Thokbirim | logo

৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

আদিবাসী বিষয়ক বিবিধ তথ্যের প্রমাণ্য দলিল “আদিবাসীদের অধিকার ও আত্মপরিচয় গ্রন্থ” ।।  মিঠুন কুমার কোচ

প্রকাশিত : জুলাই ১৭, ২০২০, ২০:৫৭

আদিবাসী বিষয়ক বিবিধ তথ্যের প্রমাণ্য দলিল “আদিবাসীদের অধিকার ও আত্মপরিচয় গ্রন্থ” ।।  মিঠুন কুমার কোচ

২০২০ সালের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় তরুণ আদিবাসী নেতা, মানবাধিকারকর্মী ও লেখক সোহেল চন্দ্র হাজং এর ”আদিবাসীদের অধিকার ও আত্মপরিচয়“শিরোনামে থকবিরিম প্রকাশনী থেকে সিথি সিনহার প্রচ্ছদে নতুন একটি বই প্রকাশিত হয়েছে।

গ্রন্থকার বইটি উৎসর্গ করেছেন মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা, অনিল মারান্ডী ও খগেন্দ্র হাজংকে যারা আদিবাসীদের অধিকার ও আত্মপরিচয়ের স্বীকৃতির দাবিতে আজীবন উৎসর্গীকৃত ছিলেন।

বইটির ভূমিকায় লেখক আদিবাসীদের আত্মপরিচয়ের প্রকট সঙ্কটকে সামনে নিয়ে এসেছেন। বছরের পর বছর ধরে যে আদিবাসীরা “আদিবাসী” পরিচয়ে পরিচিত হয়ে আসছিলো, যে পরিচয়ে তারা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করত, সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে “আদিবাসী” শব্দটি উপেক্ষা করে তাদের “উপজাতি”, “ক্ষুদ্র জাতিসত্তা”, “নৃগোষ্ঠী” ও “সম্প্রদায়” এই চারটি নামে অভিহিত করা হয়েছে যার কোনটিই আদিবাসীদের আত্মপরিচয়ের ক্ষেত্রে যথার্থ ও সম্মানজনক নয় বলে  এদেশের আদিবাসীরা বিশ্বাস করে, সেটিই লেখক মুখ্য আলোচ্য বিষয় হিসেবে বইটিতে নানা তথ্য, উপাত্তসহ গুরুত্বসহকারে তুলে ধরেছেন। ২০১০ সালের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান আইনে তাদের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে এবং উল্লিখিত অগ্রহণযোগ্য, অযথার্থ ও বিতর্কিত  নামেই আদিবাসীদের পরিচিতি দাঁড় করানো ও এই শব্দটিই প্রতিষ্ঠিত করার জোর চেষ্টা চলছে, যা লেখক একেবারেই দুঃখজনক ও অমানবিক বলে উল্লেখ করেছেন। “আদিবাসী নাম নিয়ে বিতর্ক ও চাপিয়ে দেওয়া পরিচয় গ্রহণযোগ্য নয়” এই শিরোনামে বইটির প্রথম অধ্যায়ে তিনি এর স্বপক্ষে যৌক্তিক অবস্থান নিয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও সুধীজনদের আন্তরিক সমর্থন ও মতামত তুলে ধরেছেন যা আদিবাসীদের ন্যায্য আত্মপরিচিতির দাবিকে আরও জোরালো করবে নিঃসন্দেহে। এ নিয়ে বিতর্ক করলে বিতর্কটি যে  শুধু দীর্ঘায়িতই হবে, বিপরীতে কোন সমাধান আসবেনা সেটা বিবেচনায় রেখে গ্রন্থকার উদ্ভূত এ সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্যে সরকারের সদিচ্ছার কথা ব্যক্ত করেছেন। সংবিধান সংশোধন করে আদিবাসীদের আদিবাসী স্বীকৃতি প্রদান করার কথা রাষ্ট্রকে গুরুত্ব দিয়ে ভাবার কথাও লেখক ব্যক্ত করেছেন। সেই সাথে ন্যায্য অধিকার প্রাপ্তির জন্যে স্বয়ং আদিবাসীদের নিজেদের কণ্ঠ উচ্চকিত রাখতে হবে, বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে তাদের মতামত তুলে ধরা অব্যাহত রাখতে হবে বলে সেটার  ওপরেও বিশেষ জোর দিয়েছেন। একটি জাতি যদি তাদের আত্মপরিচিতি নির্ধারণের সুযোগ না পায়, যদি অবহেলায় তাদের আত্মমর্যাদা ভূলুণ্ঠিত হয়, তাহলে সে জাতির আশাহত হওয়া যে অবধারিত এই নিয়ে লেখক শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আত্মপরিচিতির এই সঙ্কট থেকে পরিত্রাণ পেতে আদিবাসীদেরকেই পথ খুঁজতে হবে এবং সেই সাথে তাদের এই ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়নে দেশের মহানুভব বন্ধুসমাজকে পূর্বেকার ন্যায় এগিয়ে আসতে বইটির লেখক উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন।

