Thokbirim | logo

১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

গারো দুয়াল গোত্রের লোককাহিনি।। রাইবাল সিলসুবাল  ।। ধীরেশ চিরান

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১৬, ২০২০, ১০:৩৭

গারো দুয়াল গোত্রের লোককাহিনি।। রাইবাল সিলসুবাল  ।। ধীরেশ চিরান

‘চুগান’ দুয়াল গোত্রের নবান্ন উৎসব। দুয়ালদের চুগানে শুধুই নবান্ন উৎসব হয় না এর সাথে পারলৌকিক বিষয় রয়েছে। চুগান একটি মৌলিক শব্দ। যার অর্থ মিলন, একত্র হওয়া, স্মরণ করা, আনন্দ এবং একে অপরকে আপন করে গ্রহণ করা। চুগানের অনেক ধাপের মধ্যে শেষ পর্ব হল খাবি চত্তা বা খাবি রিংইয়া। খাবি দুয়াল গোত্রের লোককাহিনি। রাইবাল সিলসুবালের হৃদয় বিদারক কাহিনিকেই খাবির মাধ্যমে চুগানের শেষ পর্বে খাবি চত্তা বা লোককাহিনি হিসেবে বলা হয়।

রাইবাল সিলসুবাল অনিন্দ্য সুন্দরী এক গারো কিশোরীর নাম। আক্ষরিক অর্থে রাইবাল মানে অতি উজ্জ্বল এবং সিলসুবাল মানে সরিষা ফুলের মত সোনালি রং। অতি উজ্জ্বল সোনালি রংয়ের গারো মেয়েটির নাম রাইবাল সিলসুবাল। নামের সাথে তার দৈহিক গঠন এবং গায়ের রংয়ের চমৎকার মিল রেখেই সৃষ্টিকর্তা বা’গিবা বম্বি তাকে সৃষ্টি করেছিলেন। অনিন্দ্য এই সুন্দরী মেয়ের জন্ম হয় অতি দরিদ্র এক গারো দুয়াল পরিবারে। তার মা বাবা প্রতিদিন পাহাড় জঙ্গল থেকে কাঠ ও লাকড়ি কেটে বাজারে বিক্রি করে অতি কষ্টে সংসার চালাতো। রাইবাল সিলসুবাল অনিন্দ্য সুন্দরী হওয়াতে বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল পরিবারে। সমাজের কিশোর কিশোরীদের ঈর্ষার কারণ হয়েছিল সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত তার রূপ। পরিবারে তার মা বাবা ও অন্ধ আম্বিসহ(নানি) চারজন সদস্য ছিল। মা বাবার অনুপস্থিতিতে তার আম্বিই তাকে সকল বিপদ আপদ থেকে আগলে রাখত। এই অনিন্দ্য সুন্দরী রাইবাল সিলসুবালকে প্রথম আবিস্কার করল গ্রামের রাখালরা যারা সারাদিন সারদিন মাঠে গরু চড়াতো। যেমনটি আবিস্কার করেছিল গোশালায় শিশু যিশুকে গভীর রাতে মেষ চড়ানো রাখালেরা। দুয়ালদের মধ্যে আরো অনেক সুন্দরী সুন্দরী মেয়ে ছিল, কিন্তু রাইবাল সিলসুবাল ছিল অনন্য। অনেক জনের মধ্যে থাকলেও সে ছিল মণি মুক্তার মতো উজ্জ্বল। দূর থেকেই দেখা যেত, চেনা যেত আলাদা করে। কিন্তু মা বাবা ও আম্বির কঠিন পাহাড়ায় রাইবাল সিলসুবালকে কেউই কোত্থাও নিতে পারত না। রাইবাল সিলসুবালও ইচ্ছা থাকলেও গ্রামের কিশোর কিশোরী ও যুবক যুবতীদের সাথে মিশতে পারত না। যেতে পারত না কোন অনুষ্ঠানাদিতে।

 

