ফাদার ইউজিন ই. হোমরিক সিএসসি (১৯২৮-২০২০) ২৫ জুলাই আমেরিকাতে মৃত্যুবরণ করেন। ফাদার হোমরিক মধুপুর গড়অঞ্চলে মান্দি সম্প্রদায়ের মাঝে দীর্ঘদিন থেকে তাদের সামাজিক-সাংস্কৃতি-অর্থনৈতিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে গেছেন। এক সময় তিনি মান্দি ভাষা রপ্ত করে হয়ে গেছেন মান্দি জনগোষ্ঠীরই একজন সদস্য। পরম বন্ধু। ফাদারের যাজকীয় জীবনের ৬০ বছর জুবিলি উৎসব পালন করা হয়েছিলো পীরগাছা মিশনে। সেই সময় ফাদার হোমরিক সিএসসি-র একটি গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন কবি ফিডেল ডি. সাংমা। সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধসহ তৎকালিন মান্দি সম্প্রদায়কে নিয়ে উনার চিন্তা-কাজ, মান্দিদের শিক্ষা-সংস্কৃতি নানা বিষয় উঠে এসেছে। ফাদারের সেই সাক্ষাৎকারের বিশেষ অংশ কবির অনুমতিক্রমে থকবিরিম পাঠকদের জন্য প্রকাশ করা হলো- সম্পাদক।
ফিডেল : আমরা জানি, আপনি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সহযোগী। সেসময় আদিবাসী এবং বাঙালি সবার জন্য অনেক উপকার করেছেন। সে সময়কার একটি স্মরণীয় ঘটনা বলুন।
ফাদার : মৃত্যুকূপ থেকে ফিরে আসার এ ঘটনা মনে হলে আমি এখনোও শিওরে উঠি, হয়তো আমি বেঁচে থাকতে সে ঘটনার কথা কোনদিনও ভুলব না। ১৯৭১-এর স্বাধীনতার সময় পাক বাহিনীর সাথে মুক্তিসেনাদের তুমুল যুদ্ধ চলছে। খবর পেলাম, পাক বাহিনী পাউইজাম গ্রামে তিনজন মান্দাইকে গুলি করে হত্যা করেছে। মধুপুর থেকেও ১৫ জন হিন্দুকে ধরে নিয়ে গেছে এবং পরে তাদের মধ্য থেকে ১১ জনের লাশ নদীর বুক থেকে পাওয়া গেছে। তখন ভয়ে আতঙ্কে হিন্দু, মুসলিম সকলেই জলছত্র মিশনে আশ্রয় নেওয়ার জন্য ছুটে আসছে। আমরা বাধ্য হয়ে কিছু লোকদের মিশনে এবং বাইরে খ্রিষ্টানদের বাড়িতে আশ্রয় দিয়েছি। তখন মান্দিরাও অনেকে জঙ্গলে আশ্রয় নিয়ে অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটিয়েছে। আবার কেউ কেউ মরিয়মনগর আর বারমারিতে নিজেদের চেনা-জানা আত্মীয়দের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছে।
এপ্রিলের ১৪ তারিখে ক্যাপ্টেইন বালজিৎ সিং এবং ক্যাপ্টেইন ন্যাগি একজন রেডিও অপারেটরসহ আমাদের মিশনে আশ্রয় নিলেন। তাঁরা বিভিন্নভাবে সাহায্য এবং পরামর্শও দিয়েছেন। ইতিমধ্যে মেজর জেনারেল সহিদুল্লাহও জয়পুরে পাক আর্মিদেরকে হত্যা করে জলছত্র মিশনে আশ্রয় নিয়েছেন। এর মধ্যেই হয়ে গেলো বিপত্তি। জুলাই মাসের ২৪ তারিখে পাক আর্মি ব্রিগেডিয়ার আসাদুল্লাহ খান মধুপুরে এসে ডিসি এবং এসপিসহ আমার কাছে এলেন এবং মিটিং–এর নাম করে আমাকে রসুলপুর ফরেস্ট অফিসে নিয়ে গেলেন। গিয়ে দেখলাম ৪৫ জন আদিবাসী পুরুষদেরকে গুলি করার জন্য সারিবদ্ধভাবে দাঁড় করে রাখা হয়েছে। আমাকেও তাদের মধ্যে দাঁড় করালেন। আমিও