Thokbirim | logo

২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

ভ্রমণে বিচিত্র অভিজ্ঞতা-১ ।। সুমনা চিসিম

প্রকাশিত : জুলাই ০৬, ২০২০, ১২:২৪

ভ্রমণে বিচিত্র অভিজ্ঞতা-১ ।। সুমনা চিসিম

ঘড়ির ফিতা-১

অনেকবারই কলকাতায় যাওয়া হয়েছে আমার– তবে ২০১৭ সালের ভ্রমণের মত আর কখনোই ঘটেনি–!! অনেক প্ল্যান প্রোগ্রাম করে ৩১ মার্চ আমরা অর্থাৎ পাগলা’দা ভালো নাম প্রবোধ, দিংজান ( ছোট বোনের ছেলে) আর আমি ঢাকা টু কলকাতা ট্রেনে—ট্রেন ছাড়লো ঠিক সাড়ে ৮টায়। কত গল্প কত কথা পুরো রাস্তা জুড়ে –! পাগলা’দা ও দিংজানের প্রথম কলকাতা ভ্রমণ –বলে আরও বেশি উচ্ছ্বাস ছিলো। একদিকে আনন্দ তেমনি আরেকদিকে পাগলা’দার আদেশ, উপদেশ ও শাসন। এ করা যাবে না, সে করা যাবে না, তোমরা জানো না কত বদ বা বাটপার মানুষ ঘুরে বেড়ায়, সুযোগ খুঁজে–! ঠকবাজি করে খাওয়ার তালে থাকে–! বিদেশবিভুঁইয়ে সাবধানে থাকতে হয়, সাবধানে চলতে হয়–!! আরও কত কি–!! মনে হয় প্রথম বিদেশ ভ্রমণে বেড়িয়েছি–!!

আমরা তাঁর আদেশ উপদেশ শুনতে শুনতে যাচ্ছি-! এসব আদেশ উপদেশ মানছি কি মানছি না তা বুঝতে পাচ্ছি না ঠিকঠাক মতো । কতবার আসছি এ কলকাতায়। প্রায় সময়ই একাকি আসতে হয়েছে। এতটা সাবধান আদৌও হয়েছিলাম কিনা আমার মনে পড়ে না । যা-ই হোক বাংলাদেশ বর্ডারে চেকিং শেষে ভারতে একইভাবে চেকিং হলো–!! সেকি অবস্থা–!! এদিক সেদিক করাতো দূরের কথা, ধমক দিয়ে দিয়ে আনন্দের যাত্রা নিরানন্দ করে ছাড়লো। যতখানি কাস্টমস-এর ঝামেলা তারচেয়ে পাগলাদার ঝামেলা-ই পোহাতে হলো বেশি–আমাদের-! বয়সে ছোট বলে বড়দের কত কথাই মানতে হয়, মনে না চাইলেও।

পরিশেষে কলকাতায় সন্ধ্যা নাগাদ পৌঁছে গেলাম –!! টেক্সি করে সোজা রাফি ও কুঁড়ির (বড় বোনের মেয়ে ও মেয়ে জামাই) দেওয়া ট্রাভেল এজেন্স এর ঠিকানায় চলে গেলাম। এটা ছিল নিউমার্কেট এর আশেপাশে। দিল্লির ট্রেন টিকিট কাটলাম কিছু বেশি টাকা দিয়েই। পরের দিন রাত সাড়ে ন’টায় রাজধানী এক্সপ্রেস ছাড়বে হাওড়া স্টেশন থেকে। এবার হোটেল খুঁজতে হবে আপাততঃ এক রাত থাকার জন্য। এদিকে পাগলাদাকে ট্রাভেল এজেন্সির লোকজন ভালোই চেপে ধরেছেন। বলছেন দাদা হোটেল খোঁজাখুঁজির দরকার নেই কষ্ট করে-! জার্নি করে এসেছেন। আমরাই ঠিক করে দিচ্ছি। আমাদের জানা শোনা ভালো হোটেল ঠিক আছে। কোন সমস্যা হবে না। আমি বার বার বলছিলাম আমরাই খুঁজে নিব। পাগলাদা নড়ছেই না। আচ্ছা দাদা আচ্ছা দাদা বলে দিব্যি বসে আছে। তাদের লোক দিয়ে পাঠালো আমাকে দেখে আসার জন্য। আমি গিয়ে যতটুকু দেখলাম জানলাম তা ছিলো ফোর স্টার হোটেল। মান্দি দিয়ে বোঝাতে চেষ্টা করলাম আমাদের বাজেটের থেকে অনেক বেশি—!! অন্যখানে দেখতে হবে—!! না কার কথা কে শোনে–!! অগ্যতা সেই হোটেলেই ব্যবস্থা হলো থাকার…!

(ক্রমশ)




সম্পাদক : মিঠুন রাকসাম

উপদেষ্টা : মতেন্দ্র মানখিন, থিওফিল নকরেক

যোগাযোগ:  ১৯ মণিপুরিপাড়া, সংসদ এভিনিউ ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫। 01787161281, 01575090829

thokbirim281@gmail.com

 

থকবিরিমে প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। Copyright 2020 © Thokbirim.com.

Design by Raytahost