Thokbirim | logo

৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কামারখালি গ্রামবাসীর দুঃখের কথা শুনলেন ধর্মগুরু বিশপ পনেন পল কুবি

প্রকাশিত : সেপ্টেম্বর ০২, ২০২০, ২২:০২

কামারখালি গ্রামবাসীর দুঃখের কথা শুনলেন ধর্মগুরু বিশপ পনেন পল কুবি

সোমেশ্বরী নদীর রাক্ষসী থাবায় বিলীন হতে চলেছে গারো অধ্যুষিত গ্রাম কামারখালি। ইতোমধ্যে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে শতবর্ষী বৃক্ষ। নদীর ভাঙন রোধে নেই কোনো পরিকল্পনা কিংবা ব্যবস্থা। ফলে গ্রামবাসীরা নদী ভাঙন রোধে কোনো উপায় না পেয়ে প্রতিরাতে মোম বাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনায় সৃষ্টি কর্তাকে ডাকছেন। গ্রামের যুবকরা টং বানিয়ে নদীর পাড়ে পাহারা দিচ্ছে। আর পাড়ে ধ্বস নামলে গ্রামবাসীদের সতর্ক করছে।

কামারখালি গ্রামবাসীর দুঃখের কথা শোনলেন ধর্মগুরু বিশপ পনেন পল কুবি

কামারখালি গ্রামবাসীর সাথে কথা বলছেন ধর্মগুরু বিশপ পনেন পল কুবি

আজ কামারখালি গ্রাম পরিদর্শনে আসেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ ধর্মপ্রদেশের প্রদেশপাল ধর্মগুরু বিশপ পনেন পল কুবি। গ্রামবাসীগণ বিশপকে তাদের দুঃখ কষ্টের কথা বলেন। তারা বিগত সময়গুলোতে বিশেষ করে  ২০ আগস্ট নেত্রকোণার ডিসি, দুর্গাপুরের ইউএনও,  পানিসম্পদ প্রকৌশলী ও অন্যান্য কর্মকর্তাগণের নদী ভাঙন পরিদর্শনের কথা বিশপকে অবহিত করেন। এবং দুদিন পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা  বালুর বস্তা এনে ভাঙন রোধ করার কাজ উদ্বোধনের কথা জানান। এমনি তারা বিশপকে এও জানান যে, এখন এ এলাকায় কাজ করার টাকা বরাদ্দ নেই। তারা নদীতে ড্রেজার দিয়ে নদীর বালু পাথর উত্তোলনেই এলাকায় নদী ভাঙনের অন্যতম কারণ বলে জানান।

বেশিরকম নদীর পাড় ভাঙছে বিল্লালের,  মার্থা রিছিল,  সেবিকা রুগা, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হক, শারথী রিছিলের বাড়ির পাশের পাড়গুলো। ভয়ানক হুমকির মুখে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হকের বাড়ি। উল্লেখ্য, আবদুল হক বেবি রুরাম ও পলাশ রুরামের পিতা।

জানা গেছে, আবদুল হক ঘরের যাবতীয় মালামাল অনত্র সরিয়ে নিয়েছে। তার ঘর যে কোনো সময়েই ধ্বসে পড়তে পারে। ভাঙনরোধের কোন কার্যক্রম না হওয়ায় অসহায় মুক্তিযোদ্ধা  আবদুল হক রাগে ও ক্ষোভে এলাকাবাসীর নিকট বলেছেন, তার দরকার নাই কোনো সাহায্য সহযোগিতার।

কামারখালির মিন্টু রিছিল বলেন, আমরা আতঙ্কে আছি। কখন কার ঘর ধ্বসে যায়!

নদীর ভাঙন প্রতিরাতেই অব্যাহত রয়েছে। ভাঙ্ন হচ্ছে ব্যাপকারে। বিগত কয়েক দশকে এমন ধরনের নদীরপাড়  ভাঙন দেখা যায়নি। এছাড়া, নদীর গতিপথও এ বছর বদলেছে। কামারখালিতে বালুর ডিবি  বন্যার পানিতে ধুযে গেছে। পানি কমে গেলেও এখনো নদীর ঘাট প্রায় দশ বার ফিট গভীর। চর জেগেছে নদীর মাঝখানে।

‘দাবি একটাই স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ’এ দাবি নিয়েই বিগত ২০ আগস্ট কামারখালি, বহেরাতুলি, বুলিপাড়া,  বড়ইকান্দি এলাকার গ্রামবাসীরা মানব বন্ধন করেছিল। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সুদৃষ্টি কামনা করেছিল।

বিশপের নদী ভাঙন পরিদর্শনের সময় ১নং কুল্লাগড়া  ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মি: শুভ্র সাংমা সারথী ও আব্দুল হকের বাড়ির পাশে  নদী পাড়ে বালুর বস্তা বসানোর কাজ উদ্বোধন  করেন।

চেয়ারম্যানও বিশপকে বর্তমান কাজের অগ্রগতি অবগত করান। এ সময় ময়মনসিংহ অঞ্চল কারিতাসের আঞ্চলিক পরিচালক মি. অপূর্ব ম্রং এবং গ্রামবাসী উপস্থিত ছিলেন।

।। জর্জ রুরাম

আরো লেখা..

করোনাকালে কেমন আছেন রেভা. ফাদার শিমন হাচ্চা

রংচুগালা।। আদি সাংসারেক গারো সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী অনুষ্ঠান




সম্পাদক : মিঠুন রাকসাম

উপদেষ্টা : মতেন্দ্র মানখিন, থিওফিল নকরেক

যোগাযোগ:  ১৯ মণিপুরিপাড়া, সংসদ এভিনিউ ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫। 01787161281, 01575090829

thokbirim281@gmail.com

 

থকবিরিমে প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। Copyright 2020 © Thokbirim.com.

Design by Raytahost