কিংকর্তব্যবিমূঢ়। কিন্তু কী মনে করে আমি জিজ্ঞেস করলাম, স্যার যদি কিছু মনে না করেন আমি আপনাকে একটি প্রশ্ন করি। আপনি বাইরে কোথায় প্রশিক্ষণ পেয়েছেন? উনি বললেন, আমেরিকা নিউ জার্সির CAMDIN থেকে। আমি বললাম, ঠিক আছে আগামী কালই সারা আমেরিকাবাসী জেনে যাবে তাদেরই হাতে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত একজন পাক ব্রিগেডিয়ার তাদেরই লোককে হত্যা করেছে। এ কথার পর তিনি কী মনে করে আমাকে এবং আমাদের সবাইকে ছেড়ে দিলেন। কিন্তু তিনজন হিন্দু যুবতীকে গুলি করেছিলো।
ফিডেল : বাংলাদেশ সরকার আদিবাসীদের স্বীকৃতি দেয়নি। স্বীকৃতি দিলে মান্দি সমাজের জন্য কী উপকার হতো বলে আপনি মনে করেন?
ফাদার : সরকার বলে বাংলাদেশে আদিবাসী নাই। আমার মনে হয়, আদিবাসী স্বীকৃতি দিলে আদিবাসীদের শিক্ষা, চিকিৎসা, বাসস্থান (জমি), অর্থনীতি উন্নয়নের দায়িত্ব সরকারকে নিতে হবে, এজন্যে স্বীকার করে না। এখান থেকে ২৭টা মান্দি গ্রাম নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। এখনও মান্দিদের ঘরবাড়ি বসতভিটা কেড়ে নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটছে; তাদের কোন নিরাপত্তা নাই। তাই মান্দিদের চিন্তা মান্দিদেরকেই করতে হবে; সরকার করবে না। জাতি ও সমাজকে টিকিয়ে রাখতে হলে, সমন্বিত সমাজ উন্নয়ন ছাড়া উন্নতি করা একেবারেই অসম্ভব। নিজেদের উন্নয়ন নিজেরা করতে চাইলে ভালো নেতা তৈরী করতে হবে। আত্মিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি উন্নয়নের কাজ সুন্দরভাবে করতে হলে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নেতাদের কাজ করতে হবে।
ফিডেল : সামাজিক অবস্থার প্রেক্ষাপটে আমাদের অতীত এবং বর্তমান অবস্থার কথা কিছু বলুন।
ফাদার : আমি যখন এই এলাকায় প্রথম আসলাম, এখানে মাত্র ১৫০০ খ্রিষ্টান পেয়েছি। আর বাকী সব মান্দি সাংসারেক ছিলো। তারা দালগুবা মিদ্দি, সালজং মিদ্দিকে আমুয়া করতো, কবিরাজের চিকিৎসার উপরে তাঁদের জীবন নির্ভর করতো। লেখাপড়া কি জিনিষ বুঝতো না, বুঝতেও চাইতো না। অনেক চেষ্টা করেও অক্সফোর্ড এবং ব্যাপটিস্ট মিশনারিরা এলাকায় বিদ্যালয় চালাতে পারে নায়। এখন জলছত্র, এবং পীরগাছায় মান্দিদের জন্য ভালো ২টি উচ্চবিদ্যালয়, ২টি ছেলে হোস্টেল, ২টি মেয়ে হোস্টেল এবং ৩৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয় চলছে। আগে দরগাচালা উপধর্মপল্লিও আমাদের আন্ডরে ছিলো, এখন সেটিও আলাদা ধর্মপল্লি হয়ে সেখানেও একটি জুনিয়র স্কুল, ২টি প্রাইমারি স্কুল চলছে। তাতে ঈশ্বরের বিশেষ কৃপায় এলাকার মানুষ শিক্ষার সুফল লাভ করছে। এখন আবিমায় প্রায় ১৭৫০০জন ক্যাথলিক রয়েছে। মান্দিদের মধ্যে প্রটেস্টান্ট রয়েছে প্রায় ৩০০০জন।
ফিডেল : মান্দিদের কোন দিকটি আপনাকে বেশি আকর্ষণ করেছে?
