃ

আমি উদ্বাস্তু হতে চাই না ।। থিওফিল নকরেক

https://www.facebook.com/thokbirim/videos/1163701897348748

সামাজিক বনায়নের নামে আদিবাসীদের নিজ বাসভূমি থেকে উচ্ছেদ ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ।

Gepostet von Thokbirimnews.com am Mittwoch, 16. September 2020




সম্পাদক : মিঠুন রাকসাম

উপদেষ্টা : মতেন্দ্র মানখিন, থিওফিল নকরেক

যোগাযোগ:  ১৯ মণিপুরিপাড়া, সংসদ এভিনিউ ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫। 01787161281, 01575090829

thokbirim281@gmail.com

 

থকবিরিমে প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। Copyright 2020 © Thokbirim.com.

Design by Raytahost