আদিবাসী শব্দটি মূলত কী অর্থ নির্দেশ করে, কারা আদিবাসী আর কারা আদিবাসী নয়, আদিবাসীদের আত্মপরিচয়ের গুরুত্ব কতটুকু, কোন জাতির সামগ্রিক পরিচয় প্রদানের ক্ষেত্রে “আদিবাসী”, “উপজাতি”, “নৃগোষ্ঠী”, “সম্প্রদায়”, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী- এ সবের মধ্যে কোনটি প্রযোজ্য আর কোনটি নয় এসব প্রশ্নেরও উত্তর ও ব্যাখ্যা মিলবে আলোচ্য গ্রন্থটিতে।

“আদিবাসীদের অধিকার ও আত্মপরিচয়” শীর্ষক অধ্যায়ে গ্রন্থকার স্বাধীনতা-উত্তর জাতীয় সংসদ ও প্রাদেশিক পরিষদের সমন্বয়ে গঠিত গণপরিষদের দুই প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর ন্যাপের সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত ও স্বতন্ত্র সাংসদ মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। বাঙালি নাকি বাংলাদেশি অথবা অন্য কোন জাতিসত্তা- জাতীয়তা ও আত্মপরিচয় নির্ধারণের ক্ষেত্রে তৎকালীন গণপরিষদে মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ঐতিহাসিক ভাষণ ও তাঁর যৌক্তিক শক্ত অবস্থানের কথা তাঁরই বক্তব্যের উদ্ধৃতিসহকারে তাৎপর্যপূর্ণভাবে গ্রন্থটিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

সংবিধানে এদেশের আদিবাসীদের তাদের সাংবিধানিক স্বীকৃতির মাধ্যমে অন্তর্ভুক্তির দাবির কথাও বর্ণিত হয়েছে। সরকারের প্রতি পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস রেখে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগঠন – পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি প্রবল আশা নিয়ে ১৯৯৭ সালে ২ ডিসেম্বর  সরকারের সাথে যে পার্বত্য চট্টগ্রাম (শান্তি) চুক্তি করেছিল সেটির প্রসঙ্গও অবধারিতভাবে উঠে এসেছে বইটিতে। এদেশের সংবিধানে থেকেই আদিবাসীরা তাদের ভূমির অধিকার, আত্মনিয়ন্ত্রণ অধিকার ও সাংস্কৃতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়ে আসছে সেই কথাও লেখক উল্লেখ করেছেন। বইটির এই অংশে “আদিবাসীদের অধিকারের স্বীকৃতি ও বাস্তবায়ন করলে দেশের মূল ধারার সাথে আদিবাসীরা আরও একাত্বতা বোধ করবে” বলে আইএলও -এর একজন একজন সাবেক কর্মকর্তার উদ্ধৃতিতে উঠে এসেছে।

আদিবাসীদের অধিকারের পাশাপাশি তাদের মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন, আদিবাসীদের সংস্কৃতি ও তাদের যাপিত জীবনের বর্তমান দুরাবস্থা, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির প্রেক্ষাপট ও বাস্তবতা, দেশের বিভিন্ন আদিবাসীদের বিলুপ্তির পথে থাকা ভাষার বর্তমান চালচিত্র, আদিবাসীদের মাতৃভাষা রক্ষার গুরুত্ব, জাতীয় বাজেট ও সামাজিক নিরাপত্তা সেবাসমুহে আদিবাসীদের অভিগম্যতা, আদিবাসীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় ইশতেহারে অঙ্গীকার দাবি, চাকরিক্ষেত্রে আদিবাসীদের জন্যে কোটা সংরক্ষণের দাবি, মহিয়সী নারী রাশিমণি হাজং, টংক আন্দোলনে কুমুদিনী হাজং এর গৌরবময় সাহসী ভূমিকা, হাজংদের সংস্কৃতির অন্যতম অনুষঙ্গ হঙঅরাণীর মত উৎসবের বিলীয়মান অবস্থা, আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন এবং আদিবাসী বিতর্ক চর্চা’র মত সমসাময়িক ও বর্তমান বাস্তবতায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো অঙ্গীভূত করা হয়েছে যা বইটিকে করেছে সমৃদ্ধ ও বিষয়বস্তুতে এনেছে বৈচিত্র্য।

এই বইটি গবেষক থেকে শুরু করে, মানবাধিকার ও অধিকারকর্মী, আদিবাসী নেতাকর্মী, ছাত্র-শিক্ষক, উন্নয়নকর্মীদের পেশাগত প্রয়োজনীয়তা ও জ্ঞানপিপাসুদের জ্ঞানতৃষ্ণা মেটাবে বলে আশা করা যায় এবং নতুন প্রজন্মের আদিবাসী তরুণদের পথপ্রদর্শকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হবে ও তাদের নিজেদের দায়িত্ব ও দায়বদ্ধতার জায়গাগুলো নিয়ে ভাবনার খোরাক জোগাবে, একই সাথে তাদের সচেতন নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। যাদের মধ্যে নিজ জাতিসত্তা ও আদিবাসী পরিচয় নিয়ে হীনমন্যতা ও ইতস্ততবোধ রয়েছে তারও পরিসমাপ্তি ঘটাতে অনুঘটক হিসেবে কাজ করবে বইখানি। সরকার ও নীতিনির্ধারকদের জন্যেও এই বইটি একটি বার্তাবাহক ও দিকনির্দেশক হিসেবে কাজ করবে, শুধু তাই নয় গ্রন্থখানি আদিবাসীসংক্রান্ত যে কোন পদক্ষেপ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের কাজসমূহ সহজতর করবে বললেও অত্যুক্তি হবে না। আদিবাসীবিষয়ক বিবিধ তথ্যের একটি মূল্যবান প্রামাণ্য দলিল হিসেবেও এটি বিবেচিত হতে বাধ্য গ্রন্থটির বিষয়বস্তুর গভীরতা ও গুরুত্বের কারণে। যারা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, উপজাতি কিংবা আদিবাসী অভিধা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন এ বইয়ের বিস্তর আলোচনা, সংজ্ঞায়ন, পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্যাখা-বিশ্লেষণ তাদের সেই দ্বিধা ও দোদুল্যমানতার চূড়ান্ত অবসান ঘটাবে বলেই বিশ্বাস করি। গ্রন্থকার ব্যক্তিগত স্থুল আবেগ পরিহার করে স্বীকৃত দেশীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসমূহের সংজ্ঞায়ন, বিভিন্ন পুস্তকের রেফারেন্স, জাতীয় পত্রিকা ও গণমাধ্যমের উদ্ধৃতিসহকারে বিষয়বস্তুসমূহ উপস্থাপন ও তথ্য-উপাত্ত পরিবেশন করে মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন, যা গ্রন্থটির একটি শক্তিশালী দিক বলে দাবি করা যায়। কেন আদিবাসী পরিচয়ের দাবি যৌক্তিক ও প্রাসঙ্গিক, কেন তা সংবিধানের কোন ধারার পরিপন্থী নয় সেই দাবিকে সমর্থন করে লেখক যেমন যুক্তি তুলে ধরেছেন, সেই সাথে “আদিবাসী” শব্দের ব্যবহার ও সম্বোধন নিয়ে সরকার এবং বিভিন্ন মহলের চিন্তা ও ধারণার জায়গাটিতেও তিনি আলোকপাত করেছেন এবং কেন তাদের ধারণা ও চিন্তার জায়গাটিতে ঘাটতি ও অপরিপক্বতা রয়েছে সেদিকটাতেও সমভাবে দৃষ্টিপাত করেছেন। আদিবাসী  শব্দটির ব্যুৎপত্তি, এর আভিধানিক ও প্রায়োগিক অর্থ সম্পর্কেও বইটিতে পর্যাপ্ত  তথ্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বইটির লেখক ছাত্রজীবন থেকেই আদিবাসী জনগোষ্ঠীর অধিকার আদায়ে সর্বদা সোচ্চার ছিলেন, স্বতঃস্ফূর্তভাবে যুক্ত ছিলেন আদিবাসীদের বিভিন্ন ছাত্র ও অধিকারভিত্তিক  সংগঠনসমূহে, সেইসূত্রে তিনি অর্জন করেছেন প্রভূত অভিজ্ঞতা ও প্রায়োগিক জ্ঞান, যা লেখকের কাজের ক্ষেত্রকে করেছে বৈচিত্র্যময় ও চিন্তাশক্তিকে করেছে আরও শাণিত, এই বইটির অধ্যায়ভিত্তিক আলোচনায় যার প্রতিফলন ঘটেছে, সচেতন পাঠকমাত্রই এই বইটি পাঠে তার সন্ধান পেয়ে থাকবেন। লেখক আদিবাসীদের অধিকার ও আত্মপরিচয়ের জায়গায় অত্যন্ত স্পষ্ট ও জোরালো অবস্থান নিয়েছেন, এ বিষয়ে বিভ্রান্তির কোন সুযোগ লেখক তার লেখায় রাখেন নি। আমরা আশাবাদী হতে পারি, এ বইটি আদিবাসী জনগোষ্ঠী, নীতিনির্ধারক, বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন ও সরকারের মধ্যে বোঝাপড়ার যে ঘাটতি ও দূরত্ব রয়ে গেছে তা পূরণে সেতুবন্ধ হিসেবে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে।

খুব সম্ভবত, বইমেলায় বই প্রকাশের তাড়া থেকে দ্রুত বই প্রকাশ ও ছাপানোর কাজ করতে গিয়ে গ্রন্থটির দুই-একটি মুদ্রণজনিত অসঙ্গতি রয়ে গেছে, তবে তা লেখকের মূল বক্তব্য বা আলোচ্য বিষয়বস্তু  থেকে পাঠকের মনঃসংযোগে বিঘ্ন ঘটাবে না। পরবর্তী পরিমার্জিত সংস্করণে পূর্বের মুদ্রণজনিত সীমাবদ্ধতাগুলো থাকবেনা বলে আশা করা যায়। বইটির প্রচ্ছদের নকশা ও বাঁধাই মানসম্মত বলতেই হবে।বইটিতে ব্যবহার করা হয়েছে উন্নত মানের কাগজ। বইটির নামকরণে লেখক বইটির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টিকেই বেছে নিয়েছেন, তাই পাঠক বইটির নাম দেখেই ভেতরের বিষয়বস্তু সম্পর্কে প্রাথমিক ধারণা পেয়ে থাকবেন। সেদিক থেকে বইটির নামকরণে লেখক সার্থকতা দেখিয়েছেন বলা যায়।

সবমিলিয়ে বলা যেতে পারে, গ্রন্থটি সকল শ্রেণীর পাঠকের পাঠোপযোগী এবং বিভিন্ন গ্রন্থাগার, গবেষণাপ্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিগত সংগ্রহে রাখার মতই একটি বই। বইটি পাঠে পাঠকসমাজ উপকৃত হবেন নিঃসন্দেহে। বইটির পরিশীলিত ও প্রাঞ্জল ভাষায় উপস্থাপন, বাহুল্যবর্জিত আলোচনা, বিষয়বস্তুর গভীরতা ও প্রাসঙ্গিকতার কারণে পাঠকপ্রিয়তা এবং গ্রহণযোগ্যতা পাবে, সেই সাথে সর্বমহলে সমাদৃত ও আলোচিত হবে বলে জোরালোভাবে  আশা করা যায়।

বিষয় অনুযায়ী মোট ১৮টি অধ্যায়ে বিন্যস্ত করা হয়েছে গ্রন্থটি। ১৬৮ পৃষ্ঠা সংবলিত বইটির প্রচ্ছদ মূল্য রাখা হয়েছে ৩০০ টাকা।




সম্পাদক : মিঠুন রাকসাম

উপদেষ্টা : মতেন্দ্র মানখিন, থিওফিল নকরেক

যোগাযোগ:  ১৯ মণিপুরিপাড়া, সংসদ এভিনিউ ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫। 01787161281, 01575090829

thokbirim281@gmail.com

 

থকবিরিমে প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। Copyright 2020 © Thokbirim.com.

Design by Raytahost