ফাদার : ঈশ্বর তো একটাই। মান্দি সাংসারেকদের নকগুবা (সৃষ্টিকর্তা) এবং খ্রিষ্টানদের ঈশ্বরের তফাৎ আমি করি না। আমি পাস্টর; আমি মনে করি, মান্দিরা যিশুর আদর্শকে ভালোবাসতে পেরেছে এবং আমি যিশুর আদর্শ প্রচার করি বলে; প্রচারক হিসাবে আমাকে তারা ভালোবাসে, সম্মান করে। আমি মান্দিদের সমাজকে, সংস্কৃতিকে, তাদের ইচ্ছা-আগ্রহকে খুব কাছথেকে দেখেছি, অনুভব করেছি এবং গভীরভাবে উপলব্ধি করেছি। তাই মান্দিদের চাহিদা, উপযোগী করে খ্রিষ্টকে প্রচার করি। একারণে মান্দিরা খুবই দ্রুত খ্রিষ্টকে গ্রহণ করেছে। মান্দি জাতির বৈশিষ্ট্য, তাঁদের মূল্যবোধ আমাকে বরাবরই মুগ্ধ করে। মান্দিরা মিথ্যা কথা বলে না, চুরি করে না, ব্যভিচার করে না। যদিও বাঙালিদের কাছ থেকে এখন কিছু কিছু শিখছে- এটা উচিৎ না। আমরা মান্দি এবং খ্রিষ্টান- এটা আমাদের মনে রাখতে হবে।
ফিডেল :মান্দি জাতি বা সমাজকে টিকিয়ে রাখতে সামাজিক কোন বিষয় (আইনও হতে পারে)-টিকে গুরুত্ব দিবেন? অথবা কী করা উচিত?
ফাদার : শিক্ষা, চাকরি এবং সঞ্চয় এবং ভবিষ্যতের জন্য সুস্থ্য সুন্দর পরিকল্পনা। সমাজকে উন্নয়ন করতে হলে, সমাজের জন্য কাজ করতে হলে প্রচুর জ্ঞান থাকতে হয়। আমি জেনেছি এ ছাড়া আমাদের উন্নয়ন সম্ভব হবে না। আমি যখন ছুটিতে দেশে যেতাম তখন কোন না কোন বিষয়ে পড়াশুনা করেছি, প্রশিক্ষণ নিয়েছি। আমেরিকার ফ্লোরিডায় CUNA University এবং বলডুইন কলেজ ‘Integral Human Development’ অর্থাৎ সমন্বিত মানব উন্নয়ন বিষয়ে পড়াশুনা করেছি। আমার এই জ্ঞান এবং বাস্তব অভিজ্ঞতাগুলো প্রয়োগ করতে চেষ্টা করেছি। তাতে আমার বিশ্বাস, মান্দিদের অতীতের জীবনাচরণ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা এবং আধ্যাত্মিকতার ধ্যান ধারণার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। এভাবে সামনে এগোতে পারলে আমার বিশ্বাস মান্দি নেতারা জাতিকে উন্নত জীবনে আনতে সহায়তা করতে পারে।
ফিডেল : আধুনিক যুগে গারো আইনকে কীভাবে মূল্যায়ন করেন? আমরা মাঝে মাঝে শুনি, আজকালকার যুবকেরা গারো আইনকে সংশোধন বা পরিবর্তন করার প্রয়োজন মনে করছেন, আপনার অভিমত কী?
