Thokbirim | logo

২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

১৯৬৪ সালের রায়ত ।। ৭০০ জন আদিবাসীর দেশ ত্যাগের সিদ্ধান্ত।।  সরোজ ম্রং

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১১, ২০২০, ০৯:৫৮

১৯৬৪ সালের রায়ত ।। ৭০০ জন আদিবাসীর দেশ ত্যাগের সিদ্ধান্ত।।  সরোজ ম্রং

১৯৬৪ সাল ৫ ই ফেব্রুয়ারি হালুয়াঘাট থানার ৭০০  জনের এক দল গারো প্রাণ বাঁচাতে দিন দুপুরেই ভারতে পালানোর সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু সীমান্ত  বরাবর ছিল পুলিশ ও সীমান্ত রক্ষীদের  সশস্ত্র ও সর্তক দৃষ্টি। তাদের সাথে ছিল সার্বক্ষনিক দায়িত্বে থাকা একজন ম্যাজিস্ট্রেট। নির্দেশ ছিল আদিবাসীরা যাতে কোনভাবেই ভারতে প্রবেশ করতে না পারে। কী অদ্ভুত বিষয় দেশে আদিবাসীদের  নিরাপত্ত্বাও দিতে পারবে না সরকার আবার দেশ ত্যাগ করতে পারবে না।  এই ছিল আদিবাসীদের  জাতীয় জীবনে জলে কুমির ডাঙ্গায় বাঘ অবস্থা। চরম নিরাপত্তাহীনতার ভেতরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভারতের  অভিমুখে আগ্রসর হতে থাকে গারোরা।

অবধারিত পরিণতির কথা  ভেবে ফাদার জর্জ পোপ  কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে ছুটে গিয়ে অনুরোধ করলেন যেন দেশত্যাগীদের  উপর কোনরূপ হামলা করা না হয় এবং নির্বিঘ্নে যেন সীমা অতিক্রম করে যেতে পারে। ফাদার জর্জ পোপ সীমান্ত রক্ষীদের  মতিগতি ভাবভঙ্গি মেজাজ মর্জি দেখে অনুমান আশঙ্খা করেছিলেন যে সীমান্ত রক্ষীরা জেনে শুনেই হয়তো অঘটন ঘটাতে পারে। কর্তব্যরত ম্যাজিস্ট্রেট রাজি হলেন এক শর্তে।

শর্ত হলো দেশত্যাগীরা নিরস্ত্রভাবে সীমান্ত অতিক্রম করবে, কোন অস্ত্র নেয়া যাবে না। ফাদারের আহ্বানে গারোরা অস্ত্র ( অস্ত্র বলতে গারো তরবারি, মিল্লাম, লাঠি, পালা বর্ষা ) গুলো তাদের কাছে জমা দিলেন। শুরু হলো অনাকাঙ্খিত ঘটনা।

হিংস্র বাঘের মতই প্রথমে ঝাঁপিয়ে পড়েন ফাদার জর্জ পোপের উপর। সীমান্ত রক্ষীরা রাইফেলের বাট দিয়ে ফাদারের মাথায় আঘাতের পর আঘাত করে বেয়নেট দিয়ে অচিরে  ফাদার জর্জ পোপকে মাটিতে ফেলে দেয়। এর পর এলোপাথারি গুলি চালিয়ে কয়েকজনকে ঘটনাস্থলেই হত্যা করে। (সাপ্তাহিক প্রতিবেশী ২০০২

 

১৯৬৪ সালের রায়ত ।।  অমানবিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিবাদকারী   ঢাকার আর্চ বিশপ গ্রেইনার সি.এস.সি ।। সরোজ ম্রং

গারো ক্রেডিট নির্বাচন-২০২০।।  হ্যারিসন-সুশান্ত-জুয়েল-মানুয়েল-বাবলুম পরিষদের  ইশতেহার প্রকাশ

https://www.facebook.com/IndependentTVNews/videos/1211504035676807

আদিবাসী সাহিত্য নিয়ে বইমেলায় 'থকবিরিম'

একুশে বইমেলায় আদিবাসীদের সাহিত্য চর্চা নিয়ে হাজির হয়েছে #থকবিরিম প্রকাশনী। দেশসেরা প্রকাশনীগুলোর পাশাপাশি সমানতালে এগিয়ে এটি। এক নজরে দেখে নিন……….

Gepostet von independent24.tv am Freitag, 22. Februar 2019




সম্পাদক : মিঠুন রাকসাম

উপদেষ্টা : মতেন্দ্র মানখিন, থিওফিল নকরেক

যোগাযোগ:  ১৯ মণিপুরিপাড়া, সংসদ এভিনিউ ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫। 01787161281, 01575090829

thokbirim281@gmail.com

 

থকবিরিমে প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। Copyright 2020 © Thokbirim.com.

Design by Raytahost