ফাদার হোমরিককে মূল্যায়ন করতে হলে বিভিন্ন দিক থেকে করতে হবে। তার আধ্যাত্মিকতা-সামাজিকতা তার আদিবাসী মূল্যবোধের উপর যে শ্রদ্ধা এবং গভীর অনুসন্ধিৎসা, আদিবাসীদের প্রতি তার যে মমত্ববোধ এইসবের কোনো তুলনা হয় না। একজন বিদেশি মিশনারি বিশেষ করে আমেরিকান মিশনারি দীর্ঘদিন যাবত এখানে ছিলেন তাকে একবাক্যে বলা যায় তিনি আমাদেরই একজন হয়ে গেছেন। আদিবাসীদেরই একজন হয়ে গেছেন। এবং সেইভাবেই উনি চিন্তা ভাবনা করতেন। সেইভাবেই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। তাদের উন্নোয়ন নিয়ে তিনি সব সময় চিহিৃত ছিলেন। বিশেষ করে মধুপুর এলাকার বঞ্চিত আদিবাসী জনগনের জন্য তার যে অবদান তা ইতিহাসে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। হয়তো আগামী দিনের ছেলে-মেয়েরা তাকে চিনবে না কিন্তু তার যে কীর্তি তার যে কর্মতৎপরতা আদিবাসীদের জন্য যে অবদান এটা বহুদিন স্মরণে রাখার মতো। তিনি থাকবেন না কিন্তু তার যে কার্যকলাপ তিনি যা করেছেন জলছত্র মিশনের জন্য, পীরগাছা থাকাকালে যে কাজগুলো করেছেন বিশেষ করে মানবাধিকার রক্ষার্থে যা করেছেন একজন মিশনারির পক্ষে যা অসম্ভব ছিল বিশেষ করে বিদেশি মিশনারি হিসেবে প্রত্যক্ষ পরোক্ষ সংগ্রামের মাধ্যমে আদিবাসীদের অধিকার সংরক্ষণে যা করেছেন তা কোনো দিন ভুলবার নয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে তার একান্ত সানিধ্যে ছিলাম তাকে চিনতাম বহুবছর আগে থেকেই বলা যায় সেই ষাটের দশক থেকেই এযাবৎকাল আমি যা দেখেছি মধুপুরের আদিবাসীদের জন্য বিশেষ করে ৭১সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় উনি যে অবদান রেখেছেন বা করেছেন তা কোনো দিন ভুলবার নয়।
তার যে কার্য পদ্ধতি তার যে চিন্তা আবিমাবাসীদেরকে উপরে উঠানোর জন্য তার চেষ্টা এটা একটা ব্যতিক্রমধর্মী। উনি শিক্ষার দিকে স্বাস্থ্যের দিকে প্রথম নজর দিয়েছেন। জলছত্রে থাকাকালে তার প্রথম কাজ ছিল সেনিটেশন প্রোগ্রাম প্রতি পরিবারেই যেন সেনিটারি পায় সুযোগ পায়। তারপর শিক্ষা বিভিন্ন দুর্গম গ্রামে তিনি প্রাইমারি স্কুল করেছেন। সেই দর্গাচালা থেকে শুরু করে নালিখালি হোক মলাজানি হোক বিন্যাকুড়ি হোক যেখানেই হোক তিনি প্রাইমারি স্কুল স্থাপন করেছেন। তারপরে তার কাজ হলো আদিবাসী সংস্কৃতি সংরক্ষণ। উনিই প্রথম মিশনারি যে কিনা আদিবাসীদের সংস্কৃতিকে উপরে তোলার জন্য সর্বান্তকরণে চেষ্টা করেছেন। আগের দিনের মিশনারিরা আদিবাসীদের সংস্কৃতিকে অবহেলা করতো অবজ্ঞা করেছে হয়তো চিন্তা করেছে হয়তো ধর্মান্ত করণের ফলে এগুলো আর প্রয়োজন নাই, চিন্তা করতো অনেক মিশনারি প্রথম দিকে। কিন্তু উনি প্রথম মিশনারি যিনি আদিবাসীদের সংস্কৃতিকে, চিন্তা-চেতনাকে উর্ধ্বে রাখার জন্য সর্বান্তকরণে চেষ্টা করেছেন। তিনি সব সময় বলতেন আদিবাসীদের মূলবোধ, তাদের চিন্তা চেতনা অনেক মূল্যবান। অনেক সভ্যসমাজে যেটা পাওয়া যায় না। তাদের যে সহমর্মিতা একাগ্রতা এবং পরস্পর পরস্পরের প্রতি যে সহসশীলতা এই যে সামাজিক মূল্যবোধগুলো অন্য সভ্যসমাজে পাওয়া যায় না। আদিবাসীদের স্বার্থসংরক্ষণের জন্য যদি কেউ করে থাকেন বিশেষ করে মধুপুর অঞ্চলে তাহলে ফাদার হোমরিকের কথা আগে বলতে হবে।