ফাদার : মান্দিদের মাতৃতান্ত্রিক আইনের কারণে একটি আদর্শ জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠা পেতে পারে। কারণ এ আইনে মান্দিরা নারী পুরুষ সকলেই পরস্পরকে সম্মান করে, ভালোবাসে। মান্দি সমাজের মেয়েরা পুরুষতান্ত্রিক সমাজের মতো অত্যাচারিত হয় না, শোষিত হয় না- যেটা পৃথিবীর মাঝে খুবই বিরল। এছাড়াও মান্দিদের আইনগুলো খুবই চমৎকার এবং খুবই কড়া। মান্দিদের আইন দিয়ে শাসন হয় কিন্তু শোষণ হতে দেখি না। তাই, এটাকে সবাই শ্রদ্ধাভরে মেনে চলে। আমি অতীতে দেখেছি, মান্দিরা কেউ এই আইন অমান্য করলে তাঁরা নিজেরাই অপরাধবোধে ভোগে এবং খুবই কষ্ট পায়, শেষে অনুশোচনা করে। সুতরাং মান্দিদের এই আইনকে কোন প্রকার পরিবর্তন করার প্রয়োজন রয়েছে বলে আমি মনে করি না। তবে, মনে রাখতে হবে- মান্দিরা এখন সবাই খ্রিষ্টান; তাই সবসময় যীশুর আদর্শকে ও আইনকে মেনে চলতে হবে এবং মান্দি আইনকেও মেনে চলতে হবে।
ফিডেল : বর্তমানে মান্দিদের মধ্যে যে সংস্কৃতির চর্চা হচ্ছে, আপনি তা যথেষ্ট মনে করেন? এ ব্যাপারে ধর্মপ্রদেশগুলো কী কী ভূমিকা রাখছে বা রাখতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
ফাদার : হ্যাঁ, যেকোন জাতির পরিচয়ের বহিঃপ্রকাশ তার ভাষা ও সংস্কৃতি; যার সর্বক্ষেত্রে এর গুরুত্ব অপরিসীম। মান্দিদের মধ্যে খ্রিষ্টান হওয়ার পর ওয়ানগালা পালন করতো না, বলা হতো এটা সাংসারেকদের কাজ। কারণ ওয়ানগালায় মিদ্দি সালজংকে পূজা করে। এখন মান্দিরা ওয়ানগালা পালন করে এবং ওয়ানগালায় মিদ্দি সালজংএর জায়গায় সরাসরি ঈশ্বরকে আমুয়া করে। ওয়ানগালায় সবাই মিলে সুন্দর সুন্দর মান্দি নাচ, গান, সেরেনজিং, আজিয়া, রেরে, গ্রিকা, গোরিরোওয়া পরিবেশন করে, মান্দি ভাষায় গল্প বলে। এটাইতো মান্দিদের সংস্কৃতি, এটাকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে। এছাড়াও মাণ্ডলিকভাবে আমাদের স্কুলগুলোতে প্রাইমারিতে আচিক ভাষা শেখানো হচ্ছে। আমাদের মিশনে প্রতি শুক্রবার আচিক ভাষায় গির্জা হয়।
‘মান্দিভাষা’ খুবই চমৎকার, এটা মান্দিদের সম্পদ। বাংলাদেশে মান্দিদের ১০ প্রকার ভাষা আছে, যদিও আবিমার মান্দিরা প্রায় সবাই আবেং এবং তাদের ভাষাও আবেং। ভাষা একটা জাতিকে পরিচয় দিতে সাহায্য করে, তাই ভাষাকে কোনভাবেই হারাতে দেওয়া যাবে না। আমাদের স্কুলগুলোতে লেখাপড়ার সাথে মান্দি ভাষা, নাচ, গান, মান্দি বাদ্যযন্ত্র বাজানো ইত্যাদি আরোও বেশি করে শেখাতে হবে। আচিক মে.চিক, কারিতাস, ওয়ার্ল্ডভিশন এরাও মান্দি সংস্কৃতির লালন-পালনের জন্য সাহায্য করলে খুবই ভালো হয়।
ফিডেল : আমি অনেকবার আপনার মুখে মান্দিদের প্রশংসা, তাদের মূল্যবোধের কথা বলতে শুনেছি। পালক হিসাবে এটাকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?