একদিন রাখালেরা সবাই মিলে এক হয়ে বসলো এবং চিন্তা করলো কীভাবে রাইবাল সিলসুবালকে বাড়ি থেকে বেড় করে আনা যায়। তারা একটা ফন্দি আটলো,  গ্রামের অদূরে মাঠে মেল (social gathering) উৎসবের আয়োজন করবে। যেখানে গ্রামের সকল ছেলেমেয়ে যুবক-যুবতী অংশ গ্রহণ করে আনন্দ ফুর্তি করবে। সেই মেল উৎসবে রাইবাল সিলসুবালকেও আমন্ত্রণ জানানো হবে। মেল শব্দটা বাংলা মেলা শব্দের সাথে হুবহু চমৎকারভাবে মিল রয়েছে। মেলাতেও শত মানুষের আগমন ঘটে, দেখা সাক্ষাৎ হয়, অনেক ব্যবহার্য জিনিসপত্রের প্রদর্শন হয়, কেনাবেচা হয় এবং আনন্দ ফুর্তি করে। দুয়াল রাখালদের মেলও ঠিক সেই রকমের। ছেলে-মেয়ে যুবক-যুবতীদের মহাসমারাহ ও মিলন মেলা। মেল অনুষ্ঠানে খ্রাম দামা রাং বাংসি কাল ও চাপচেং বাজিয়ে সবাই নেচে গেয়ে আনন্দ করত এবং রে-রে-র সুরেলা কণ্ঠে আকাশ বাতাস মুখরিত হত।

রাখালেরা মেল অনুষ্ঠান করার জন্য মঞ্চ তৈরি করল এবং মঞ্চের এক জায়গায় গর্ত করল। গর্তের মুখ লতাপতা ও মাটি দিয়ে ঢেকে রাখল। আয়োজক রাখালেরা আগেভাগে সকল যুবক-যুবতীদের সর্তক করে দিল মঞ্চের গর্তের কথা। যাতে নাচের সময় গর্ত ছেড়ে ছেড়ে নাচে। রাইবাল সিলসুবালকে মেলে নিয়ে আসার জন্য দুইজন মেয়েকে দায়িত্ব দিল। সুযোগ বুঝে মেয়ে দুটি দুপুরের দিকে রাইবাল সিলসুবালের বাড়িতে গেল। বাড়িতে ঘরের দরজায় বসে অন্ধ আম্বি উঠানে শুকানো ধান লম্ব বাঁশের লঠি দিয়ে নাড়তে নাড়তে মুরগি খেদিয়ে বলতে থাকে ‘…হই আংই রাইবাল সিলসুবালখো, আংই সোনাখো রূপাখো, কেউখোবা রিমমাংসেং হননাজা, হই…’ অর্থাৎ সোনা রূপার মত আমার রাইবাল সিরসুবালকে কাউকে নিতে দিব না। বৃদ্ধা আম্বি আগে থেকেই জানত গ্রামের রাখালরা মেল উৎসব আয়োজন করেছে। কাজেই আগেভাগেই তার সর্তকতা। কিন্তু মেয়ে দুজনের একজন অন্ধ আম্বিকে ফাঁকি দিয়ে ঘরে ঢুকে রাইবাল সিলসুবালকে মেলে নিয়ে আসল। রাইবাল বাড়ি থেকে আনা তার গহনাপত্র কাপড়চোপড় পড়ে সেজেগুজে মেল উৎসবে যোগ দিল। তার স্বর্ণাজ্জ্বল চেহারা মেল উৎসবের পরিবেশকেই পাল্টে দিল, এনে দিল সব যুবক যুবতীদের মনে পুলকিত আনন্দ! শুরু হল মেল অনুষ্ঠানের মূল পর্ব রিংমা-রিংদিং (লম্বা সারিবদ্ধ) শুভাযাত্রা ও জাংজিমিত কাংকত নাচ দিয়ে। মেল অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়া সব যুবক-যুবতীর জানা ছিল মঞ্চের গর্তের কথা। কিন্তু বেচারা রাইবাল সিলসুবাল গুণাক্ষরেও জানে না তাদের এই কুটবুদ্ধির কথা।

