Thokbirim | logo

৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আমরা বাবা-মার ভিটায় বড় হতে চাই ।। জর্জ রুরাম

প্রকাশিত : আগস্ট ২১, ২০২০, ১৬:৩২

আমরা বাবা-মার ভিটায় বড় হতে চাই ।। জর্জ রুরাম

‘আমরা বাবা মার ভিটায় বড় হতে চাই।’ কিংবা “আমাদের কথা দিয়ে যান।” এমন ব্যানার বুকে ধরে দাঁড়িয়েছিলো ছোট্ট শিশুরা। সাথে নদী ভাঙনের শিকার গ্রামবাসী।

কেউ কি ভেবেছিল কামারখালি গ্রামবাসীরা মানববন্ধন করবে? কেন করবে, নানাবিধ প্রশ্ন। কিন্তু জনগণের যখন দেয়ালে পিঠ ঠেকে তখন তারা মরিয়া হয়। এ মৌসুমের বর্ষায় ব্যাপক নদী ভাঙন হয়েছে কামারখালি গ্রাম এলাকায়। মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হকের বাড়ি এখন যে কোনো সময় ধ্বসে পড়তে পারে এটা সময়ের ব্যপার। নদীর পাড় রাস্তা ধ্বসে গেছে। এলাকার জনগণ দারুণ আতংকে দিনাতিপাত করছে, যাতায়াতের অসুবিধে।

এদিকে গতকালের আগের কয়েকদিন এলাকার জনগণ শুনেছে নেত্রকোণার ডিসি আসছেন বিজয়পুরে। কামারখালি এলাকায় সাজ সাজ রব ডিসির সমীপে তাদের দুর্দশা জানাতে।

সকালের দিনটা ভালো। বিভিন্ন গ্রামের লোকেরা কামারখালিতে আসছে মানববন্ধনে সামিল হতে কামারখালি গ্রামবাসীদের সাথে। দিন যতই বাড়ছে আকাশে ক্রমাগত মেঘের আভাস। তবুও এলাকার জনগণ প্রতিক্ষায় ডিসির সুভাগমনে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে ঠাঁই জমায়েত হয়েছে বিভিন্ন ঘরে। এদিকে মুসলধারে বৃষ্টি নেমেছে। জনগণ তবুও অনড়। তারা তাদের নদীর পাড়ে মানববন্ধন করবেই, ব্যানার, ফেস্টুন হাতে হাতে।

হালকা বৃষ্টি হলে ডিসি আসার আগে সবাই নদীর পাড়ে ফাঁকে ফাঁকে দাঁড়াল মানববন্ধনের জন্য। শিশুদের বুকে ফেস্টুনের লেখা, “আমরা বাবা মার ভিটায় বড় হতে চাই।” ডিসির উদ্দেশ্যে “আমাদের কথা দিয়ে যান।”  যুবকেদের বুকে, ‘নদী শাসনের ব্যবস্থা হোক’, ‘উই ওয়ান্ট টু লিভ হিয়ার।’ আর বয়স্কা মহিলা ধরেছে, ‘জরুরি ভিত্তিতে নদী ভাঙন রোধে ব্যবস্থা করুন। গারো, বাঙালি সবাই এক কাতারে এ মানববন্ধনে। শিশু, যুবক, বয়স্ক সবাই সামিল তাদের দুর্দশা জানাতে।

মানববন্ধনের পরে মাননীয় ডিসি মহোদয় নদী এসেছেন। কিছুক্ষণ কামারখালি ঘাটে থেমে উপস্থিত জনগণের নিকট আশ্বাস দিয়েছেন সরকারিভাবে নদী ভাঙন রোধে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

জেলাপ্রশাসক মহোদয় নৌকাতে করে কামারখালি গ্রাম পরিদর্শনে আসেন।

জেলাপ্রশাসক মহোদয়ের নৌকাতে করে কামারখালি গ্রাম পরিদর্শন

 

 

গ্রামবাসী ও জনগণের দাবি ক্ষতিগ্রস্ত একাকাগুলো যাতে বালু ও ব্লক বিছিয়ে ভাঙন রোধ করে। মানববন্ধনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছে বিরিশিরি যুবকরা, বড়ইকান্দি, বহেরাতুলি, রাণীখং, বুলিপাড়া, বিজয়পুর, মাধবপুর, বামনপাড়া গ্রামবাসী এবং যুবক-যুবতী বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে অংশগ্রহণ করে এবং দুর্গাপুর থানা শাখার “বাগাছাস” সদস্যরা ব্যানার সহকারে মানববন্ধনে সক্রিয় অংশগ্রহণ করে সংহতি প্রকাশ করেছে।

জর্জ রুরাম : কবি ও গল্পকার। স্থায়ী নিবাস রানিখং মিশন, বিরিশিরি।




সম্পাদক : মিঠুন রাকসাম

উপদেষ্টা : মতেন্দ্র মানখিন, থিওফিল নকরেক

যোগাযোগ:  ১৯ মণিপুরিপাড়া, সংসদ এভিনিউ ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫। 01787161281, 01575090829

thokbirim281@gmail.com

 

থকবিরিমে প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। Copyright 2020 © Thokbirim.com.

Design by Raytahost