Thokbirim | logo

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৯৬৪ সালের রায়ত ।। আদিবাসী হত্যার জীবন্ত সাক্ষী হয়ে বেঁচে আছেন এখনও ।। সরোজ ম্রং

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২০, ১১:১৮

১৯৬৪ সালের রায়ত ।। আদিবাসী হত্যার জীবন্ত সাক্ষী হয়ে বেঁচে আছেন এখনও ।।  সরোজ ম্রং

পূর্ব প্রকাশের পর…

হেমার্সন হাদিমা “কাকরকান্দি বিভাগের ইতিহাস” নামক পুস্তিকায় ৬ই ফেব্রুয়ারির আদিবাসী হত্যা ও ট্র্যাজিডির বিশদ বিবরণ তুলে ধরেছেন। লেখক নিজেও ছিলেন সেই দেশত্যাগীদের  একজন। পেকামারী পানিহাটার আদিবাসী হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী নীরব সাক্ষী হেমার্সন হাদিমা, নির্মল রিছিল করুণ দিও আরো অনেকেই বেঁচে আছেন জীবন্ত সাক্ষী হয়ে। হেমার্সন হাদিমা ৬ই ফেব্রুয়ারির ঘটনা  প্রবাহের জীবন্ত তথ্য ও মর্মান্তিক চিত্র তুলে ধরেছেন। তখন সহিংস সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসের আঘাতে রক্তাক্ত ক্ষত বিক্ষত এই আদিবাসী জনপদ। সরকারের ইচ্ছাকৃত পক্ষপাতের কারণে আইন শৃংখলা অসহনীয় মাত্রায় অবনতি ঘটে। চরম নিরাপত্তাহীনতায় আতংকে কেঁপে উঠে আদিবাসীরা। অমানবিক নিষ্ঠুরতার শিকার আদিবাসীদের আর্তচিৎকারে  বির্দীন হয় পাহাড়ি ভূমি। দেশত্যাগের মিছিল চলতে থাকে । অবাধ মানবতা লংঘনের এসব তথ্য যাতে বহির্বিশ্ব জানতে না পারে  তার জন্য প্রথমে খ্রিষ্টান মিশনারিদের  গারো এলাকায় নিষিদ্ধ ঘোষণা করে  সরকার। মানবাধিকার কর্মীদের অবাধ চলাচলের উপর বিধিনিষেধ আরোপ করে।

এ ভীতিজনক ভূতুরে  পরিবেশ ও পরিস্থিতিতেই নালিতাবাড়ি থানার ১০টি গ্রামের সাতশ জনগণ একত্রিত হয়ে এক বিশাল গারো জনতা দেশত্যাগ করেন ৬ই ফেব্রুয়ারি। এই ১০টি গ্রামের গারো ও কিছু সংখ্যক ডালুরা ৫ই ফেব্রুয়ারির বিকালে কাকরকান্দি গ্রামের মেজান নকরেকের বাড়িতে সমবেত হন। তখন দাঙ্গাকারীরা আদিবাসীদের  গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে পুড়িয়ে দিচ্ছিলেন।

চলবে…

আরো লেখা

গারো জাতির সন্তান জন্ম ও নামকরণ, একটি সংস্কৃতির ধারা ।। বেনেডিকট এম. সাংমা

কূলহারা মানুষের মর্মস্পর্শী গান, প্রশাসনের হৃদয়মূলে পৌছাবে কি?

১৯৬৪ সালের রায়ত ।। ৭০০ জন আদিবাসীর দেশ ত্যাগের সিদ্ধান্ত।।  সরোজ ম্রং

বাংলাদেশ হারালো তার পরম বন্ধু ফাদার টিমকে ।। ফাদার গৌরব জি. পাথাং, সিএসসি

https://www.facebook.com/IndependentTVNews/videos/1211504035676807

আদিবাসী সাহিত্য নিয়ে বইমেলায় 'থকবিরিম'

একুশে বইমেলায় আদিবাসীদের সাহিত্য চর্চা নিয়ে হাজির হয়েছে #থকবিরিম প্রকাশনী। দেশসেরা প্রকাশনীগুলোর পাশাপাশি সমানতালে এগিয়ে এটি। এক নজরে দেখে নিন……….

Gepostet von independent24.tv am Freitag, 22. Februar 2019




সম্পাদক : মিঠুন রাকসাম

উপদেষ্টা : মতেন্দ্র মানখিন, থিওফিল নকরেক

যোগাযোগ:  ১৯ মণিপুরিপাড়া, সংসদ এভিনিউ ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫। 01787161281, 01575090829

thokbirim281@gmail.com

 

থকবিরিমে প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। Copyright 2020 © Thokbirim.com.

Design by Raytahost