নাচার সময় সব ছেলেমেয়েরা গর্তের চিহ্নিত জায়গা ছেড়ে ছেড়ে নাচতে লাগল। কিন্তু অনিন্দ সুন্দরী স্বর্ণাজ্জ্বল মেয়ে রাইবাল জানে না রাখালদের ষড়যন্ত্র। অন্যান্য মেয়েদের মতই সে নাচতে থকল নিজের যত কলাকৌশলকে উজার করে। তুমুল নাচের এক পর্যায়ে গর্তের মুখে পা ফেলে রাইবাল পড়ে গেল গর্তের মধ্যে। সাথে সাথে সবাই চিৎকার করে উঠল এবং বলতে থাকল রাইবালনি রাইসং বিইজক, রাইসং বিইজক! বিদ্যুৎবেগে কী যে ঘটে গেল রাইবাল কিছুই বুঝতে পারল না। গর্তে পড়ে তার স্বর্ণাজ্জ্বল চেহারা লজ্জায় বিবর্ণ হয়ে গেল এই হৃদয় বিদারক ঘটনায়। রাখালেরা এটাইতো চেয়েছিল। রাইবাল বাড়িতে এসে গুরুত্বর অসুস্থ্য হয়ে পড়ল। অবশেষে রাইবাল রাইসং বিএই খাবিএই (লজ্জায় অপমানে) অসুস্থ্য হয়ে মারা গেল। দুয়ালদের সামাজিক নিয়ম মতে মৃতব্যক্তির জন্য সাত দিন মধ্যে নাখাল চিক্কা অনুষ্ঠান করতে হয়। পরিবারের কেউ মারা গেলে নাখাল চিক্কা অর্থাৎ মাছ উৎসর্গ অনুষ্ঠান না করে মাছ ও মাছ জাতীয় খাবার খাওয়া যায় না এটাই দুয়ালদের সামাজিক রীতি। রাইবালের মাও মেয়ের নাখাল চিক্কা অনুষ্ঠানের জন্য নদীতে মাছ ধরছিল। তখন নদী দিয়ে তার মিমাং বিইসা (দেবতা বন্ধু নর-মান্দির সাথে মিমাংরা বিইসা বিইসি অর্র্থাৎ বন্ধু পাতত) যাচ্ছিল। রাইবালের মা বিইসিকে দেখে মিমাং বিইসা জিজ্ঞিস করল কী করছে। তিনি মিমাং বিইসাকে জানালেন তার মৃত মেয়ে রাইবালের নাখাল চিক্কা অনুষ্ঠনেরন কথা। তার জন্য মাছ ধরছে। এই অনুষ্ঠানে মিমাং বিইসাকেও নিমন্ত্রণ করা হল। মিমাং বিইসা নিমন্ত্রণ গ্রহণ করে নদী পথে চলে গেল।

রাইবাল সিলসুবালের নাখাল চিক্কা অনুষ্ঠানের দিন মিমাং বিইসা মৃত মেয়ে রাইবালকে নিয়ে উপস্থিত হল। কিন্তু মিমাং বিইসা রাইবালের গহনাপাতি কাপড় চোপড় নদীর বালু চরে পুটে লুকিয়ে রেখে আসল। রাইবালকে যাতে চিনতে না পারে তার জন্য মাংগাল চি/ চিদিমাক(মৃত মানুষের কয়লা মাখানো নিক্কস কালো পানি) দিয়ে ¯œান করিয়ে আনল। রাইবালের দৈহিক গঠন ঠিক থাকলেও তার স্বর্ণাজ্জ্বল রং থাকল না দেহের মধ্যে। দেখতে কুৎচিৎ কালো দেখা যাচ্ছিল। রাইবাল সিলসুবাল তার মা-বাবাকে চিনে এবং সে যে তাদেরই মেয়ে তার পরিচয় দেয়। কিন্তু মেয়েটির অদ্ভুত কালো রং দেখে তার মা-বাবা একদম অস্বীকার করে। তারা বলে, না না তুমি আমাদের মেয়ে নও, আমাদের মেয়ে এরকম কালো নয়। তুমি আসলে কোন ডোমের মেয়ে জালর মেয়ে। আমাদের মেয়ে এরকম কুৎসিৎ কালো হতে পারে না।

