Thokbirim | logo

১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

গারো জাতির সন্তান জন্ম ও নামকরণ, একটি সংস্কৃতির ধারা ।।  বেনেডিক্ট এম. সাংমা

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ১০, ২০২০, ১৩:৩৬

গারো জাতির সন্তান জন্ম ও নামকরণ, একটি সংস্কৃতির ধারা ।।  বেনেডিক্ট এম. সাংমা

পূর্ব প্রকাশের পর…

বলিকৃত সামগ্রীটি আঁতুর ঘরের অসুস্থ মহিলার সঙ্গে যুক্ত করে কামাল (পুরোহিত) মুখে জল নিয়ে মহিলাকে উদ্দেশ্য করে বলিকৃত পাঠাটি উপরের দিকে তুলে ধরবে।  শরীরে ছিটিয়ে দেবে এবং বলবে “ফুইস্রাং” অর্থাৎ রোগির মঙ্গল কামনা করে এই শব্দটি প্রয়োগ করবে।  যদি পাঠা বলি দিয়ে থাকে, বলি দেওয়া পাঠার লোম অল্প পরিমানে তুলে মহিলার সম্মুখে পোড়া দেবে, যাতে পোড়া নেওয়া লোমের গন্ধ মহিলার শ্বাস-নিশ্বাসের সঙ্গে যুক্ত হয়। অতঃপর যে অপদেবতা বা ডাইনি সন্তান প্রসব কালে কষ্ট দিচ্ছে, তাকে উদ্দেশ্য করে বলিকৃত পাঠাটি উপরের দিকে তুলে ধরবে।

সন্তান প্রসবের পর মহিলার পেটের ভিতর থেকে যে ফুলটি পড়ে যাবে, সেটি মাটিতে পুঁতে দেবে। অথবা কোন লাউ কদুফলের ভিতরে ঢুকিয়ে বা প্রবেশ করিয়ে গাছে দড়ি দিয়ে বেঁধে টাঙিয়ে রাখবে। শিশু সন্তানের নাড়ীর সঙ্গে যুক্ত, নাড়ী যখন আলাদা হয়ে পড়ে যাবে, তৎক্ষণাৎ মা ও শিশু সন্তানকে বাড়ির নিকটে যেকোন জলের স্রোতে স্নান করিয়ে শুদ্ধিকরণ করিয়ে নিতে হয়। স্নানের পূর্বে লম্বা বাঁশ কেটে ঘরের চালের উপরে, চালটি ছিদ্র করবে।

যাতে শোবার কুঠুরির বেড়া ঘেঁষে মাটি পর্যন্ত পড়ে। বঁশটিকে পুঁতে দিতে হবে। আর যে স্থানে বাঁশটি স্থিরভাবে পড়বে, সেই স্থানে প্রথমে ‘শামবাশিয়া ” করে দেখতে হবে কোন প্রকারের বাধা-বিঘ্ন আছে কিনা। আচিক (গারো) ভাষায় শামবাশিয়া এর অর্থ জায়গাটি পরীক্ষা করে দেখা। এটি নিজেদের আদি নিয়মেই করতে হবে।এই কাজ কামালের (পুরোহিত) মারফৎকরা হয়ে থাকে।

পরবর্তীতে ঐ স্থানে একটি অস্থায়ী বেদী তৈরি করে নিতে হবে। অতঃপর শিশুটির মাথার ঠিক মাঝখানের চুল অল্প পরিমাণে রেখে ক্ষুর জাতীয় কোন ধারালো অস্ত্র দিয়ে ছেটে দেবে। পরে কামাল (পুরোহিত) শিশুসন্তানের মঙ্গল কামনা করে দেবতার নিকট প্রার্থনা করবে এবং শিশুসন্তানের পিতা ঐ অস্থায়ী বেদী সমেত ঘরের চালের উপরে উঠে মোরগ বলি দিয়ে রক্তটি বাঁশের গায়ে ঢেলে দেবে যাতে নিচে বেদীর স্থান পর্যন্ত রক্ত পড়ে যায়। পরবর্তীতে কামাল(পুরোহিত) বাঁশটি টুকরো টুকরো করে কেটে ফেলবে।

চলবে….

নোট : গারো সম্প্রদায়ের কবি ও লেখক বেনেডিক্ট এম সাংমা ২৬শে মে ২০২০ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। তাঁর অসংখ্য লেখা উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ‘ গারো জাতির সন্তান জন্ম ও নামকরণ, একটি সংস্কৃতির ধারা’ লেখাটি থকবিরিমের বিশেষ প্রতিনিধি তরুণ লেখক জাডিল মৃ বেনেডিক্ট এম. সাংমার ছেলের মাধ্যমে সংগ্রহ করেছেন। থকবিরিম পাঠকদের জন্য লেখাটি প্রকাশ করা হলো -বি.স

গারো জাতির সন্তান জন্ম ও নামকরণ, একটি সংস্কৃতির ধারা ।।  বেনেডিক্ট এম. সাংমা

গারো জাতির আদিতত্ত্ব কথা ।। শেষ পর্ব।। বেনেডিক্ট এম. সাংমা

https://www.facebook.com/IndependentTVNews/videos/1211504035676807

 

আদিবাসী সাহিত্য নিয়ে বইমেলায় 'থকবিরিম'

একুশে বইমেলায় আদিবাসীদের সাহিত্য চর্চা নিয়ে হাজির হয়েছে #থকবিরিম প্রকাশনী। দেশসেরা প্রকাশনীগুলোর পাশাপাশি সমানতালে এগিয়ে এটি। এক নজরে দেখে নিন……….

Gepostet von independent24.tv am Freitag, 22. Februar 2019




সম্পাদক : মিঠুন রাকসাম

উপদেষ্টা : মতেন্দ্র মানখিন, থিওফিল নকরেক

যোগাযোগ:  ১৯ মণিপুরিপাড়া, সংসদ এভিনিউ ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫। 01787161281, 01575090829

thokbirim281@gmail.com

 

থকবিরিমে প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। Copyright 2020 © Thokbirim.com.

Design by Raytahost