Thokbirim | logo

১৪ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৯শে নভেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

গারো জাতির সন্তান জন্ম ও নামকরণ, একটি সংস্কৃতির ধারা ।। বেনেডিকট এম. সাংমা

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১২, ২০২০, ১৫:১৮

গারো জাতির সন্তান জন্ম ও নামকরণ, একটি সংস্কৃতির ধারা ।।  বেনেডিকট এম. সাংমা

পূর্ব প্রকাশে পর…

বাঁশের টুকরোগুলি শিশুসন্তানের বাবা অস্থায়ী বেদীসহ দূরে ফেলে দেবে। আর মোরগটি ঘরের চালের উপর থেকে ফেলে দেবার সময় যে স্থানে পড়বে, সেই স্থানে শিশুসন্তানের বাবা এবং কামাল (পুরোহিত ) দুজনে রেঁধে খাবে। এই অনুষ্ঠানের সময়, যতজন উপস্থিত থাকবে তাদেরকে শুধু মদ্যপান করানো হয়ে থাকে।

মোরগের বাকি অংশগুলি কলা পাতায় মুড়িয়ে কামাল (পুরোহিত) দেবতাকে উৎসর্গ করবে। এতক্ষণে যে দেবতাকে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পূজা করা হলো, এই দেবতাই শিশু দেবতা। আচিক গারো ভাষায় “তংরেমা – দেয়েনপাগা” বলে। যে ঘরে বসবাস করে, সেই ঘরের প্রবেশ দ্বারের চালের উপরে একগুচ্ছ ঘাস অথবা বাঁশ নির্মিত একটি ছোট গেট বেদীর ন্যায় তৈরি করে রাখা হয়। উদ্দেশ্য শিশুসন্তান ও অভিভাবক যদি কোন সময় ব্যথা বেদনায় ভোগে তাহলে ঐ শিশু দেবতাকে সুষ্ঠু করতে ১টি মোরগ বলি দিয়ে উৎসর্গ করতে হয়। যাতে শিশুসন্তানকে এইরূপ দুর্দশা থেকে মুক্তি দেয়।

গ্রামে যেদিন শিশুসন্তান জন্মাবে, সেইদিন গ্রামের লোকজন কৃষি কাজে যায় না। এদের বিশ্বাস, জমিতে কাজ করলে ফসল নষ্ট হবে এবং অমঙ্গল হবে। শিশু সন্তান জন্মানোর পর শিশুটির ভবিষ্যৎ মঙ্গল-অমঙ্গল বিষয়টি কামাল (পুরোহিত) পরীক্ষা করে দেখবে।

চলবে…

।। কভার ছবি ধীরেশ চিরান

নোট : গারো সম্প্রদায়ের কবি ও লেখক বেনেডিক্ট এম সাংমা ২৬শে মে ২০২০ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তাঁর অসংখ্য লেখা উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ‘ গারো জাতির সন্তান জন্ম ও নামকরণ, একটি সংস্কৃতির ধারা’ লেখাটি থকবিরিমের বিশেষ প্রতিনিধি তরুণ লেখক জাডিল মৃ বেনেডিক্ট এম. সাংমার ছেলের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছেন। থকবিরিম পাঠকদের জন্য লেখাটি প্রকাশ করা হলো -বি.স




সম্পাদক : মিঠুন রাকসাম

উপদেষ্টা : মতেন্দ্র মানখিন, থিওফিল নকরেক

যোগাযোগ:  ১৯ মণিপুরিপাড়া, সংসদ এভিনিউ ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫। 01787161281, 01575090829

thokbirim281@gmail.com

 

থকবিরিমে প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। Copyright 2020 © Thokbirim.com.

Design by Raytahost