গারোদের নিজস্ব পোশাক দকমান্দা দকশাড়ি তৈরির যে তাঁতশিল্প সেটার সংরক্ষণে বা বাঁচিয়ে রাখায় তাঁর অবদান যথেষ্ট। পীরগাছা যাবার পরে তিনি শোরুম করেছেন, তার আলাদা প্রজেক্ট ছিল। আলাদা ট্রেনিং প্রোগ্রাম ছিল তাঁতশিল্প রক্ষার জন্য। এবং এটা এখনও ভাল অবস্থায় আছে। আমরা যখন যাই তখন দেখি এবং সুযোগ পেলে কিছু কেনাকাটাও করি কম দামে। ঠিক ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতেন ।
সুভাষ জেংচাম লেখক ও গারো সমাজের চিন্তক। বাংলাদেশের গারো সম্প্রদায়’ গবেষণামূলক বইটি প্রথম প্রকাশিত হয় বাংলা একাডেমি থেকে। এরপর গারোদের সমাজ ও সংস্কৃতি, গারো আ্ইন ইত্যাদি গ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। সুভাষ জেংচামের লেখা বিভিন্ন পত্রপত্রিকায়-জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এবং এখনও তিনি লিখে যাচ্ছেন। কর্র্মজীবনে সরকারি কর্মকতা ছিলেন। বর্তমানে অবসরে আছেন। গারো সমাজের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে লেখকের সাথে তাঁর নিজস্ববাড়ি ময়মনসিংহে কথা বলেন সম্পাদক মিঠুন রাকসাম। সেই আলাপে ফাদার হোমরিক সম্পর্কে তিনি বিশেষ মূল্যায়ন করেন। তাঁর সেই বিশেষ মূল্যায়ন ফাদারের প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ থকবিরিম পাঠকদের জন্য প্রকাশ করা হলো-সম্পাদক।
ফাদারের ছবি থকবিরিম অ্যালবাম থেকে সংগৃহীত।
কেগিজা (অসবর্ণ) বিয়ে রীতির কারণেই কি সামাজিক অবক্ষয় বাড়ছে?।। জাজ্রিং মারাক
সুখ ও আনন্দ প্রয়োজন ।। ফাদার বাইওলেন চাম্বুগং
https://www.facebook.com/IndependentTVNews/videos/1211504035676807
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত
-
রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর উৎসব ওয়ানগালা
: রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর সামাজিক সাংস্কৃতিক ও...
-
আজ লেখক ও চিন্তক আলবার্ট মানকিন-এর স্মরণসভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান
: মধুপুর গড়াঞ্চলের আদিবাসী নেতা, চিন্তাবিদ, লেখক, সমাজকর্মী, এনজিও কর্মী আলবাট...
-
গুলশান বনানী ওয়ানগালা ২১ অক্টোবর শনিবার
: গুলশান বনানী ওয়ানগালা ২১ অক্টোবর শনিবার আদি সাংসারেক গারো জাতিগোষ্ঠীর...
-
১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ...
-
রে রে : হায়রে আমার কাঞ্জিয়া ।। নীলু রুরাম
: সমর সাংমার রেরে নিয়েই শুরু করি তবে একটু আলাদা। আমাদের...
-
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার ।। জাডিল মৃ
: এক. সময় স্রোতের সাথে আবাহমান ছুটে চলা প্রযুক্তির উন্নতি, মানব...
‘রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর উৎসব ওয়ানগালা’
: রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর সামাজিক সাংস্কৃতিক ও......বিস্তারিত
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত