Thokbirim | logo

২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ | ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ

কনরাড কে. সাংমার সাথে ছাত্রছাত্রীদের মতবিনিময় (প্রশ্নোত্তর) পর্ব

প্রকাশিত : নভেম্বর ২৫, ২০১৯, ১৪:২০

কনরাড কে. সাংমার সাথে ছাত্রছাত্রীদের মতবিনিময় (প্রশ্নোত্তর) পর্ব

গত ৭ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার ) গুলশান উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কনরাড কে. সাংমা এবং বাংলাদেশের গারো আদিবাসীদের একমাত্র সংসদ সদস্য জুয়েল আরেংসহ ঢাকায় বসবাসরত গারো আদিবাসীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ এবং মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেই মতবিনিময় সভাতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়  আলোচিত হয়। সভায় উনাদের ছাড়াও গারো সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ লেখক থিওফিল নকরেক, লেখক চিন্তক আলবার্ট মানখিন, উপসচিব ব্রেনজন চাম্বুগং, উপসচিব হেমন্ত হেনরি কুবি, উপজেলা চেয়ারম্যান ডেভিড রানা চিসিম, উপাধক্ষ্য এবং রাজনীতিবিদ রেমন্ড আরেং, বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি নির্মল রোজারিও, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক নিখিল মানখিন, ঢাকা নকমা শুভজিৎ সাংমা, নকমা অনিত্য মানখিন, নকমা হেস্টিং রেমা, নকমা সাইলেন রিছিল, নকমা পবিত্র মান্দা, সরকারি কর্মকর্তাগণ, ভারতীয় হাইকমিশনের কর্মকর্তাবৃন্দ, অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ ছাড়াও স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছা্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

মতবিনিয় সভা সঞ্চালনা করেন এমপি জুয়েল আরেং। সভার শুরুতেই মাননীয় সংসদ সদস্য জুয়েল আরেং উপস্থিত গণ্যমান্য ব্যক্তিদেরকে কনরাড কে. সাংমার কাছে পরিচয় করিয়ে দেন। পরিচয় পর্ব শেষ হলে তিনি ফ্লোর অপেন করে উপস্থিত ছাত্রছাত্রীদেরকে প্রশ্ন করার সুযোগ করে দেন। জুয়েল আরেং-এর অনুমতি পেয়ে প্রথমেই মাইক্রোফোন হাতে অভিনন্দন জানান গারো স্টুডেন্ট ইউনিয়ন(গাসু) সদস্য বর্তমান ঢাকা মহানগর শাখার সভাপতি স্বতীর্থ চিরান।

এরপর কনরাড কে. সাংমাকে চারজন ছাত্রছাত্রী (দুইজন ছাত্র দুইজন ছাত্রী) প্রশ্ন করেন এবং সেই প্রশ্নের উত্তর দেন কনরাড কে. সাংমা। সেই প্রশ্নোত্তর পর্ব থকবিরিম পাঠকদের জন্য প্রকাশ করা হলো।

ঐশি দ্রং

ছাত্রী-১ (ঐশি দ্রং)

-কী এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয় আপনার জীবনে?

কনরাড কে সাংমা

-ব্যক্তি জীবন না রাজনৈতিক জীবন?

ছাত্রী-১

দু-ই হতে পারে!

কনরাড কে সাংমা

-অবশ্যই আমি যখন বিয়ে করি মনে হয় এটা বড় সিদ্ধান্ত ছিল। আর সাম্প্রতিক আমি যে রাজনীতিতে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা ছিল কঠিন সিদ্ধান্ত। আমি যে পার্টিতে যোগ করি যেটা আমার বাবা আরম্ভ করে গেছেন। এবং আমার স্বপ্ন হলো তাঁর উদ্দেশ্যগুলো অর্জন করা, তাঁর দলকে পরিচালনা করা এবং জাতীয় দলে তৈরি করে উত্তর-পূর্ব রাজ্যের মাধ্যমে দেশের অন্যান্য ট্রাইব্যাল জায়গায় বিস্তার করা। এবং এটাই আমি ফোকাস করতে চাই

 

ছাত্রী-১ (নাম অজ্ঞাত)

আমরা আপনার কাছে চাই এক বছরে না হোক দুই বছরে ইন্ডিয়া থেকে ৭/৮জন ছাত্রছাত্রী বাংলাদেশে ট্যুর করতে পাঠাবেন যেন এখানকর ছাত্রছা্ত্রীদের সাথে মতোবিনিময়-দেখা-সাক্ষাৎ হয়।  মাননীয় জুয়েল আরেং-এর কাছে চাই আপনিও বাংলাদেশ থেকে ৭/৮জন ছাত্রছাত্রী মেঘালয়ে পাঠাবেন যেন মেঘালয় ঘুরে সেখানকার ছাত্রছাত্রীদের সাথে মতবিনিময় করতে পারেন এবং সেখানকার যাপিত জীবন সম্পর্কে জ্ঞান লাভ করতে পারেন। এটা আমরা আপনাদের জানাচ্ছি… এই সংযোগটা করে দিলে খুব ভাল হয়।

কনরাড কে. সাংমা

এটা খুবই ভালো পরামর্শ যা উত্থাপিত হয়েছে এবং মনে করি এটা অন্ধকারে আলোর স্ফুলিঙ্গের মত। যাহোক দুটি দেশের বা দলের মধ্যে বৈদেশিক বিনিময় করার জন্য আগ্রহী হবে। এটা নিশ্চতভাবে বলতে পারি, যে পরামর্শ বোন দিয়েছে তা দুটি সরকার অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে ভারত বিশেষ করে সাংস্কৃতিক বিনিময়ের সুযোগ করে দিবে। একইভাবে একই উদ্দেশ্যে আমরা কাজ করতে পারবো। ভালো পরামর্শ ও প্রোগ্রাম করার সুযোগ দানের জন্য আমি সৃষ্টি কর্তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই প্রোগ্রাম কীভাবে সাফল্য মণ্ডিত করা যায় তা বাংলাদেশ সরকারের সাথে আলোচনা করে এবং ভারত সরকারের সাথেও আলোচনা সাপেক্ষে এই মতবিনিময় কার্যক্রমকে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করবো এবং  প্রতিবছরে একবার এই কার্যক্রমকে এগিয়ে নেবার চেষ্টা থাকবে এবং এই কর্যক্রমের প্রথম দলেই আমি তোমাকে নিয়ে যাবো।

ছাত্র-১ (নাম অজ্ঞাত)

শুভ সন্ধ্যা স্যার!  বাংলাদেশে আপনাকে স্বাগতম! আমার একটা প্রশ্ন আপনার কাছে– এখানে অনেক গারো ছাত্র/ছাত্রী আছে, যারা অভাবে বসবাস করে। আমার প্রশ্ন হলো- আপনার ওখানে কি কোন সুযোগ-সুবিধা আছে যা আপনি স্কলারশিপ এর জন্য ব্যবস্থা নিতে পারবেন?

কনরাড কে. সাংমা

দুঃখিত আমি হয়তো এ প্রশ্নের সঠিকভাবে পূর্ণাঙ্গ উত্তর দিতে সক্ষম নই। মানে বাংলাদেশ থেকে ছাত্ররা ভারতে যায় বা যাচ্ছে? এটা আসলে ভারত সরকারের পলিশি- ইন্সটিটিউটগুলো যার যার স্বাধীনভাবে পরিচালনা করে। এই প্রেক্ষিতে ঠিকঠাক উত্তর দেওয়া সম্ভব না। বরং এখানে ভারত দূতাবাসের অফিসার আছেন উনিই ভালো বলতে পারবেন। দূতাবাসের অফিসার… ধন্যবাদ।

ভারতীয় হাইকমিশনারের কর্মকর্তা

ধন্যবাদ স্যার! ভারত দূতাবাসের অনেক কলেজ আছে, মুক্তিযোদ্ধা কলেজও আছে। এসব কলেজের জন্য ভারত দূতাবাসে পেইজ বা ইন্টারনেট আছে। আবার বলতে পারি পেশাগতও তারা। সুতরাং ছোট ছোট কোর্স হয়ে থাকে প্রায় ৩০০ উপর কলেজে। এখানে অংশগ্রহণ করতে পারে ছাত্ররা। ধন্যবাদ!

লিংকন ডিব্রা

ছাত্র-২ (লিংকন ডিব্রা) :  বছরে একবার ইন্ডিয়ার আচিকরাং এবং বাংলাদেশের আচিকরাং(গারোদের) একসাথে মিলনের জন্য একদিনের জন্য বর্ডার খুলে দিতে পারবেন কি?

কনরাড কে সাংমা :  আপনাকে ধন্যবাদ আমার ফেসবুক লাইক করে অনুস্রণ করার জন্য। কিন্তু আচিক ভালমত না পারলেও অন্তর মন দিয়ে নিজের জাতটাকে হৃদয়ে ধারণ করলেই হলে্।  আপনার বলাটা জাতির জন্য অবশ্যই ভালো

কিন্তু আপনি জানেন এবং আমরা সবাই জানি এটা বাংলাদেশ এবং ভারতের সরকারের অভ্যন্তরীন যৌথ আলোচনার বিষয়।অবশ্যই তোমার উত্থাপনটা ভালো কিন্তু এই সময়ে আমি মেঘালয়ের হয়েও এই কমিটমেন্ট দিতে পারবো না কারণ এটি দুটি দেশের যৌথ আলোচনার বিষয়। আপনাকে ধন্যবাদ।

জুয়েল আরেং

ধন্যবাদ! আমাদের অনুষ্ঠান এখানেই শেষ করতে হচ্ছে কারণ আজকের অনুষ্ঠানের অতিথি (দাদার) অন্য অনুষ্ঠান থাকায় উনাকে দ্রুত বিদায় দিতে হচ্ছে। আমরা আমাদের বড় ভাইকে বলতে পারি, আপনি সব সময় আমাদের এখানে আসবেন, আমাদের সহযোগিতা করবেন এবং আজকে এখানে যে বিষয়গুলো আলোচিত হয়েছে যেমন বর্ডারে মিলন মেলা/দেখা-সাক্ষাৎ করা। অর্থাৎ আমাদের আত্মীয় স্বজনদের সাথে মিলিত হবার সুযোগ করে দিলে খুবই ভালো হবে। সবাইকে ধন্যবাদ!

কনরাড কে. সাংমা এবং ছাত্রছাত্রীদের কথোপকথন বঙ্গানুবাদ করেছন লেখক সুমনা চিসিম।




সম্পাদক : মিঠুন রাকসাম

উপদেষ্টা : মতেন্দ্র মানখিন, থিওফিল নকরেক

যোগাযোগ:  ১৯ মণিপুরিপাড়া, সংসদ এভিনিউ ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫। 01787161281, 01575090829

thokbirim281@gmail.com

 

থকবিরিমে প্রকাশিত কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার দণ্ডনীয় অপরাধ। Copyright 2020 © Thokbirim.com.

Design by Raytahost