ফাদার : মান্দি জাতির মুল্যবোধ খুবই পবিত্র জিনিস। আমি আগেই বলেছি, মান্দিরা মিথ্যা কথা বলে না, হিংসা করে না, চুরি করে না, ব্যভিচার করে না। যারা মান্দি জাতির সংস্পর্শে আসে নায়, তারা মান্দিদের মূল্যবোধ কতখানি গভীর ও সমৃদ্ধ। তারা কোনদিনও অনুমান ও অনুভব করতে পারবে না- মান্দিদের সততা, সরলতা, সহানুভূতিশীলতা, সহযোগীতা, আতিথ্যেয়তা, আনন্দ-বিনোদন কত মর্মস্পর্শী, হৃদয়গ্রাহী। বাইরের লোক অনেকেই তাচ্ছিল্য করে বলে- মান্দিরা কত বোকা, সহজ-সরল এবং অলস, ভবিষ্যতের চিন্তাহীন। আমি বলবো মান্দিরা কত ভাগ্যবান! ঈশ্বরের আশীর্বাদ তাদের মাঝে আছে।
ফিডেল : আপনাকে অনেক রোগী চিকিৎসা সেবা দিতে দেখি। এগুলো আপনি কীভাবে করেন? চিকিৎসা-সেবার কাজটি কোথায় কীভাবে শিখেছেন?
ফাদার : আমি পালক; ডাক্তার নই। তবে পালক এবং সমাজ সেবকদের প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে কিছুটা ধারণা বা অভিজ্ঞতা থাকা ভালো। আমার দুই বোন নামকরা মিডওয়াইফ নার্স। আমাদের পরিবারে ডাক্তার, নার্স রয়েছে বলে ছোটবেলাথেকেই আমি শুধু অষুধের বিষয়ে আলাপ শুনে এসেছি এবং আমার প্রাথমিক চিকিৎসা সম্পর্কে পড়াশুনা রয়েছে বলে আমি অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়ে এসব কাজ করতে পারি। আমি এখানে এসে অনেক মানুষকে আরোগ্যযোগ্য যেমন- পেট ব্যথা, মাথা ব্যথা, ডাইরিয়া, কলেরা, আমাশয়, ম্যালারিয়া ইত্যাদি রোগে কষ্ট পেতে এবং মরতে দেখেছি। তাই আমি সবসময় হাতের কাছে কিছু ঔষধপত্র রাখতাম, এখন আমাদের মিশনে রোগীদের জন্য আশ্রম এবং সার্বক্ষনিক সেবিকা রয়েছে।
ফিডেল : আমাকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আপনি দীর্ঘজীবি হোন, ভালো থাকবেন।
ফাদার : আমার ৬০ বছর জুবিলি উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা। তোমাকেও ধন্যবাদ। যিশুনা রাসং।
ফাদার হোমরিক সম্পর্কিত অন্যান্য খবর
আম্বি, ফাদার হোমরিকনা গ্রাবাদ্দা ।। তাপস্রাং সরোজ ম্রং
জলছত্র ধর্মপল্লিতে ফাদার হোমরিকের স্মরণ সভা
ফাদার ইউজিন হোমরিক সি.এস.সি’র অন্তেষ্ট্যিক্রিয়া সম্পন্ন
ফাদার হোমরিকের স্মরণে ‘ মিমাংগাম’ করলেন চিজং নকমা
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত
-
১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ...
-
রে রে : হায়রে আমার কাঞ্জিয়া ।। নীলু রুরাম
: সমর সাংমার রেরে নিয়েই শুরু করি তবে একটু আলাদা। আমাদের...
-
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার ।। জাডিল মৃ
: এক. সময় স্রোতের সাথে আবাহমান ছুটে চলা প্রযুক্তির উন্নতি, মানব...
-
বর্তমান সময়ের তুমুল জনপ্রিয় শিল্পী দিশন অন্তু রিছিলের জন্মদিন আজ
: বর্তমান সময়ের তুমুল জনপ্রিয় শিল্পী দিশন অন্তু রিছিলের জন্মদিন আজ।...
-
বীর মুক্তিযোদ্ধা দেবতোষ যেত্রা আর নেই
: হালুয়াঘাট উপজেলার ৪নং সদর ইউনিয়নের কালিয়ানীকান্দা গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা পাস্টার...
-
কেনিয়ার কৃষকরা হাতি তাড়াচ্ছে মৌমাছি দিয়ে
: কেনিয়ায় হাতির তাণ্ডব থেকে ফসল রক্ষায় ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়েছে কৃষকরা।...
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত