দিল্লির পথে পথে…
সারাদিনের ধকল শেষে যথারীতি রাজধানী এক্সপ্রেস-এ আমরা–!!! সিটে বসতে না বসতেই ট্রেনের ওয়েটার চাদর, কম্বল ও বালিশ নিয়ে হাজির। কিছুক্ষণ পর কমলার জুস ও বিস্কুট দিয়ে গেল–!! খাবারের জন্য বাড়তি কোন চিন্তা নেই। টিকিটের সাথেই যুক্ত। রাতের খাবারও সময়মত হয়ে গেল। তারপর লম্বা ঘুম কম্বল মুড়ি দিয়ে।
সারারাত সারাদিন ও পরের রাতজার্নি শেষে ভোর ৩ঃ৩৫ নাগাদ দিল্লির ট্রেন স্টেশনে পৌঁছে গেলাম। ৩৬ কি ৩৮ ঘন্টা লাগলো। ট্রেনে বাংলাদেশি একজন ও পরে আরেকজনের সাথে দেখা হলো। আলাপে আলাপে জানলাম একজন আজমিরি যাচ্ছেন। আরেকজন চিকিৎসার জন্য এসেছেন। ট্রেন থেকে নেমে কোথায় কিভাবে যাবো ভাবতেই যিনি চিকিৎসার জন্য এসেছেন তিনি বললেন—– এটা নয়াদিল্লির স্টেশন। যেতে হবে পুরাতন দিল্লি স্টেশনে। ট্রেনেই যাওয়া যায় আর মাত্র ২০ রুপি ভাড়া। আমি ট্রেনেই যাচ্ছি—!! আমি বললাম তাহলে আমরাও উনার সাথে ট্রেনে না হয় যায়। কিন্তু পাগলা’দা নারাজ বললো অপরিচিত কত লোকজন এমন থাকে–!! দেশি বলে বলে কি বিপদেই না ফেলে আমাদের –!!
পুরনো দিল্লি যাওয়া লাগবে, কারণ সব ট্রেন ওখান থেকেই ছাড়ে বিভিন্ন রাজ্যে–!! আমি আগে ট্রেনে আসিনি দিল্লি। বিমানে এসেছিলাম। তেমন চিনিও না পথঘাট। তাছাড়া এখনও অন্ধকার–!! পাগলা’দা স্টেশন থেকে বেড়িয়ে টেক্সি ধরার প্ল্যান করতেই এক টেক্সিওয়ালা সামনে–!! এ-ই সে-ই বলছে–! তিরিশ মিনিটের মধ্যে দিল্লির পুরানো স্টেশনে নিয়ে যাব–! অনেকদিন ধরেই টেক্সি চালাচ্ছি দিল্লিতে –!! তাছাড়া আপনারা কোথায় যাবেন সে টিকিটের ব্যবস্থাও করে দিব। আমার পরিচিত ট্রাভেল এজেন্সি আছে— এই যাওয়ার পথে –!! দরকার হলে আপনাদের নিয়ে যাবো–কোন সমস্যা হবে না–!!
পাগলা’দা তাঁর কথায় টেক্সিতে চড়ে বসলো। অগত্যা আমরাও। আমার সন্দেহ হচ্ছিল এ লোক সুবিধার নয়। যাচ্ছি তো যাচ্ছি। রাস্তার পাশে এক ট্রাভেল এজেন্সির সামনে নেমে ডাকাডাকি শুরু করলো–! কেউ নেই এত ভোরে কে বা থাকবে–!! পরে আবার টেক্সিতে। একটু ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে–!! না তিরিশ মিনিটে পৌঁছে যেতে পারলামনা। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে অনেক রাস্তা দিয়ে আমাদের পৌঁছে দিল–!! আর ভাড়া–!! পাঁচ শত রুপি —!! কেন এত –!! বললো আপনাদের ট্রাভেল এজেন্সিতে নিয়ে গেলাম– এতো ভোরে নিয়ে এসেছি এবং কিছুটা দূরে এ স্টেশন। এটাই ন্যায্য ভাড়া—!! এবার সামলাও ঠেলা —!! এ লোক ঠকিয়ে ভাড়া নিয়ে গেল–নিমিষেই -!! বলছিলাম এজন্যই ট্রেনে যায় শুনলে না এখন কি আর করা–!! ট্রেনে মাত্র ষাট রুপি খরচ হতো–!! এখন চারশো রুপি বেশি দিতে হলো—!! টুরিস্টদের এত আরামে চললে হয় না –!! টাকা দেখেশুনে খরচ করতে হয়–!!
পরে ট্রেন স্টেশনের আশেপাশে এক হোটেল পেলাম। পাঞ্জাবি লোকের। পাগলা’দা হিন্দিতে ভালো আলাপ জুড়ে দিল–!! আজ দিল্লিতে আর কালকে উত্তরাখণ্ড যাওয়ার কথা বলতেই উনি ট্রেনের সব ব্যবস্থাই করে দিলেন। আর বললেন আজ সারাদিন কি করবেন–যদি দিল্লি ঘুরে দেখতে চান, তাহলে আমাদেরই টুরিস্ট প্যাকেজ আছে–!! সাড়ে নয়টা থেকে সারাদিন বিভিন্ন স্পটে নিয়ে যাবে গাড়িতে করে। গাইড থাকবে সাথে–!! বাহ্ দারুণ তাহলে–!! যাওয়া যায়–!!
কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে যাওয়া যাবে–!! আমরা ফ্রেশ হয়ে ঘুমিয়ে নিলাম ৯টা পর্যন্ত –!! পাগলা’দা তাগাদা দিচ্ছে উঠার জন্য। তাড়াহুড়া করে রেডি হলাম। আর বাইরে নাস্তা খেয়ে অপেক্ষা করছি কখন গাড়ি আসে নিতে—-!! হোটেলের ঐ লোকটার সাথে পাগলা’দা নানা বিষয়ে আলাপে আলাপে মজে যাচ্ছে—!! আমরা শুধু শুনে যাচ্ছি –আর অপেক্ষা করছি—!!
(ক্রমশ)
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত
-
রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর উৎসব ওয়ানগালা
: রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর সামাজিক সাংস্কৃতিক ও...
-
আজ লেখক ও চিন্তক আলবার্ট মানকিন-এর স্মরণসভা ও স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠান
: মধুপুর গড়াঞ্চলের আদিবাসী নেতা, চিন্তাবিদ, লেখক, সমাজকর্মী, এনজিও কর্মী আলবাট...
-
গুলশান বনানী ওয়ানগালা ২১ অক্টোবর শনিবার
: গুলশান বনানী ওয়ানগালা ২১ অক্টোবর শনিবার আদি সাংসারেক গারো জাতিগোষ্ঠীর...
-
১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ...
-
রে রে : হায়রে আমার কাঞ্জিয়া ।। নীলু রুরাম
: সমর সাংমার রেরে নিয়েই শুরু করি তবে একটু আলাদা। আমাদের...
-
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের নিরাপদ ব্যবহার ।। জাডিল মৃ
: এক. সময় স্রোতের সাথে আবাহমান ছুটে চলা প্রযুক্তির উন্নতি, মানব...
‘রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর উৎসব ওয়ানগালা’
: রাত পোহালেই উদযাপিত হতে যাচ্ছে গারো জনগোষ্ঠীর সামাজিক সাংস্কৃতিক ও......বিস্তারিত
‘১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার থকবিরিম-এর যুগপূর্তি উৎসব অনুষ্ঠান’
: এক এক করে বার বছরে পদার্পণ করলো গারো সাহিত্যের পত্রিকা ......বিস্তারিত