মেয়ে নানাভাবে প্রমাণ করে দেখায়; এই যে আমার পিঁড়ি, এই যে আমার রুয়ান, এই যে আমার চারিনি, এই যে আমার খেলনা, এই যে আমার পরনের কাপড়চোপড়, এই যে আমার গহনা। বলে, মা তুমিইতো আমাকে আদর করে এই গহনাগুলো পরাতে, খেলনাগুলো খেলতে দিতে। সে তার গুছিয়ে রাখা খেলনাগুলো খেলতে চায়। কিন্তু তার মা-বাবা তাকে কিছুই ধরতে দেয় না। বলে আমার রাইবাল আমার সিলসুবাল খাবি এই গিসিক বিএই সিজক রিজক; তার এই জিনিসগুলো দিয়েই তার মুখ আমরা দেখি। তার খেলনা জিনিসপত্র তুমি ধরবে না। মেয়ে তবু বার বার বিভিন্নভাবে প্রমাণ দিয়ে মা-বাবাকে বলে আমিই তোমাদের মেয়ে রাইবাল সিলসুবাল। কিন্তু মা-বাবা তবুও চিনতে পারে না, বিশ্বাসও করে না। বার বার বলে তুমি ডোমের মেয়ে, জালর মেয়ে ইত্যাদি বলে অপমান করে তাকে। মেয়ে রাইবাল মনে অনেক দুঃখ পায়, কষ্ট পায় তার মা বাবার ব্যবহারে। কিন্তু কী আর করা! মিমাং বিইসাকে আদর আপ্যায়নের সময় চু দিলেও তার জন্য দিত না, খাজি (চু সাথে খাওয়া মুখরোচক তরকারি) দিলেও তার জন্য দিত না, হনসতা দুসতা করত। মিমাং বিইসা তার জন্য দেয়া চু ও খাজি মুখ থেকে বেড় করে রাইবালের জন্য খাওয়াতো।

নাখাল চিক্কা অনুষ্ঠানের খাওয়া দাওয়া শেষ করে বিদায় নেওয়ার আগে মিমাং বিইসা রাইবালকে নদীতে নিয়ে স্নান করিয়ে মাগাল চি দিয়ে ডুবিয়ে আনা সব ধুয়ে পরিস্কার করল। রাইবাল মনের দুঃখে নদীর পানিতে থামবুলই সাঁতার কাটল অর্থাৎ পানিকে উথালর পাথাল করে ঢেউ তুলে শেষবারের মত স্নান করল। স্নানের সময় তার হাত পা সঞ্চালনে নদীর জলবিন্দু মুক্তামুষ্টির মত ঝলক দিয়ে আকাশে ছড়িয়ে পড়ছিল। মনের মত স্নান শেষে রাইবাল বালুচরে লুকিয়ে রাখা তার গহনাপাতি ও কাপড়চোপড় পরল। মিমাং বিইসা বিদায় নেয়ার সময় তাদের মেয়ে রাইবাল সিলসুবালকে শেষবারের মত দেখে রাখার জন্য নিয়ে এল। তখন মা-বাবাতো দেখেই অবাক! সত্যিইতো এই মেয়েটি আমাদের মেয়ে রাইবাল সিলসুবাল! যখন বুঝল তখন অনেক দেরি হয়ে গেছে। নিতাই বোগাই সিমসাংএর জল এতক্ষণে বঙ্গপ সাগরে মিশে গেছে। তখন সে তাদের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। মা-বাবা মেয়ের ব্লাকগিবা (বীর) সকল মামা দাদা ও আত্মীয় স্বজনদের ডাকল এবং সবাই মিলে মিল্লাম স্ফি নিয়ে রাইবাল সিলসুবালকে ফিরে আনার জন্য মিমাং বিইসার Creator/God পিছু পিছু অনুস্মরণ করল। রাস্তায় অনেক গাছ কেটে কেটে ফেলে বেড়িকেট দিয়ে দিয়ে মিমাং বিইসা চলতে লাগল। তারা ছয়টা বেড়িকেট সরিয়ে সরিয়ে সপ্তম বেড়িকেটে গিয়ে পৌছল। সপ্তম বেড়িকেটই শেষ বেড়িকেট ছিল। এতক্ষণে মিমাং বিইসা সপ্তম বেড়িকেটের দরজা বন্ধ করে দিল। আর কেউই ঢুকতে পারল না। দরজা বন্ধ করার পর রাইবাল সিলসুবালকে মিদ্দি তেপ্পারীতে (মিমাং খাঁচা) ঢুকানো হল। এই তেপ্পারীতে (cage of spirit ঢুকলে আর কেউই বেড় হতে পারে না।

রাইবাল সিলসুবাল মিদ্দি তেপ্পারীতে ঢুকে তার মা-বাবা, মামা দাদা ও আত্মীয় স্বজনদের অর্থাৎ নর-মান্দিদের মানুষ মারা গেলে কী কী করতে হবে তা রিখিত দাংখিত (পুঙ্খানুপুঙ্খ) নিয়ম কানুনসমূহ বলে দিল। খাবার দাবার সময় তাদের স্মরণ করে চিন্নি হন্নি (উৎসর্গ) খেতে হবে, নতুন ফসলাদি তাদের উৎসর্গ না করে খেতে পারবে না। তাদেরকে উৎসর্গ না করে খেলে আসিনামজা হবে অর্থাৎ অমঙ্গল হবে। মৃত ব্যক্তিদের স্মরণ না করে খেলে পানিতে কুমিরে ধরবে, জঙ্গলে বাঘে খাবে, সাপে কাটবে ইত্যাদি। মানুষ মরার সময় গুদারা পারের জন্য তার হাতে পয়সা দিতে হবে। সেজেগুজে শোক শুভাযাত্রা করে নদী পর্যন্ত তার আত্মাকে এগিয়ে দিতে হবে। সাত দিনের মধ্যে নাখাল চিক্কা অনুষ্ঠান করতে হবে। নাখাল চিক্কা অনুষ্ঠান না করে কোন মাছ খাওয়া যাবে না। ছয় মাসের মধ্যে কোন মিমাং (departed soul) খাম করা যাবে না এবং এক বছরের মধ্যে মিমাং খাম করতে হবে। দেলায়াং সোওয়ার মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির সৎকার করতে হবে। অর্থাৎ ওয়াচি (শারদীয়) চুগান ও বাসাল (বসন্তকালীন) চুগানের মাধ্যমে মৃত ব্যক্তির আত্মাকে পৃথিবী থেকে চির বিদায় দিতে হবে। রাইবাল সিলসুবালের মৃত্যুর মধ্য দিয়েই দুয়ালদের চুগান অনুষ্ঠানের সৃষ্টি হল।

 চুগান উৎসবের ছবি ধীরেশ চিরান।

 

আরো লেখা..

এর শেষ কোথায়!! জাডিল মৃ

বাসন্তী রেমার কলাবাগান কেটে ফেলার প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত




সম্পাদক : মিঠুন রাকসাম

উপদেষ্টা : মতেন্দ্র মানখিন, থিওফিল নকরেক

যোগাযোগ:  ১৯ মণিপুরিপাড়া, সংসদ এভিনিউ ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫। 01787161281, 01575090829

thokbirim281@gmail.com

 

থকবিরিমে প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। Copyright 2020 © Thokbirim.com.

Design by Raytahost