বর্তমান ডিজিটাল যুগে বসবাস করছি আমরা । তাই আমাদের যুগের ছেলে মেয়েদের চিন্তা চেতনা সবসময় আপডেট । আমরা যারা গ্রামে লেখাপড়া করি আমাদের বেশিরভাগ বাবা -মা দরিদ্র আর পড়ালেখা না জানা। আবার অনেকেই একেবারে অসচেতন। তবুও তারা স্বপ্ন দেখে ছেলেমেয়ে মানুষ হবে! কিন্তু তাদের ছেলেমেয়ে কি স্কুল কলেজ যাচ্ছে? ঠিক মত পড়ালেখা করছে?
অনেক অভিভাবক তদারকি করতে পারেন না। কারণ সারাদিন কাজ করে ক্লান্ত থাকে শরীর এবং মন। এদিকে পিতা মাতার ভালবাসা আর ভরসাকে মাটিচাপা দিয়ে সারাদিন মোবাইল নিয়ে পড়ে থাকে! ফাঁকি দেয়। পড়ালেখার নাম করে সারাদিন সারারাত গেম খেলায় ব্যস্ত থাকে। আবার গেম খেলতে এমবি বা ডাটা কিনতে মা বাবার কাছে হাত পেতে না পেলে অভিমান করে। আবার অনেকেই বাড়িতে ভাংচুর করে। ঝগড়া করে।
এই রকম আচরণ করার কারণ কী? গেম খেলার নেশা হচ্ছে অত্যন্ত ভয়াবহ। অনেক অভিভাবই স্মার্ট ফোন কিনে দিতে পারেন না টাকার অভাবে আবার অনেকেই আছেন যাদের টাকা না থাকলেও ঋন করে স্মার্ট ফোন কিনে দেন। কিন্তু দেখা গেছে অনেকে শুধু স্মার্টফোন কিনতে পড়ালেখা ছেড়ে শহরে পাড়ি দিয়েছে কাজ করতে । এভাবে পড়ালেখা থেকে অনেকেই ঝরে পরছে শুধু ফোন কেনাকে কেন্দ্র করে। শুধু একটি স্মার্টফোনের জন্য পড়াশোনা ছেড়ে দিচ্ছে! ভবিষ্যত নষ্ট করে ফেলছে। এজন্য দায়ী কারা? মোবাইল কিংবা গেমের প্রতি আমরা এতটাই আসক্ত যে পড়ালেখা ছেড়ে দিতে হচ্ছে?
আমাদের আদিবাসী যুবশক্তিকে বাঁচিয়ে রাখতে এখনি এ ব্যপারে জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন। এজন্য সমাজ সচেতন ব্যক্তি, বিভিন্ন সরকার-বেসরকরি প্রতিষ্ঠান, অভিভাবকগণ সকলের সন্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা আমাদের ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদেরকে ফিরিয়ে আনতে পারি।
আর শিক্ষিত যুবকদের কাছে আবেদন, আমরা নিজেরাই গেম আবিস্কার করি। আদিবাসীদের চরিত্র দিয়ে, ভাষা দিয়ে তাদের নানাধরনের খেলাকে গেমে রূপান্তরিত করি। এতে আদিবাসী সমাজের যেমন সুনাম হবে তেমনি সমৃদ্ধ হবে সংস্কৃতি। আমাদের যুবকদের তৈরি গেম যদি সারা পৃথিবীর মানুষ খেলে তাহলে নিশ্চয়ই জাতির জন্য সুনাম বয়ে আনবে!
বর্তমান সময় প্রতিযোগিতার সময় । এমনিতেই আমরা অর্থনৈতিক সমস্যার কারণে পড়ালেখা থেকে ঝরে পরি । তাহলে কেন শুধু গেম খেলার জন্য পড়াশুনা করব না? কিংবা তথ্য প্রযুক্তিতে ব্যবহার করে কেন আদিবাসীদের থিম নিয়ে নতুন নতুন গেম তৈরি করবো না?
ছবি সংগৃহীত
।।অন্তর হাজং, দুর্গাপুর
আরো লেখা
আদিবাসী বেকার যুবকদের ব্যবসায়ী মনোভাব জাগ্রত করা উচিত ।। অন্তর হাজং
দুর্গাপুরে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালিত
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত
-
রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর উৎসব ওয়ানগালা
: রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর সামাজিক সাংস্কৃতিক ও...
-
আজ লেখক ও চিন্তক আলবার্ট মানকিন-এর স্মরণসভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান
: মধুপুর গড়াঞ্চলের আদিবাসী নেতা, চিন্তাবিদ, লেখক, সমাজকর্মী, এনজিও কর্মী আলবাট...
-
গুলশান বনানী ওয়ানগালা ২১ অক্টোবর শনিবার
: গুলশান বনানী ওয়ানগালা ২১ অক্টোবর শনিবার আদি সাংসারেক গারো জাতিগোষ্ঠীর...
-
১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ...
-
রে রে : হায়রে আমার কাঞ্জিয়া ।। নীলু রুরাম
: সমর সাংমার রেরে নিয়েই শুরু করি তবে একটু আলাদা। আমাদের...
-
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার ।। জাডিল মৃ
: এক. সময় স্রোতের সাথে আবাহমান ছুটে চলা প্রযুক্তির উন্নতি, মানব...
‘রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর উৎসব ওয়ানগালা’
: রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর সামাজিক সাংস্কৃতিক ও......বিস্তারিত
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত